আইসল্যান্ড শব্দটি শোনার সাথে সাথে কল্পনায় ভেসে ওঠে বরফ আচ্ছন্ন এক দেশের কথা।
দেশটি নামে বরফে আবৃত ঠান্ডা কোনো জায়গা মনে হলেও দেশটি আসলে প্রাকৃতিক রুপে পরিপূর্ণ। কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনে ওয়ালপেপার হিসেবে যে নৈসর্গিক প্রাকৃতিক দৃশ্য আমরা দেখতে পাই, দেশটি যেন এরই এক বাস্তবিক রুপ। তো চলুন একনজরে দেখে নেয়া যাক আইসল্যান্ড সম্পর্কে জানা-অজানা মজার কিছু তথ্য।
প্রায় ১০০০ বছর আগে খ্রিস্টীয় ৯ম শতকে ভাইকিং অভিযানকারীরা আইসল্যান্ডে বসতি স্থাপন করে। আইসল্যান্ডবাসী তাদের ভাইকিং ঐতিহ্য নিয়ে বেশ গর্ব করে। আইসল্যান্ডের আয়তন প্রায় ৩৯ হাজার বর্গ মাইল। যা প্রায় বাংলাদেশের আয়তনের এক- তৃতীয়াংশ সমান।
দেশটিতে কেবল ৩ লাখ ৩২ হাজার মানুষের বসবাস এখানে। এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক মানুষ আইসল্যান্ডের রাজধানী রিকজাভিক বা এর আশেপাশের এলাকায় থাকে।
আইসল্যান্ডের পানি এতটাই বিশুদ্ধ যে কোনো প্রকার বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া ছাড়াই পানি প্রত্যেক ঘরে ঘরে সরবরাহ করা হয়।
অনেকেরই ধারণা, আইসল্যান্ড এর আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা যেমনটি এর নাম শুনে মনে হয়। তবে বাস্তবে তা মোটেও সঠিক নয়। দেশটির আবহাওয়া মাঝারি ধরনের অর্থাৎ বেশি গরমও নয় আবার বেশি ঠান্ডাও নয়। ভৌগলিকভাবে অত্যন্ত উত্তরে সুমেরুর কাছে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের উষ্ণ উপসাগরীয় সমুদ্রস্রোতের কারণে এখানকার জলবায়ু তুলনামূলকভাবে মৃদু। গড়ে প্রতি ৪ বছরে একবার আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত হয়।
আইসল্যান্ড একটি রুক্ষ দেশ। এখানে গাছের পরিমাণ খুবই কম, কোনো বন নেই। এর কারণ দ্বীপের তিন-চতুর্থাংশই উদ্ভিদ জন্মানোর অযোগ্য।
প্রায় ১০০০ বছর পরও বর্তমানে তাদের ভাষা কোনো পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ অনায়াসে তারা হাজার বছর পুরোনো ভাষা পড়তে পারে কেননা ভাইকিংদের মুখের প্রাচীন নর্স ভাষার সাথে আইসল্যান্ডীয় ভাষার পার্থক্য খুবই কম।
তিমি মাছ প্রদর্শনীতে আইসল্যান্ড বিখ্যাত। এর থেকে সরকারি খাতে মোটা অংকের রাজস্বও যোগ হয়ে থাকে। অন্য যেকোনো দেশের থেকে এখানে প্রতি জনের মাথাপিছু কোকা-কোলা ক্রয় বেশি। বলাই যায়, আইসল্যান্ডীয়রা কোকা-কোলা প্রেমিক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট (জাতিসংঘ প্রকাশিত) অনুযায়ী, আইসল্যান্ড পৃথিবীর তৃতীয়-সুখী দেশ।
আইসল্যান্ডের পুলিশ তাদের সাথে অস্ত্র হিসেবে বন্ধুক বহন করে না। এর কারণ সেখানে অপরাধ খুব কম হয় এবং বড় ধরনের কোনো অপরাধ প্রায় অস্তিত্বহীন। আইসল্যান্ড দেশটি এতটাই পরিষ্কার যে সেখানে কোনো মশা নেই। কেবল মশা নয়, মানুষের সমস্যা সৃষ্টিকারী এমন পোকা-মাকড় এর সংখ্যা অনেক কম। আইসল্যান্ডে কোনো সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী বা বিমান বাহিনী নেই।
আইসল্যান্ডে কোন ধরনের রেলওয়ে সিস্টেম নেই।
আইসল্যান্ডের সংসদ ৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি বিশ্বের প্রাচীনতম সংসদ এর মধ্যে একটি।
আমি মার্স টেক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 35 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।