আমাদের খাবারের তালিকায় অত্যন্ত সুপরিচিত একটি খাদ্য হলো মাছ।
কিন্তু মাছের খাবারের তালিকায় যদি আমাদের অর্থাৎ মানুষের নাম থাকে তাহলে তা রীতিমতো ভয়ানক একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়!
আর হ্যাঁ এই ভয়ানক ব্যাপারটি নিছক মজা নয়। বাস্তবেই এমন একটি মাছের খাদ্য তালিকার শীর্ষে রয়েছে মানুষের নাম।
আজকের টিউনে আপনি জানতে চলেছেন হিংস্র মানুষ খেকো সেই মাছটি সমন্ধে ভয়ঙ্কর সব তথ্য
চলুন দেখা যাক
মাছটির নাম হলো "পিরানহা"।
আক্রমণাত্মক ও হিংস্র মাছ হিসেবে পিরানহার পরিচিতি বিশ্বব্যাপী। ধারালো দাঁত ও অত্যন্ত শক্ত নিম্ন চোয়াল থাকার কারণে কোনোকিছু খুব দ্রুত কামড়ে খেতে পারে এরা। শক্তিশালী নিম্ন চোয়াল ছাড়াও উন্নত ও পুরু মাংসপেশী এবং পার্শ্বীয়ভাবে চাপা দেহ মাছটিকে আরো অনেক বেশি হিংস্র করে তুলেছে।
এদের চোখ বেশ বড় হওয়ায় শিকার এদের চোখকে ফাঁকি দিতে পারে না। আর এদের ক্ষিপ্রগতির কারণে বিজ্ঞানীরা এই মাছকে ‘রাক্ষুসে মাছ’ বলে অভিহিত করেছেন।
হিংস্র ও মানুষ খেকো এই মাছটির দেখা মেলে দক্ষিণ আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা ও আফ্রিকায়। এদের অনেক প্রজাতি স্বাদু পানিতে ও কিছু প্রজাতি লোনা পানিতে বসবাস করে।
পিরানহা উষ্ণ আবহাওয়া বেশি পছন্দ করে। এই মাছ লম্বায় প্রায় ১২ ইঞ্চি হয়।
অনুকূল পরিবেশে পিরানহা ১০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। আচরণে হিংস্র হলেও কিছু কিছু পিরানহা দেখতে অত্যন্ত সুন্দর ও আকর্ষণীয় হওয়ায় তাদের অ্যাকুরিয়ামে রাখা হয়।
জলের ভেতরে কোথাও রঙের সামান্য গন্ধ পেলেই পিরানহা ঝাঁক বেঁধে সেখানে উপস্থিত হয়। আর কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব পেলে নিমিষেই তা খেয়ে ফেলে।
জলের আতঙ্ক পিরানহা এতোটাই ভয়ানক ও কুখ্যাত যে এরইমধ্যে হলিউডে পিরানহা মাছকে নিয়ে চলচ্চিত্র পর্যন্ত বানানো হয়েছে। শুধু চলচ্চিত্রেই নয়, পিরানহা মাছের হিংস্রতার অনেক উদাহরণ বাস্তবেও খুঁজে পাওয়া যায়।
সময়টা ১৯৮১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর। আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিটে আমাজনের খুব কাছ দিয়েই ব্রাজিলের একটি স্টিমার ৫৩০ জন যাত্রী ও ২০০ টন মালামাল নিয়ে যাচ্ছিল।
স্টিমারটি হঠাত্ একটি বন্দরের কাছে এসে ২৬০ ফুট গভীর পানিতে উল্টে যায়। স্টিমার উল্টানোর ফলে যাত্রীরা খুব আঘাত পায় ও রক্তাক্ত হয়।
আর এই রক্তের গন্ধ পেতেই সেখানে হাজির হয়ে যায় পিরানহা। সেই দুর্ঘটনা থেকে কেবল ১৮২ জন জীবন নিয়ে ফিরতে পেরেছিল। তাদের প্রত্যেকেরই শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত ছিল।
আর বাকি ৩৮৪ জন দিয়ে পিরানহারা তাদের ভোজন সারে।
অসংখ্য রহস্য ও বৈচিত্র্যে ভরপুর আমাদের এই পৃথিবী। মহাকাশ থেকে শুরু করে সমুদ্রের গভীর তলদেশ পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য রহস্য।
রহস্যময়য় সব ভয়ঙ্কর তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। আল্লাহ্ হাফেয।
আরে রহস্যময় ভিডিও দেখতে Rohossomoy Prithibi ঘুরে আসতে পারেন।
আমি রহস্যময় পৃথিবী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।