ইউটিউবে গানের প্রতিযোগিতার একটা ভিডিও ক্লিপ দেখছিলাম। খুব সম্ভবত “ইন্ডিয়ান আইডল”।
একজন প্রতিযোগীর গান শোনার পর, আমার মাহফুজুর রহমানের গানও ভালো লাগতে শুরু করলো।
বিচারকরা অনেক সুন্দর করেই বুঝিয়ে বললেন, যে আপনার গানের সুর আমাদের এই অনুষ্ঠানে নেয়ার মতো না। আপনাকে অনেক প্রাকটিস করতে হবে। কিন্তু সেই প্রতিযোগী তো নাছোড় বান্দা, তাকে নিতেই হবে। তা না হলে সে যাবে না।
সে বারবার করে বলছিলো, সে হচ্ছে ইন্ডিয়ার সবচেয়ে বড় শিল্পী, তার কন্ঠ সবার চেয়ে ভালো, তার চেয়ে ভালো কেউ হইতেই পারে না। তার কথায় কনফিডেন্সের কোন কমতি ছিলো না।
সেদিন ভাবছিলাম, পাগল হবে হয়তো।
পরে জানতে পারলাম, এটা আসলে একটা পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার। নার্সিসিস্টিক পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার।
- এদের নিজেকে সবক্ষেত্রে সবার থেকে আলাদা আর অধিক যোগ্য বলে মনে করে।
- ভাবে তাদের কথাগুলো কেবল স্পেশাল শ্রেণীর মানুষেরাই বুঝতে পারবে।
- বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা নিজেরাই পরশ্রীকাতর, কিন্তু তার আশে পাশের মানুষদেরকেই তারা পরশ্রীকাতর মনে করে।
- সম্পর্কগুলো তাদের কাছে মূল্যহীন, তাদের কাছে আবেগ এক অমূলক বিষয়।
এই ধরনের ডিসঅর্ডারের কারণ সাধারনত লুকিয়ে থাকে পরিবারের মানুষদের মধ্যে।
- হয়তো পরিবারের মানুষগুলো অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীল।
- ছোট কোন ভালো আচরণে অনেক প্রশংসা পাইতো, আবার ছোট কোন খারাপ আচরণেই অনেক বেশি সমালোচনা।
- চাইল্ডহুড আবিউজের শিকার হয়ে থাকে কেউ কেউ।
তাদের আচরণে হয়তো কখনো আমাদের চিন্তার জগতকে নাড়িয়ে দেয়, কখনো বা তারা হাসির পাত্র হয়ে উঠে তারা। তবুও তাদের জায়গায় তারা ঠিকই থেকে যায়।
আমাদের চারপাশেই হয়তো এমন অনেককে পাওয়া যাবে, যারা নার্সিসিস্টিক পারসোনাল ডিসঅর্ডার এর ভিক্টিম। চিন্তা করে দেখেছেন কি?
আমি রেজওয়ান প্রান্ত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।