শিরোনামে কাহিনী বলেছি তাই আবার ভেবে নিয়েন না যে বানানো কোনো গল্প!! এটা সম্পূর্ন আমার এবং আমার কিছু বন্ধুর নিজস্ব অভিগ্যতা থেকে বলছি।
অমি ঢাকায় থাকি তবে আমার বাকি চার বন্ধু চট্রগ্রামে থাকে। ওরা বেশ কয়েকদিন যাবৎই প্লান করছিল কক্সবাজারে যাবে। কেবল সময় ঠিক করে উঠতে পারছিল না। ওরা মোঙ্গলবার সকালে(24 February 2009) ঠিক করল আগামী বৃহস্পতিবার মানে আরও 9 দিন পর(5 March 2009) কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। তাই আমাকে বলা হল আমি যেন 7 দিন পর মানে রওনা দেবার 2 দিন আগে (3 March) চিটাগাং এর উদ্দেশ্যে(আমার খালার বাসা) রওনা দেই। হাতে আরও অনেক দিন থাকায় আমি কোনো প্রকার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করি নি। ঐদিনই সন্ধ্যায় মানে (24 feb) তারা আমায় আবার ফোন করে বলে আগামী বৃহস্পতিবার নয় এই বৃহস্পতিবারই(26 feb) রওনা দিবে(কারন আগামী বৃহস্পতিবার ওদের কলেজে পরীক্ষা আছে)। আমি যেন আগামীকালই (25 Feb) রওনা দিয়ে দেই!! আমার মাথাতো নষ্ট হবার উপক্রম! কোনো জামাকাপড় ধোয়া নাই। কোনো মানসিক প্রস্তুতি নাই। আবার ট্রেনের টিকিটও কাটা হয় নাই। আমি আবার ট্রেন ছাড়া দুরের যাত্রায় যাই না। আমি চিটাগাং ফোন করে বলে দিলাম যদি ট্রেনের টিকিট পাই তবেই আমি তোমাদের সাথে যাব। নতুবা আমার যাওয়া হবে না। যেহেতু সন্ধ্যায় খবর পাই সেহেতু অন্যান্য আনুসাংগিক কাজ করতে করতে আমার আর সেইদিন টিকিট কাটতে যাওয়া হল না। পরদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে গেলাম। নাস্তা না খেয়েই টাকা নিয়ে সকাল 7 টায় (25 Feb) টিকিট কাটতে বেরিয়ে গেলাম। টিকিট কাটতে গিয়ে তো আমার মাথা আরও খারাপ হয়ে গেল! তারা বলছে আজকে কেন আগামী 2 দিনেরও টিকিট নাই!! শুক্রবার ও শনিবার সরকারী ছুটিন দিন এর জন্যই নাকি এই অবস্থা। আমি কি করব ভেবে উঠতে পারছিলাম না। ঠিক এই সময়ই অন্ধকারে আশার আলো খুজে পেলাম। দেখতে পেলাম আজ সকাল 7 টায় ছেড়ে যাবার কথা যে মহানগর প্রভাতী তা এখন 8 টায়ও এসে পৌছোয় নি। অনেকে এই দেরী সহ্য করতে না পেরে টিকিট ফেরত দিচ্ছে। আমি গিয়ে ষ্টেশান মাস্টারদের সাথে আলাপ করে জানতে পাই বিশেষ কারনে ট্রেনটি দেরী করছে তবে সকাল 10 নাগাত ট্রেন এসে যাবে এবং 10.30 এর মধ্যে পুনরায় রওনা দিবে।(যারা ঐদিন ট্রেন ষ্টেশানে গিয়েছিল তারা আমার কথা যে সত্য তা স্বীকার করবে)। যদিও আমার কোনো জামাকাপড় এখনও বেগ এ ঢুকানো হয় নি তবুও সাহস করে একটি ফেরত দেয়া টিকিট কিনে নিয়ে খুবই দ্রুত বাসায় ফেরত আসলাম। বাসায় আসতে আসতে সকাল 8.40। কোনো মতে একটা রুটি খেয়ে রেডি হওয়া শুরু করলাম। কোনো মতে রেডি হয়ে রওনা হলাম একা সকাল 9.50 এ এবং ষ্টেশানে পৌছালাম 10.15 তে। এসে দেখি ট্রেন এসে গেছে একটু ধোয়া মোছা করা হচ্ছে। আমি আমার নিদির্ষ্ট সিট এ বসলাম। ট্রেন 10.40 এ রওনা হল। প্রায় 1 ঘন্টা পর আমার এক বন্ধুর ফোন পেলাম। তার কথাগুলো ঠিক এমন ছিল-
বন্ধু- দোস্ত তুই কই?
আমি-আরে বলিস না আমি তো চিটাগাং যাচ্ছি এখন ট্রেনে।
বন্ধু- তোর ভাগ্য ভাল আইজকা তোর কলেজ যেতে হয় নাই আমি তো আজকে মরছি!!
আমি- কেন কি হইছে?
বন্ধু- তুই জানিস না? আরে ঢাকায় তো যুদ্ধ লাইগা গেছে। বিডিআরের বড় বড় কর্মকর্তা সব তো শেষ!
আমি- বলছ কি?? তুই এখন কই?
বন্ধু- আরে আমি তো আইছিলাম নিউমার্কেটে একটু কাজ ছিল কিন্তু এখন তো মহা বিপদে পড়ছি। তবে সমস্যা নাই আর্মিরা আমাদের কয়েকজনকে আলাদাভাবে সেইফ জায়গায় এনে রাখছে। ওকে তুই তাইলে চিটাগাং থেকে ঘুরে আয় তবে সাবধানে থাকিস! আর আমার জন্য একটু দোয়া করিস।
(পরে রাতে শুনতে পাই আমার বন্ধুকে রাত্র 8 টা পর্যন্ত ঐখানে থাকতে হয়েছিল)
কলটি রাখার সাথে সাথেই বাসা থেকে কল!
বাবা- কিরে তুই কোথায় এখন?
আমি- বাবা আমি তো এখন ট্রেন এ।
বাবা- কিছু কি শুনছস?
আমি- বাবা আমি শুনছি। আমার বন্ধু ফোন করে আমাকে সব বলছে। আপনি কোনো চিন্তা করবেন না। আমি তো ট্রেন এ আর চিটাগাং এ নিশ্চয় এমন কোনো গন্ডগোল হবে না।
বাবা- তবুও একটু দেখে শুনে চলিস। আর নাইলে তোর কক্সবাজার যাবার দরকার নাই । তুই তোর খালার বাসায়ই এই কয়দিন বেরিয়ে আয়।
আমি- কি যে বলেন না! একবার যখন বের হয়েছি তখন কক্সবাজার যাবই যাব।
সালাম দিয়ে কলটা রেখে দিলাম(নিটওয়ার্ক একটু সমস্যা করছিল)।
যা হোক ট্রেনে আর কোনো সমস্যা হয় নাই। খুব ভালভাবে আমি চিটাগাং পৌছে খালার বাসায় চলে গেলাম।বাসায় এসেই টিভিতে নজর দিলাম আর ঢাকায় ঘটে যাওয়া নির্মম হত্যার কিছু ভিডিও দেখতে পেলাম।এবার পরদিনের প্লান করা শুরু। ওদের সবার ধারনা ছিল ভোরে রওনা দিলে মার্সিটিজ বেন্জ এর গাড়িগুলোর এসি টিকিট পেয়ে যাবে। কিন্তু 10 টার সময় বেগ নিয়ে টিকিট কাটতে যেয়ে তো হতবাক। দুপুর 3 টার আগে কোনো টিকিটই নাই। অন্যান্য সকল এসি গাড়ির টিকিট দেখলাম। কোথাও পাওয়া গেল না। ওদের মাঝে একজন প্লান দিল আয় আমরা 3 টা পর্যন্ত সময় পাছ করি। কিভাবে? আয় আমরা “মনপুরা” ছবিটা সিনেমা হলে গিয়ে দেখি। আমি বললাম না আজ আর সময় নষ্ট নয়। আমরা লোকাল গাড়িতেই চলে যাই। সকলেই নিমরাজি হয়ে লোকাল গাড়ির টিকিট এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। টিকিট পেয়েও গেলাম এবং গাড়িও এসে গেল। গাড়িতে উঠে সস্থির একটু নিশ্বাস ফেললাম। হোকনা লোকাল তবুও কক্সবাজার যাওয়া তো নিশ্চিত!! কে জানত আরও কত বিপদ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে??
প্রায় এক ঘন্টা যাবার পর হঠাৎ দেখা গেল আমাদের গাড়ি কচ্ছপের গতিতে চলা শুরু করেছে। এরকমভাবে 10 মিনিট যাবার পর আমরা ড্রাইভারের কাছে গিয়ে ধমক দিয়ে বললাম গাড়ির কি হয়েছে? এভাবে চললে আমরা তো আজকে সারাদিনেও পৌছাতে পারব না। তারা যা বলল তাতে আমাদের মন আবার ভেঙ্গে গেল। তারা বলল তাদের গাড়ি আর চলবে না। তারা চেষ্টা করছে গাড়িটি কোনো বড় কাউন্টারের কাছে নিয়ে যেতে যাতে আমরা অন্য কোনো গাড়ির টিকিট কেটে চলে যেতে পারি। কোনো কাউন্টারের কাছে যাবার আগেই গাড়িটি হঠাৎ থেমেই গেল। যদিও আগে গাড়িটি যে চলছিল তা কেউ বিশ্বাস করবে না। আমরা সবাই খোলা রাস্তায় নেমে পড়লাম আর ড্রাইভারকে বকাবাদ্য করতে লাগলাম। তারা আবার গাড়িতে উঠতে বলল। এবারও ঐ আগের মতই অবস্থা! তবুও আস্তে আস্তে চলে গাড়িটি একটি বড় টিকিট কাউন্টারের জায়গায় এসে থামল। গাড়ি থেকে নেমেই আমরা আগে টাকা তুলে নিলাম । তারা 100 টাকা করে দিয়ে দিল এবং বলল এখান থেকে যেকোনো গাড়িতে কক্সবাজার যাবার টাকা 100 টাকা। আমরা সৌদিয়ার একটি কাউন্টারে গিয়ে আলাপ করলাম। তারা বলল গাড়ি আধাঘন্টার মাঝে এসে পড়বে আমাদের বসতে দিল বেশ ভাল একটা জায়গায়।
এবার এক নতুন তথ্য জানতে পারলাম!! আমাদের মোবাইলের কারও কোনো নেটওয়ার্ক নেই। কারন কেউ জানে না। আমার ধারনা বিডিআর হামলার কারনেই এই কাজ করা। আমাদের হোটেলের টিকিট আগে থেকেই কাটা ছিল। আমার খালার পাশের বাসার আন্টি এই ব্যাবস্থা করে রেখেছিল। আমিও এক গাধা! আমি মোবাইল আছে বিধায় কোনো খোজখবরও নিয়ে আসি নি। কোন হোটেলের টিকিট কাটা হয়েছিল? কোথায় ঐ হোটেলের ঠিকান? কোথায় আমরা ঐ আন্টির ভাইকে পাব তা কিছুই আমি জেনে আসি নি। ভেবেছিলাম নাম্বার তো আছেই ফোন করে সব জেনে নিব। যখন এই ভাবনা মাথায় ঘুরছে ঠিক তখনই জানা যায় আরেকটি খারাপ খবর। আমরা এখন যেখানে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি তা নাকি বিডিআরদের একটি স্কুল কেন্দ্রের সংলগ্ন। রাস্তাঘাটে বেরিয়ে অন্য এক রূপ চোখে পড়ে। রাস্তায় প্রচুর মানুষ।সবার চোখেই আতংকের ভাব! কিছুক্ষন পর পরই বিডিআরদের গাড়ি এসে টহল দিচ্ছে। এমনই সময় একজন লোক এসে আমাদের উদ্দেশ্যে বলে-
লোক- আপনারা যাবেন কোথায়?
আমরা- আমরা কক্সবাজার যাব। রাস্তায় গাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তাই এখন টিকিট কেটে অপেক্ষা করছি।
লোক- আপনার ভুলেও এখন কক্সবাজার যাবেন না।
আমরা- কেন?
লোক- কক্সবাজারে এখন গোলাগুলি হচ্ছে। নয়/ দশজনের মত মানুষ মারা গেছে। পরিস্থিতি খুবই গরম। আপনারা প্রয়োজনে রাতের দিকে জেয়েন।
আমরা- আচ্ছা দেখা যাক।
লোকটিও চলে গেল। আমরা তখন কি করব তাই ভাবছি। এই সময় একটি বিডিআরের গাড়ি এসে সবার উদ্দেশ্যে বলছে “আপনারা আমাদের সাহায্য করুন। আমরা অনেকদূর চলে এসেছি। আমরা আপনাদের সাপোর্ট না পেলে আর ফিরে যেতে পারব না” এরূপ কথা শুনে আমি ও বাকি সকলেই একটু অবাক হয়েছিলাম। একজন প্রস্তাব দিল চল বাড়ি ফিরে যাই। কক্সবাজার ভ্রমন আমাদের ভাগ্যে নাই। আমি মানা করলাম। বললাম এতদুর যখন চলে এসেছি তখন আর পিছপা কেন? আমার আরেক বন্ধুও আমাকে সাপোর্ট দিল। তাছাড়া আমাদের টিকিট কাটা হয়েগিয়েছে ঐ টাকাগুলো তো নষ্ট হবে। আয় দেখা যাক যা হবার তা হবে। ভয় কিসের??
দেখতে দেখতে প্রায় এক ঘন্ট পর গাড়ি আসল। এবার আর কোনো সমস্যা হয় নাই ঠিক মত কক্সবাজার পৌছে গেলাম। কিন্তু বাস থেকে নেমে তো আমরা একটু অবাক হলাম। খুব শান্ত হয়ে রয়েছে সবাই। আমরা পৌছালাম প্রায় 5 টার দিকে। এখন কি করব মোবাইলে তো কোনো নেটওয়ার্ক নেই। আমরা কি করব? আমরা কি করব? কতবার যে কতজনকে কল দেবার প্রচেষ্টা করেছি তার কোনো হিসাব নাই। অন্য এক হোটেলে থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম। নেটওয়ার্ক ঠিক হলে পরে আবার আমাদের জন্য আগে থেকে ঠিক করে রাখা হোটেলে উঠব। কিন্তু এখানেও একটি প্রবলেম হল(বিস্তারিত বলছি না)। এমন একটা সিচিউশান তৈরী হল যে কোনো রিকসাওয়ালাও আমাদের আর নিচ্ছে না। তারা বলে আগে আপনারা ঠিক করেন কই যাবেন তারপর আপনাদের নিব।(হা হা অদ্ভুত না?) দেখা গেল টেলিটকের ইন্টারনেট কাজ করছে অথচ কল ঢুকছে না। মানে নেট আছে কিন্তু ওয়ার্ক নাই। আমি রাস্তায় দারিয়ে দারিয়েই টেলিটক দিয়ে মিগ চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার বন্ধুর গ্রামীনে কল!!! টিএন্ডটি দিয়ে। বুঝা গেল টিএন্ডটি কাজ করছে। তখন আমাদের মাধ্যমটা এরকম ছিল
বন্ধুর মোবাইল টু ঐ টিএন্ডটি এবং আন্টির ঐ ভাই টু ঐ টিএন্ডটি তারপর আবার টিএন্ডটি টু আমার বন্ধুর মোবাইল।
যা হোক এই করে না হয় ঐ ভাইয়ের ঠিকানা পাওয়া গেল। এবার যাওয়ার পালা। রিকশায় উঠতে না উঠতেই দেখা গেল নেটওয়ার্ক খুলে দেয়া হয়েছে। তখন প্রায় 6.30 বেজে গেছে। যা হোক এভাবেই আমরা আমাদের হোটেল পেয়ে যাই।
সেদিনই রাত 9 টার দিকে আমরা লাবনী বিচ এ যাই এবং এতটা মজা করি যে সারাদিনের কষ্টের কথা এক সেকেন্ডের মাঝেই ভুলে যাই।
আমার আরও আগে এই লেখাটা লেখা উচিত ছিল। তাহলে হয়তোবা আরও ভাল বিবরন দিতে পারতাম। লেখাটা অনেক বড় করে ফেলেছি। তাই ক্ষমা চাচ্ছি। যেই বিডিআর হামলা আমাদেরকে এতটা কষ্ট দিয়েছে, যেই বিডিআর হামলায় আমরা হারিয়েছি কতগুলো বীর সৈনিক, যেই বিডিআর হামলা বাংলাকে আজ করেছে নিরাপত্তাহীন এক নগর আজ আমরা কিনা ঐ বিডিআর হামলাকে ভুলতে বসছি?? সরকার এমন কিছু কাজ করছে যা আমাদের মাঝ থেকে বিডিআর হামলা নিয়ে চিন্তাগুলোকে সরিয়ে দিচ্ছে। যা হোক আমি রাজনিতিতে যেতে চাই না। আপনাদের লেখাটা কেমন লেগেছে জানাবেন। এটাতে বিন্দুমাত্র বানানো কোনো কথা নেই। সম্পূর্ন আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনাই এখানে আমি লিখেছি!!
আমি ফয়সল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 47 টি টিউন ও 149 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
জানতে হলে আরও অনেক ঘাটতে হবে!!
I m the bull of the main picture.chinso amare???josh likso but picture gula dile & main cox’s bazar storyta likle aro jomto.likhe phelo.joldi.for ur kind information u r a sweet writer.
AMIO bolta vola gasi ja faisal tomi jotil writer. Ami jodi ai khahini ta laktam ato clear kora likta partam na. GOOOOOOO
mama jotil likso …ami chilam na but amio kinto thakta partam but kopala chilo na bola jao hoi nai anywayz …it is become a awesome story more thn i heard…
একে বারে যেন সিনেমার মত…সবকিছু সাজানো গোছানো…….যাত্রা শুরুর আগ থেকে শেষ পর্যন্ত পদে পদে বিপদ আর সমস্যায় জর্জরিত……………
যাক, আপনারা যে সকলে ভালোয় ভালোয় নিরাপদে পৌছাতে পেরেছিলেন এর জন্য শুকরিয়া…….
আর ঐ দিন বিডিআর-এর 200 বছরের ঐতিহ্য কয়েক মুহূর্তে ধূলিস্যাৎ হওয়ার দিন। বাংলাদেশের ইতিহাসের এ নির্মম, নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ্যের প্রকৃত রহস্য অবশ্যই উদঘাটন করতে হবে…..অন্য সকল ঘটনার ন্যায় এটি যেন প্রলম্বিত হতে হতে হিমাগারে চলে না যায়…………..!?