এয়ার প্লেন অনেক দ্রুতগতিতে যায় এটা আমরা সবাই জানি। একটা সাধারণ জেট এয়ার লাইনার ও পাঁচশ মাইল ঘণ্টায় যেতে পারে এবং এভাবেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই গতি ধরে রেখে এগিয়ে যেতে পারে।
যখন সবচেয়ে দ্রুতগামী প্লেন এর কথা ভাবতে বলা হচ্ছে, আপনি হয়ত ভাবছেন যে এটা হয়ত কোন আধুনিক প্লেনই হবে। কিন্তু না, ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগামী প্লেন এর জন্ম হয়েছিল ৬০ এর দশকে এবং এখন পর্যন্ত আর কোন প্লেন এটার সেই রেকর্ড ভাঙ্গতে পারেনি।
আমেরিকার লকহিড-মার্টিন কোম্পানির তৈরি করা লকহিড ব্ল্যাকবার্ড এসআর-৭১ সিরিজের প্লেনটা তৈরি করাই হয়েছিল গুপ্তচর-গিরি করার জন্য। এটার ছবির দিকে তাকালে আপনার মনে হবে যে হ্যাঁ, এটার জন্মই হয়েছে যেন গোপন কিছু করার জন্য।
জন্মের পর থেকেই অত্যন্ত দ্রুতগামী ছিল এই ব্ল্যাকবার্ড সিরিজের প্লেনটি, তবে এর সর্বোচ্চ গতি মাপা হয়েছিল ১৯৭৬ সালে, ২, ১৯৩ মাইল প্রতি ঘণ্টা। এর গতি কতটা দ্রুত ছিল সেটা বুঝতে পারবেন যদি বলি যে মিসাইল হামলা হলে এই প্লেন সেটা থেকে বাঁচার জন্য স্রেফ নিজের গতি বাড়িয়ে মিসাইল এর আগে আগে চলে যেত। আমেরিকা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের স্নায়ুযুদ্ধের সময় এই প্লেনটা আমেরিকা ব্যবহার করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গুপ্তচর-গিরি করার জন্য। অনেক উঁচু থেকে ছবি তোলার জন্য ব্যবহার করা হত এটা।
আমরা এই যে প্লেন এর গতি মাইল কিংবা কিলোমিটারে হিসাব করছি, এটা কিন্তু বোঝার সুবিধার জন্য। সাধারণত প্লেন এর গতি হিসাব করা হয় শব্দের গতির সাথে তুলনা করে অথবা কখনও নট বা নটিকাল মাইল হিসেবে। এক নটিকাল মাইল সমান ১.৮৫ কিলোমিটার বা ১.১৫ মাইল।
শব্দ বাতাসের ভেতর দিয়ে যে গতিতে যেতে পারে এক ঘণ্টায়, সেটাকেই বলা হয় মাক স্পীড। মাক ওয়ান মানে হল ৭৬৭ মাইল প্রতি ঘণ্টা বা ১২৩৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। সেই হিসাব করলে দাড়ায় যে লকহিড-মার্টিন এর তৈরি ব্ল্যাকবার্ড এস আর-৭১ এর গতি ছিল মাক ৩.২ বা ৩৫২৯ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। অর্থাৎ এটার গতি শব্দের চেয়েও প্রায় তিন গুনের বেশি।
আমি মার্স টেক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 35 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।