আমার নিজের লেখা কিছু লুকানো কষ্ট “বোবা আর্তনাদ” কবিতা বা প্রেমালাপ

আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম আমার নিজের লেখা কিছু লুকানো কষ্ট "বোবা আর্তনাদ" কবিতা বা প্রেমালাপ...

"প্রেমে স্বর্গ সুখ"

কল্পনিয়তার মাঝে বাস করা মনের আক্ষেপগুলো
স্বপ্ন বিলাসিতায় মেতে ওঠে তোমাকে পাবার আশায়

আশা-নিরাশার দোলাচালে একটুখানি আলো
এসে উকি দেয় কালো মেঘের ফাকে

তুমি সেই আলো হয়ে সুর্যের হাসি নিয়ে
আমার জীবনে এলে কষ্টের সাগরকে শুকিয়ে দিতে

সাগর শুকিয়ে মরুভূমি হয়ে যায়,
সেই মরুভূমির বুকে ফুটে উঠে
তোমার ভালবাসার লাল গোলাপ ফুল গুলো

সেই লাল গোলাপের সুবাসে
আমি যেন আনন্দে আত্নহারা হয়ে
তোমার হৃদয়ের মাঝে হারিয়ে যায়

এরপর হৃদয়ের মাঝে হারিয়ে যাওয়া
প্রেমের সুখো অনুভুতিগুলো
ছড়িয়ে পরে অন্তরের অন্তস্থলে

তখন অন্তরের অন্তস্থল হতে ডাকি তোমায়
"এস কাছে এস আর দূরে থেক না, কাছে এসে ভালবাস আমায়
আর ভালবাসার স্বর্গ সুখে ভাসিয়ে দাও আমায়"

এরপর প্রেমের স্বর্গ সুখে মোরা দুজন
হারিয়ে যায় ভালবাসা নামক এক সাগরের অতল গহবরে

 "প্রতিক্ষার প্রহর"

আছি সেই শত হাজারো বছরের প্রতীক্ষায়
যেখান গেলে আর হবে না ফেরা
আশায় আছি হবে সে আমার সংগীনি যাকে পারিনি মনের কথা জানাতে
সেই স্থানে যেখানে নেই কোন কষ্ট আর দুঃখ আছে শুধু সুখ আর সুখ
আমি এক আবেগী মানুষ যে পারেনি অন্তরের কান্না লুকোতে
আর কান্নার মাঝেই ভাবি স্রষ্টার কথা
আর বুকের কষ্ট চেপে রেখে আশায় বুক বাধি হয়তো সে হবে সংগীনি কোন এক সময়ের শেষ সীমানায়

 "কল্পনার বিলাসিতা"

আমি এমন এক ভুবনে বাস করি যেখানে চিন্তার আশ্রয় শুধুমাত্র স্বীয় মস্তিষ্কে
আর যাকে ঘিরে এই কল্পনার বিলাসিতা সে যেন এক সূদূর অতীত
কল্পনার রাজ্যে যে রাণী সেজে বসে আছে,
সে কি হবে দৃশ্যমান স্বীয় জীবন কে আলোকিত করে??

 "নীল বেদনা"

শূন্য নিস্তব্ধ হৃদয়ে আজ আর্তনাদ না পাবার বেদনায়
বেদনার রং নীল হয়ে যায় সমুদ্রের কালিতে
নিরাশা মন আমার কাদে আর কেদে যাই এক বুক বেদনা নিয়ে
অব্যক্ত শব্দগুলো জমা হয় ক্ষত ভাঙা হৃদয়ে
ক্ষত হৃদয়ের ভাঙা ঢেউগুলো আজ আছড়ে পড়ছে নীল বেদনা হয়ে
সেই নীল বেদনার ভাঙা ঢেউগুলো ঝড়ে পড়ে চোখের জল হয়ে
আর সেই চোখের জলে মুছে যাবে কি কষ্টের নদীতে বয়ে যাওয়া না পাবার বেদনা ??

 "প্রতিক্ষার সুখো স্মৃতি"

গোধূলি লগ্নে সূর্যাস্তের সময়,
বসে আছি একা সাগর পাড়ে,
ঠিক সে সময় তুমি এলে,
বাতাস হয়ে আর ছুয়ে গেলে আমায়,
আর চোখের জলে ধুয়ে গেল সব কষ্ট গুলো,
সুখের আশায় চেয়ে থাকি তোমার পানে,
আবারো এলে তুমি রঙধনু হয়ে জীবন কে রাঙ্গিয়ে দিতে,
আমি সেই রঙ মেখে রাঙ্গিয়ে দিলাম আমার জগত টাকে,
সুখ এল কষ্ট গেল তারপর
তারপর এল এক ঘন কালো মেঘ,
যে মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়ে ভিজিয়ে গেলে আমায়,
ভিজতে ভিজতে হারিয়ে গেলাম এক সুখ স্মৃতিতে,
যে স্মৃতিতে মিশে আছে শুধু তুমি আর তুমি,
বৃষ্টি থেমে গেল,
এরপর ভাবছি বসে আবারো আসবে কি ফিরে,
ভালবাসা নিয়ে আমাকে ছুয়ে দিতে,
রইলাম তারি প্রতীক্ষায় অনন্তকালব্যাপী,
সেই সাগর পারে,
যেখানে পা ভিজিয়ে নোনা পানিতে,
দাঁড়িয়ে থাকি দূর আকাশের পানে চেয়ে,
আর ভাবি ভালবাসার সুখো স্মৃতি গুলোকে

 “কড়জোড়ে মিনতি”

শিরা-উপশিরায় চলে প্রেমের স্পন্দন আর ডাকে তোমায়,
কোথায় তুমি? কোথায় তুমি?
তুমি এসে বদলে দাও আমার এই দুর্বিষহ জীবন টাকে,
আলোকিত কর আমার এই অন্ধকার জীবন টাকে,
এই মিনতি করি আমি দু-হাতে তোমারি কাছে,
নিষ্ঠুর হয়ো না, কষ্ট দিও না,
আর কত আগুনে পোড়াবে আমায়?
পুড়তে পুড়তে ক্ষত হয়ে গেছে আমার ভাঙা হৃদয়,
ভাঙা হৃদয় টাকে সাথে নিয়ে বেচে থেকেও-
হয়ে গেছি মমি আমি,
হতে চাইনা জীবন্ত লাশ আমি,
থাকতে চাই বাচতে আমি তোমার ভালবাসার সঙ্গী হয়ে,
পারবে কি হৃদয়ের আগুন টাকে নিভাতে?
পারবে কি দিতে বরফ গলা নদীর মত ভালবাসা?
পারবে কি? পারবে কি তুমি? বলোনা আমায়?
এই মিনতি করি আমি দু-হাতে কড়জোড়ে তোমারি কাছে

 "ভগ্ন বিশ্বাস"

বিশ্বাস হয় যখন আড়াল,
স্বার্থ হয় তখন মুখ্য,
এ যেন এক অসমাপ্ত কবিতা,
চেনা মুখ তখন হয়ে যায় অচেনা,
স্মৃতি বিজড়িত দিনগুলো হয়ে যায় তখন অতীত,
ঘটে যায় তখন বিরহ-বেদনা দু-জনের মাঝে,
দুঃখ গুলো যখন থাকে অন্ধকারে,
আলোর খোজে তখন সুখ-স্মৃতি গুলো

সব কিছু ভুলে
আজ জানাই আমন্ত্রন তোমায়,
বিসর্জন দেই আমার নষ্ট অতীতকে,

এসো
কালোর সুতোর বাঁধনে আবার জড়াই,
ভুলে যাই পিছনের সব দুঃখ স্মৃতি গুলোকে,

কোথায় তুমি? কোথায় আমি?

এস ফিরে এস
রয়েছি আজ আমি,
তোমারি প্রতিক্ষায়

 "অত:পর মহা মিলন"

নিঃসঙ্গ যখন আমি...
আজ একলা পথ হারা পথিক আমি,
চলেছি অচেনা পথে অজানা পানে,
হারানো সাথী কে পাবার আশায়

অভিমানী যখন তুমি
ভুলবুঝে যে তুমি চলে গেছ বহুদূরে,
আসবে কি ফিরে ভুল ভেঙে আর অভিমান ভুলে?

তারপর
আমি ভুল ভাঙানো আর সত্য প্রকাশের ব্যর্থ প্রচেষ্টায়,
সারাদিন পথহারা পথিকের মত তোমায় খুজে ফিরি,
খুজতে খুজতে হারিয়ে যাই স্মৃতি বিস্মৃতির অতল গহ্বরে,
আর কল্পনার সাগরে ভাসতে ভাসতে চলে যাই নিঃসঙ্গ কোন এক দ্বীপে

ক্লান্ত পথিক যখন আমি
ঘুমহীন দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে হেটে খুজে ফিরি যখন তোমায়,
তখন হটাৎ মনে পড়ে,
তোমাকে বলা হয়নি;
হয়নি বলা "ভালবাসার কথা",
বলছি এখন আমি তোমায়,
"ভালবাসি শুধু ভালবাসি তোমায়"

হাটতে হাটতে অবশেষে দুরত্বের শেষ সীমানায়
হটাৎ দেখি তুমি বসে আছ নীল সমুদ্রের তীরে,
আর চেয়ে আছো উদাস দৃষ্টিতে সূর্যাস্তের দিকে,
হয়ত ভাবছ তুমি কেন এমন হয়?
ঠিক তখন আমি এসে ছুয়ে দিলাম তোমার দু-হাত,
এরপর তুমি কেঁদে উঠলে আর তোমার চোখের জলে ভেসে গেল,
বিরহ-বেদনার দুঃখ স্মৃতি গুলো,
আর ভালবাসার দৃষ্টি নিয়ে চেয়ে রইলে আমার পানে,
আর আমি সব ক্লান্তিকে পিছনে ফেলে চিৎকার করে আকাশ সমুদ্রকে সাক্ষী করে বলললাম,
"আমি এখনো বেঁচে আছি শুধু তোমার জন্য আর ভালবাসি শুধু তোমায়,
যে ভালবাসা চিরন্তন সত্য,
কখনো মিথ্যে নয়"

তারপর, তারপর
শুরু হল নতুন এক জীবন,
এরপর মহাকালের স্রোতে ভেসে গেলাম,
মোরা সময়ের শেষ প্রান্তে অনন্ত পথের মহাযাত্রী হয়ে

 "ভালবাসার প্রত্যাবর্তন"

অবুঝ হৃদয় দিয়ে আর
সহজ সরল আবেগী মন দিয়ে ভালবেসেছিলাম,
আর মিশেছিলাম ভালবাসার রক্ত স্রোতে,
শিরা-উপশিরায় স্পন্দিত ভালোবাসার আবেগ মাখা কন্ঠে বলেছিলাম,
"ভালবাসি তোমায় শুধু তোমায় ভালবাসি"

হটাৎ একদিন দেখি
স্বার্থপর হয়ে মিথ্যে স্বর্গ সুখের আশায়,
তোমার ভালবাসার মাঝে অন্য কারো ছায়া,
যে ছায়া তোমাকে গ্রাস করে আমাকে করেছে চোখের জলের নিত্য সাথী,
আর মিথ্যে মরিচিকার পিছনে ছুটতে গিয়ে হয়ে গেলে অর্থহীন মিথ্যে ভালবাসার অভিনেত্রী

সত্যকে আর প্রকৃত প্রেমকে ভুলে গিয়ে মিথ্যে নষ্টকে সাথী করে তার কালো ছায়ার মাঝে নিজেকে শপে দিলে বিলীন করে

সবকিছু হারিয়ে যখন নি:স্ব পথহারা পথিকের মত ফিরে এলে করজোড়ে ক্ষমা চাইতে,
তখন সবকিছুকে মেনে নিয়ে আত্মত্যাগি হয়ে বলেছিলাম,
"প্রকৃত ভালবাসা হলো শ্বাশত চিরন্তন সত্য ও পবিত্র",
আর তুমি কেঁদনা আমি আছি তোমার পাশে আর থাকব চিরকাল,
আর কোন মিথ্যে কালো ছায়া হবে না কোন দেয়াল দু-জনের ভালবাসার মাঝে"

 "প্রেমাক্ষেপ"

তাকে দিয়ে
যা বোঝাতে চেয়েছি,
তুমি কি বুঝেছ জানিনা?
অথচ আমায় তুমি ভুল বুঝলে,

তুমি কি আমার চোখ দেখে বুঝনা আমি তোমায় কতটা ভালবাসি?
তুমি কি ভুলে গেছ আমি যে তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না?
তুমি কি পার না হৃদয় দিয়ে আমাকে উপলব্ধি করতে?
আমি যে কি তুমি তা আজও বুঝলে না?

সব কিছুকে ভুলে, এস তুমি ফিরে এস,
আমায় ভালবাস,
আমায় আর কষ্ট দিও না,
আমার খুব কষ্ট হচ্ছে তোমাকে না পাবার বেদনায়,
এত কষ্ট কেন ভালবাসায়?
তুমি কি চোখের জলের দাম দিবে না?
আর কত কাদাবে আমায়?
কষ্টের সাগরে ভাসতে গিয়ে
আমি যে সব শক্তি হারিয়ে ফেলেছি,

চিরন্তন পবিত্র প্রেম এর শপথ করে বলছি,
"তুমি হলে আমার আত্মা আর আমি সেই আত্মার আধার দেহ",
আত্মা ছাড়া দেহ কি করে বাচে বলো??

এরপরও কি তুমি আমাকে কাদিয়ে যাবে?
নাকি একটুখানি হলেও ভালবাসবে?

 "অভিমানী নি:স্ব মন"

এলে তুমি সূর্য হয়ে
জীবনকে আলোকিত করে,
চলে গেলে অবাক করে
জীবনকে আধার করে

কেন দুরে গিয়ে
ফিরে এলে
পুরনো সেই ঠিকানায়?

অভিযোগ নিয়ে
চলে গেলে
বোঝনি সেদিন আমায়,
পথ ভুল করে
ভাঙা ঘরে এসেছ
কিসের মায়ায়?

বুকের ক্ষত
গভীর এত,
অনুভূতি পাথর
হয়ে যায়

যে সময় দাড়িয়ে
ছিলাম আমি,
তোমার দরজায়
হয়ে অসহায়

অচেনা মোহে,
মিছে কলহে,
সেই সময়
তুমি হারালে
সূদুর অজানায়

বড় ভাল সেই
তুমি কাছে নেই,
তাই হারানোর নেই
কোন ভয় আমার,
তাই আজ আমি একা এক
জন মানব শুন্য
মরু অববাহিকায়...

 "ছলনাময়ী বিষাক্ত প্রেম"

একাকি একা পথে
হেটে যাই,
মনে পরে
প্রেমের সেই স্মৃতি গুলোকে,

হটাৎ ই দেখা হল তোমার সাথে,
তোমাকে দেখে মুগ্ধ পানে
রইলাম চেয়ে,
তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি
সে কি মোর অপরাধ?

সুদুর্শনা নারী তুমি
চোখ নামিয়ে চলে গেলে
আমাকে পাশ কাটিয়ে,
আমি পিছ থেকে ডেকে
তোমাকে দাড়াতে বলি,
আর প্রশ্ন করি তোমায়-
"কেমন আছো তুমি?"

জানালে তুমি জবাবে আমায়,
"আপনি কে?
আপনাকে তো আমি চিনিনা!"
আমি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে চেয়ে রইলাম,
নির্বাক দৃষ্টি নিয়ে চেয়ে থাকি,
আর ভাবতে থাকি

সে চলে যায় আমাকে অস্বীকার করে,
চিনেও না চেনার ভান করে,
এ কেমন রক্তে গড়া মানুষ তুমি?
কিসের মোহে, মিথ্যে আশায়
তুমি আজ আমাকে কষ্টের সাগরে
ভাসিয়ে চলে গেলে?
তুমি কি ভুলে গেছ ভালবাসার সেই পুরনো স্মৃতিগুলোকে?

তুমি এত নিষ্ঠুর কেন?
কেন এই সহজ সরল হৃদয় টাকে ভেঙে দিলে?
কেন আজ মন আমার ভগ্ন বিশ্বাসে নিমজ্জিত?

আমি আজ ঘৃনাভরে তোমাকে ধিক্কার দেয়,
ছি: ছি: তুমি এত স্বার্থপর কেন?
কি করে তুমি তোমার পবিত্র ভালবাসাকে অস্বীকার করলে?

অত:পর চোখের জলে বুক ভাসিয়ে,
একাকি একা পথে, এক
জন-মানবহীন শুন্য মরুর অববাহিকায়
হেটে চলেছি নিরুদ্দেশ গন্তব্যকে সামনে রেখে

 "শেষ স্বপ্ন"

তোমার রুপের অনলে পুড়ে দগ্ধ হয়ে ওঠা মনটা যখন
দার্শনিক হয়ে আমার দুরদর্শনের মাঝে ছেদ পড়ায়,
তখন জোয়ারে ভাঙা ঢেউয়ের মাঝে হারিয়ে যায়
কষ্ট গুলো স্মৃতি বিস্মৃতির অতল গহবরে

আর কবি কবি মন আমার যখন কলম খাতা নিয়ে
বসে এক জীবনের গল্প-কথা নিয়ে,
তখন কাব্যিক মন আমার খুজে বেড়ায়
মরীচিকার মাঝে ভেসে বেড়ানো এক ভালবাসার
কল্পনার ঘোড়ার লাগামহীন ছুটে চলা অবিরাম যাত্রার পথে

যখন নি:ঘুম রাত জাগা প্রহরীর মত
জেগে জেগে ভাবি তোমার কথা,
তখন দু-চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরে যায়
ঝড়া পাতার মত নীল বেদনা নিয়ে

আবেগী নি:স্ব মন আমার যখন
বিষন্ন অনুভূতি নিয়ে হৃদয় প্রেম শুন্য হয়ে যায়,
তখন বুকে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়ে
প্রেমের অনুভূতি গুলো পাথর হয়ে যায়

অবশেষে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে
সময় যখন থমকে দাড়ায় মৃত্যু মুখে,
তখন কষ্টের দেয়াল গুলোকে ভেঙে চুড়ে তুমি এসে
পারবে কি মুখ ফুটে বলতে একবার
"আমি ভালবাসি তোমায়"?

 "দু:খ মাখা সুখ"

স্বার্থপরতার এই দুনিয়ায়
সবাই পর হয়ে যায়
আপন বলে কেউ নেই
নেই কোন সম্মান
নেই কোন মূল্য
সব যেন স্বার্থপর
আর মিথ্যে মরিচীকার
পেছনে ছুটছে সবাই

আর যাকে ভেবেছিলাম আপন
সে আজ হয়ে গেছে পর
আর তার মাঝে
বাস করে অন্য
এক প্রিয় জন
সে আজ বুঝল না
কি ছিল আমার মনে
আর কি ছিলাম আমি?

যার জন্য করি সব কিছুই
তার কাছে নেই
কোন সে সবের মূল্য
আর তাই মূল্যহীন ভালবাসার
অব্যক্ত কষ্টগুলো জল হয়ে
নয়ন বেয়ে ঝড়ে পড়ে
মরা পাতার মতন

সে এক অনুভূতি আমার,
আমি নেই আজ আমাতে
আর সবই আছে আজ পৃথিবীতে
যেমন আছে,
প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়া
ভোরের শিশির বিন্দুগুলো
যা ভিজে যায়
কুয়াশা মাখা জলে
আর সেই শিশির বিন্দুগুলো
যা শুকিয়ে যায়
রবির আলোকে
এরপর আসে এক পশলা বৃষ্টি
আর সেই বৃষ্টিতে ভিজে
মন আমার মিশে যায় মাটিতে
এক বুক নীল বেদনা নিয়ে

এরপর সবকিছুকে
ভুলে শুরু করি
নতুন এক জীবন
আর সেই জীবনে
আছে শুধু এক "দু:খ মাখা সুখ"

 বাবা...

হৃদয়ের অন্তস্থলে প্রতিটি মুহূর্তে
যে শব্দটি উচ্চারিত হয় তা হল আমার বাবা,
বাবাকে হারিয়ে আমার এই এতিম জীবনে
চোখের জল ছাড়া আর কিছুই সংগী নয়
ভালবাসার, স্নেহের আর মায়ার বাধন ছেড়ে
পরপারের ডাকে পাড়ি জমিয়ে
বাবা তুমি আজ কতদূরে অন্ধকার
এক কবরে একাকী চিরনিদ্রায় শায়িত আছ
যে মানুষটি আমার জীবনে
আদর্শতার প্রতীকি হয়ে এসেছিলেন
সেই তিনি হলেন আমার প্রান প্রিয় বাবা
চির বিদায়ের পূর্ব পর্যন্ত যে মানুষটি
সুখে দু:খে আমাকে জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার জন্য
যে অমূল্য বাণী দিয়ে গেছেন
সেই তিনি হলেন আমার প্রাণ প্রিয় বাবা
কত ভালবাসা, কত মায়া, কত আদর, কত স্নেহ,
কত রাগ, কত অভিমান, কত শাসন, কত আদেশ,
কত উপদেশ, কত নির্দেশনা, কত সুখ, কত দুখ,
কত কিছুই না দিয়ে বাবা তুমি আমাকে করেছ
চির ঋণী আর পরিপূর্ণ মানুষ
বাবাগো ও বাবা, তোমার কি মনে পড়ে
তোমার হৃদয়ের টুকরো সেই দুরন্ত ছেলেটির কথা,
যে ছেলেটি আজ তোমার স্বপ্নগুলোকে সত্যি করে
সমাজে এক প্রতিষ্ঠিত মানুষ
বাবা, তোমার কি মনে পড়ে
সেই পথের কথা,
যে পথ ধরে তোমার হাত ধরে
কতদূর হেটেছি তার কোন হিসেব নেইবাবা, তোমার কি মনে পড়ে
সেই ভ্রমনের কথা,
যে ভ্রমনে তুমি আর আমি চলেছিলাম
কোন এক নিরুদ্দেশ গন্তব্যকে সামনে রেখেবাবাগো ও বাবা, তোমার কি মনে পড়ে
সেই অন্তিম মুহূর্তের কথা,
যে মুহূর্তে মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতর হয়ে
চির বিদায় লগ্নে
তুমি আমার হাতে হাত রেখে
আর আমার মাথায় আলতো স্পর্শ করে
তুমি চোখের পানি ঝরিয়ে
আমাকে এতিম করে
আর এক বুক ভরা বেদনা দিয়ে
চলে গেলে পরকালে স্রষ্টার সান্নিধ্যে

বাবা, আমার আজ খুব মনে পড়ছে
তোমার ঐ কন্ঠস্বর,
যে কন্ঠে তুমি আদর করে ডাকতে আমায়,
"ওরে খোকা আয়, তুই আমার বুকে আয়, আর দুরে থাকিস নে"
বাবা, তোমার মত আদর করে
কেউ আর আমাকে এভাবে ডাকে না

বাবাগো, তোমার কাছে কড়জোড়ে মিনতি আমার,
"তুমি স্বপ্নের মাঝে এসে ছুয়ে যেও আমায়,
আর স্বপ্ন শেষে যেন তোমার কথা ভেবে
অশ্রু যেন ঝরে পড়ে আমার দুচোখ বেয়ে"

বাবাকে নিয়ে লেখার শেষ প্রান্তে এসে
প্রার্থনারত অবস্থায় স্রষ্টার কাছে
এই চাওয়া আমার,
"হে প্রভু তুমি আমার চির দু:খী কবর বাসী বাবাকে জান্নাতবাসী করো,
সুখী করো, আর তোমার হেফাজতে রেখে
উনার উপর রহমত বর্ষন করো...আমীন"।

 মা...

মাগো, তুমি দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারন করে অন্ধকার জগত
থেকে দুনিয়ার বুকে সুরুজের আলো দেখিয়ে করেছ আমায় ঋণী
মাগো, তোমার কি মনে পরে তোমার কোল জুড়ে আসা সেই ছোট্ট অবুঝ শিশুটির কথা,
যে অবুঝ শিশুটি আজ সময়ের পরিক্রমায় শত শত মাইল পেরিয়ে
কোন এক সবুজ শ্যামল দেশে মিশে গেছে জীবন-জীবিকার মাঝে
মাগো, তোমার কি মনে পরে সেই দিনগুলোর কথা,
যে দিন গুলোতে আমি ছিলাম অসহায় পথ-হারা পথিকের মত,
তখন আমি নিজেই হারিয়ে যেতাম তোমার স্নেহ আর আদর মাখানো মমতায় ভরা ভালবাসায়
মাগো, আজ মনে পড়ছে তোমায় আমি কত জ্বালিয়েছি, কত কষ্ট দিয়েছি,
কত অপরাধ করেছি নির্বোধ অবুঝ বালকের মত,
তুমি মুখ ফিরিয়ে নাওনি, তুমি নিরবে সব কিছুকে সহ্য করে বুকের মাঝে আমাকে আগলে রেখেছিলে
মাগো, আজ মনে পড়ছে তুমি কখনো কখনো নিজে না খেয়ে ভুখা থেকে আমাকে মুখে তুলে দিয়েছিলে অন্ন,
আমাকে কখনো বুঝতে দাওনি তোমার অব্যক্ত কষ্টগুলোকে...
মাগো, তুমি তো এক মহীয়সী নারী
যার ঋন কখনোই শোধ করতে পারবো না আমি,
জন্ম থেকে জন্মান্তরে সারা বিশ্ব জুড়ে খুজে পাবো নাকো তোমার মত এমন এক মমতাময়ী মা
মাগো, তোমাকে আজ খুব বেশি মনে পড়ছে,
আর তোমার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে চোখের অশ্রুতে ভেসে যায় স্মৃতিমাখা সেই পুরনো দিনগুলোকে...
আমার লেখাগুলো কেমন লাগল জানিয়ে টিউমেন্ট করবেন আশা করি...

Level 0

আমি শাকীল আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস