আজ আমি যা আপনাদের সাথে শেয়ার
করব তার সব কিছুই আমার নিজেস্ব
অভিজ্ঞাতা থেকে এখানে আমি
নির্দিষ্ট কোন কারণ বা উপায়
আপনাদের কে দিতে পারব না তবে
আমি যেভাবে সফলতার দিকে এগিয়ে
যাচ্ছি সেটা সবার ক্ষেত্রে সময় না ও
হতে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে
এক হয়ে থাকে। তাহলে আসুন আজ জেনে
নিই কিভাবে আপনি আপনার সফলতার
দিকে এগিয়ে যাবেন।
#১. কি করতে চানঃ- সবার আগে
আপনাকে ভাবতে হবে আপনি কি
করতে চায়। আপনি কি,কেন এবং
কিভাবে আপনার কাজ টা করতে চান?
কিভাবে কাজটা শুরু করলে আপনি
ভালবোধ করবেন? আপনার কাজের জন্য
কি কি প্রয়োজন সেটা ঠিক করতে
হবে।
#২.
কাজের মাধ্যমঃ- আপনি যে ক্ষেত্রে
কাজ করতে চান সেখানে আপনি কি
কি বাঁধার সম্মুখিন হতে পারেন সেটা
আপনাকে চিন্তা করতে হবে এবং তার
জন্য আপনাকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
#৩. হতাশ হলে চলবে নাঃ- আপনি
আপনার কাজের ক্ষেত্রে বারবার
বাঁধার সম্মুখিন হচ্ছেন তাই হতাশ হয়ে
যাচ্ছেন। না এভাবে আপনাকে ভেঙে
পড়লে চলবে না। আপনাকে আর ও শক্ত
হতে হবে। মনে রাখবেন “সমস্যা যত
সমাধান তত”
#৪. অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়াঃ-
আপনি যে কাজে অভিজ্ঞ না সে
কাজের জন্য আপনি আপনার সিনিয়ার
ব্যক্তিদের থেকে পরামর্শ নিতে
পারে। কারণ তারা আপনার চেয়ে সেই
কাজ টা আর ও আগে করেছে এবং
জানে ও বেশী। আর বাংলা সিনেমা
তে একটা সংলাপ আছে-”মুরব্বিরা যা
বলে বুদ্ধিমানেরা সেই মতন ই কাজ
করে”
#৫. নিজের ইমেজ তৈরী করাঃ- আপনি
যেখানে কাজ করেন না কেন সেখানে
আপনাকে অব্যশই আপনার ইমেজ তৈরী
করে নিতে হবে। তবে এই ইমেজের অর্থ
এই নয় যে, আপনাকে দেখে লোকজন ভয়
পাবে। যতদূর জানি যে, গুগলের দুই জন
ব্যবস্থাপক তাদের কোন আলাদা রুম
নেই গুগল অফিসে তারা সবার মাঝে
বসে কাজ করেন কিন্তু তারপর ও তার
সবার থেকে আলাদা।
#৬. নিজের পেশাকে সম্মান করাঃ-
এটা আপনার আমার সবার জন্য জরুরি।
আমি এটা অনেক সময় অনেকের ভিতরে
দেখেছি যে, তারা তাদের পেশাকে
সম্মান করে না, আর তার জন্য তাঁরা সহ
তাদের মতন কাজ করে যারা তারা
প্রত্যেকে এই সমস্যার সম্মুখিন হয়।
উদারহণ স্বরূপ বলতে পারি যে, আপনি
যদি ওয়েব সাইট ডিজাইনার হন আপনি
একটা সাইট তৈরী করে দিবেন ২০
হাজার টাকায় কিন্তু আপনার মতন আর
একজন সেটা করে দিচ্ছে ১০ কিংবা
তার চেয়ে কমে। তাহলে কি হবে,যার
কাজ আপনি করে দিচ্ছেন সে এই কাজ
অনেক সহজ ভাববে এবং পরিবর্তীতে
আপনাকে ই উক্ত ব্যক্তি আর ও কমে
প্রজেক্ট অফার করবে।
#৭. নিজের উপর আস্তা রাখুনঃ- এখানে
আমি বলব যে এটা ছাড়া আপনার কোন
মূল্য নেই। কিছুদিন আগে এটা
বিজ্ঞাপণ দেখেছিলাম যেখানে
একটা বাচ্চা ছেলে বলছে যে, “আম্মু
বলেছে যে আমি পারব”। আশা করি
আমি কি বলতে চেয়েছি আপনি
নিশ্চয়ই বুজতে পেরেছেন।
#৮. দক্ষতার উপর ভিত্তি করে কাজ
নিনঃ- এটা হচ্ছে আপনার সফলতার
অন্যতম চাবিকাঠি। ধরুন আপনি একজন
গ্রাফিক্স ডিজাইনার এবার আপনি
একটা কাজ নিলেন সেটা হল ওয়েব
সাইট ডিজাইনের। তাহলে এবার আপনি
কিভাবে এই কাজটা শেষ করবেন? আর
যদি করতে ও পারেন তাহলে কতটা
সফলতার সাথে করতে পারবেন?
আমাদের অঞ্চলে একটা কৌতুক আছে
সেখানে স্যার এক ছাত্রকে বলছে যে,
“বানান কর বাক্স” -ছাত্র বলে “স্যার
ছোট বাক্স না বড় বাক্স” -স্যার”বড়
বাক্স” -ছাত্র “স্যার আমি এত ছোট
মানুষ বড় বাক্স বানান করব কিভাবে?”
আশা করি বুজতে পেরেছেন।
#৯. নির্ভশীলতা কমানোঃ- আপনাকে
অব্যশই এই অভ্যাস টা ত্যাগ করতে হবে।
কারণ আপনি কার ও উপর নির্ভর করে
কোন কাজ নিতে পারেন না। আপনি
হয়ত ভাবতে পারেন সে আমার অমুক হয়,
আমার কাজ টা সে আমার করে দিবে।
না কখন ই না আপনি এটা করবেন না।
কারণ আপনি হয়ত যে কাজটা নিচ্ছেন
অন্যের ভরসা তে নিচ্ছেন সে হয়ত বা
অন্য কাজে ব্যস্ত থাকতে পারে।
#১০ধৈর্য ধারণ করাঃ- এটা আপনার
জন্য সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আপনি যে
কাজ ই করেন না কেন। সেটা হউক
অনলাইন বা অফলাইন যেটাই হউক না
কেন। আমার যতদূর ধারণা যে আপনি যে
ক্ষেত্রে কাজ করেন না কেন আপনাকে
অব্যশই ০৫ বছর অপেক্ষা করতেই হবে।
বাংলাতে প্রবাদ আছে-”ধৈর্য ফল
মিষ্টি হয়” তাই আপনাকে ধৈর্য ধারণ
করতে হবেই। সময় ই আপনাকে বলে
দিবে আপনি কখন সফলতা পাবেন। আর
এর চেয়ে বেশী লাফলাফি করলে এমন
জায়গাতে পড়বেন সারা জীবনে ই
সফলতার চিহ্ন দেখতে পারবেন না।
আরো বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিও টি পুরো টা দেখুন।
আশা কুরি ভিডিও টা আপনাদের একটু হলেও আাজে লাগবে
আমি পলাশ বর্মন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 119 টি টিউন ও 12 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।