সকালে স্কুল বা অফিসে যাওয়ার জন্য বাইরে বের হলেন। স্মার্টফোনের অ্যাপসের ইশারায় মুহূর্তের মধ্যেই একটি ড্রোন উড়তে উড়তে চলে এলো আপনার সামনে। তাতে উঠে এই জ্যাম-জলাবদ্ধতার ঢাকা শহরে উড়তে উড়তে আপনি পৌঁছে গেলেন গন্তব্যস্থলে। না, কল্পবিজ্ঞানের কোনো গল্প নয়। বাস্তবেই এমনটাই হতে চলেছে। গুপ্তচরবৃত্তি, পর্যবেক্ষণ, চলচ্চিত্র ও গবেষণার মতো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হওয়া ড্রোন এবার ব্যবহৃত হবে যাত্রী পারাপারে। তবে বাংলাদেশে নয়, দেশের বাইরে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট এনগেজেটের খবরে প্রকাশ, গত তিন বছর ধরে যাত্রীবাহী ড্রোনের নকশা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে ইহ্যাং, এয়ারবাস, উবারের মতো নামিদামি প্রতিষ্ঠানগুলো। তাদেরই প্রচেষ্টায় গত আগস্ট মাসে দুবাইতে পরীক্ষামূলক উড্ডয়নে বেশ কৃতিত্বের সঙ্গেই সফল হয়েছে যাত্রীবাহী ড্রোন বা ‘পেসেঞ্জার ড্রোন’।
অপর একটি প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলের খবরে জানা যায়, যাত্রীবাহী এই ড্রোন উড়বে ভার্টিকাল টেক অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (ভিটিওএল) প্রযুক্তিতে। অর্থাৎ ড্রোনটির ওঠানামার জন্য কনো রানওয়ের প্রয়োজন পড়বে না। উলম্বভাবেই এটি ওঠা-নামা করতে পারবে। ছোট একটি গাড়ির আকারে ড্রোনটিতে আসনের সংখ্যা মাত্র দুটি। আকাশে উড্ডয়নের জন্য এতে রয়েছে ১৬ টি ইঞ্জিন এবং রটরস। আশপাশের ২০ মাইলের মধ্যে উড়তে সক্ষম প্যাসেঞ্জার ড্রোন। যার সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৫০ মাইল।
নাম যেহেতু প্যাসেঞ্জার ড্রোন, বুঝতেই পারছেন এই যান পরিচালনার জন্য কোনো চালক থাকবে না। তবে এটি চালানোর জন্য চতুর্থ প্রজন্ম বা ফোর্থ জেনারেশন (ফোর জি) ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন পড়বে। তবে আপাতত এটির পরীক্ষামূলক উড্ডয়নে ব্যবহার করা হচ্ছে চালক।
প্যাসেঞ্জার ড্রোন চেপে আকাশে ঘুরে বেড়াতে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে ২০২০ সাল পর্যন্ত। কারণ এখনো প্রযুক্তিগত ও কারিগরি উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে প্যাসেঞ্জার ড্রোন। প্রযুক্তিগত ও কারিগরি উন্নয়ন শেষে ২০২০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের উবার বা পাঠাওয়ের মতো ‘এয়ারট্যাক্সি সার্ভিস’ হিসেবে দুবাইতে চালু হতে যাচ্ছে চালকবিহীন এই উড়োযান সেবা।
আমি আহাম্মাদ খান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 4 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।