ইদানীং অনলাইন হয়ে গেছে আমাদের দ্বিতীয় পৃথিবী। সেখানেও দরকারি হয়ে গেছে এক চিলতে ঘর, আসবাবপত্র ও পোষা প্রাণীর। ফ্রি’তে সবসময় অতোকিছু মেলে না। আবার খরচটাও খুব বেশি নয়। সারা মাসের জন্য হয়তো দেখা গেলো ২ কি ৩ ডলার। এ আর এমন কী! কিন্তু মিলিয়ন মিলিয়ন ব্যবহারকারীর মিলিয়ন সংখ্যক ২/৩ ডলারই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে পটকা মাছ বানিয়ে দিচ্ছে এশিয়ার অনলাইন স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোকে। বছরে এখন এশিয়ার নেট-ইউজাররা ভার্চুয়াল জিনিসপত্রের পেছনে খরচ করছে ৫ বিলিয়ন ডলার!
তবে এ টাকার আশি ভাগই যাচ্ছে চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাইট নির্মাতাদের পকেটে।ফেসবুক যেমন দিচ্ছে ভার্চুয়াল পোষা প্রাণী, তেমনি ফিনল্যান্ডের সুলেক কর্পোরেশন তাদের ইউজার নামমাত্র ম-ল্যে দিচ্ছে ভার্চুয়াল ফার্নিচার। মাস শেষে ভাড়া হিসেবে মাত্র কয়েক সেন্ট সত্যিকার ম-দ্রা গুনলেই হবে।
চীনের সবচে জনপ্রিয় স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট কিউজোন গতবছর আয় করেছে ১০০ কোটি ডলার। যার মাত্র ১৩ শতাংশ এসেছে বিজ্ঞাপন থেকে। বাকিটা এসেছে ঐ ব্যবহারকারীদের অল্প অল্প ব্যয় করা সেন্ট থেকেই। ২২ কোটি ৮০ লাখ ব্যবহারকারীর ঐ কিউজোনের লাভের অংক দেখে লোভ সামলাতে পারছে না ফেসবুক।
অচিরেই তারা এশিয়ায় ভার্চুয়াল কারেন্সির বন্দোবস্ত করতে যাচ্ছে। অর্থাৎ আসল ডলার দিয়ে কিনতে তখন সবাই কিনবে অনলাইনের নকল টাকা। খরচ করা যাবে দেদারসে। বাড়ানো যাবে ভার্চুয়াল প্রতিপত্তি! অর্থাৎ যারা কিনা কেবল অন্যকে দেখানোর জন্যই সম্পত্তি বাড়ানোয় আসক্ত, তাদেরকে আসল ও নকলের পার্থক্য ভুলিয়ে বেশ কম সময়ে ঝুলি ভরে নিতে পারে স্যোশাল নেটওয়ার্কিং বিল্ডাররা।
লেখা - আমাদের সময়
আমি মঈনুল হক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 159 টি টিউন ও 299 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
সব সময় নতুন কিছু শিখতে চেষ্টা করি ..........
সোর্স দিয়ে দেয়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।