পাহার থেকে নিচে তাকালে সাধারনত আমরা যেটা দেখি ঢালূ একটা ধার নেমে গেছে নিচের দিকে। কিন্তু যে পাহারগুলো একেবারে খারা নেমে যায় সেগুলো কিন্তু মারাত্মক ভয়ানক হয়। আর সেই রকম খারা স্থানের মধ্যে সেরা এবং সর্বোচ্চতম হচ্ছে এই Mount Thor।
কানাডার বাফিন দ্বীপের নুনাভু নামক স্থানে অবস্থিত মাউন্ট থরের উচ্চতা পাঁচ হাজার ৯৪৫ ফুট। তাই উচ্চতায় এটি পৃথিবীর উঁচু পর্বতচূড়াগুলোর ধারেকাছে ভিড়তে পারবে না। কিন্তু এটা বিখ্যাত এর খাড়া চূড়ার জন্য।
এই পুরো উচ্চতাটাই একেবারে খারা হয়ে উঠেগেছে। পর্বতটি এভাবে সৃস্টি হওয়ার কারন হিসাবে বিজ্ঞানিরা বলেছেন কোন এক অদ্ভুদ কারনে এখনে কোন একসময় ভয়ানক একটা ভুমিকম্পের ফলে এই পর্বতটির একটা সাইড হঠাৎ করে ধ্বসে পরে যায়।
খাড়া এক হাজার ২৫০ মিটার পর্যন্ত নেমে গেছে মাউন্ট থরের চূড়া। পৃথিবীর আর কোনো পর্বতের চূড়ায় এত খাড়া ঢাল নেই।
এই কারনে এটি মুলত হাইকার পা পর্বোতারোহিদের জন্য অত্যান্ত পছন্দের একটা স্থান। হাইকরারা এটাতে উঠার সময় সাধারনত প্যারাসুট নিয়ে উঠে। চুরায় উঠার জন্য তারা এই খারা স্থানটাকে ব্যবহার করে। কোন ভাবে এটা থেকে একটা বার পাপিছলে পরে গেলেই শেষ। প্যারাস্যুটও তখন বাচাতে পারে না।
খাঁটি গ্রানাইটের তৈরি এ পর্বতজয়ে কম কষ্ট করতে হয় না অভিযাত্রীদের। তাই এখনো কেবল প্রশিক্ষিত আর অভিজ্ঞ পর্বতারোহীরাই ভিড় জমান এটি জয়ের নেশায়। আর যাঁরা তা পারেন না, তাঁদের জন্য আছে পর্বতে ক্যাম্পিংয়ের ব্যবস্থা। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো আর কি! তা ছাড়া অন্যান্য অ্যাডভেঞ্চার—যেমন প্যারাগ্লাইডিং বা প্যারাসুটিং করতেও অনেকেই ভিড় জমান সেখানে। তবে সে জন্য পূর্বশর্ত হলো ভালো আবহাওয়া। আগস্ট মাসেই সবচেয়ে বেশি পর্যটক আর পর্বতারোহী ভিড় জমান মাউন্ট থর ও এর আশপাশের এলাকায়।
আমি মার্স টেক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 35 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।