পরিবর্তিত লেখাঃ আত্বকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ইন্টারনেট প্রযুক্তির ভুমিকা, আমাদের করনিয়

বিগত শতাব্দিতে এদেশের মানুষের ভাগ্যের তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি, অথচ এরই মধ্যে আমরা দুই দুইবার স্বাধিনতা অর্জন করেছি, এই উপমহাদেশের স্বাধিনতা আন্দোলনে সাতচলি্লশের এর পূর্বে যেমন অসংখ্য মানুষের রক্ত ঝরেছিল ঠিক তেমনিভাবে আমাদের দেশের স্বাধিনতার জন্যও অসংখ্য মানুষের রক্ত ঝরেছে, দেশ স্বাধিনের তিনটি যুগ আমরা ইতিমধ্যে অতিবাহিত করেছি কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে এদেশের সিংহবাগ মানুষের এখনো অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্রা নিশ্চিত হয়নি৷ আমাদের দেশে কয়েক কোটি শিক্ষিত বেকার লোক থাকা সত্বেও আবার নূতন করে প্রতি বত্‍সর আট থেকে দশ লক্ষ লোক বেকার হচ্ছে৷ যার ফলে দেশে সন্ত্রাসি কর্মকান্ড দিন দিন বেড়ে চলছে, দেশে বেড়ে চলছে নেশাগ্রস্থদের সংখ্যাও, অসংখ্য মেয়েকে বাধ্য হয়ে দেহ ব্যবসার মত ঘৃন্য পেশাকেও বেছে নিতে হচ্ছে তার মৌলিক চাহিদা পূরনের জন্য৷ এবং ক্ষুদ্র হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য হত্যার মত জঘন্য ও অমানবিক অপরাধ যেন এখন দৈনন্দিন জীবনের একটি সাধারন ঘটনা মাত্র৷ এজন্যই কি এদেশ স্বাধিন হয়েছিল, বিষয়গুলোর দিকে গভিরভাবে লক্ষ্য করলে প্রতিয়মান হয় দেশের এই ভারসাম্যহীন অবস্থার জন্য বেকারত্বই অনেকাংশ দায়ী৷ বেকারত্ব নিরসনে এদেশের সরকার ব্যবস্থার আন্তরিকতার অভাব না থাকলেও গঠনমুলক ও যুগ উপযুগি পরিকল্পনার অভাব রয়েছে৷ আত্বকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি বু্িদ্ধবৃত্তিক ও বৈপ্লবিক কর্মপ্রদ্ধতি নির্ধারন করে এদেশের বৃহত্তম জনগোষ্টির আত্বকর্মসংস্থান নিশ্চিত করা কোন সহজ কাজও নয়৷ আত্বকর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনাময় খ্যাতগুলো যেমন কৃষিশিল্প, পশু সম্পদ, মহস্য সম্পদ, চামরা শিল্প, হস্ত শিল্প, জনশক্তি রপ্তানী, গার্মেন্টস শিল্প সহ সম্ভাবনাময় প্রায় খ্যাতগুলো আজ অবহেলিত৷ সেই সঙ্গে অবহেলিত একবিংশ শতাব্দির বিষ্ময় তথ্যপ্রযুক্তি৷ অথচ তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নত বিশ্ব, বিশেষ করে আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারত ও পাকিস্তান তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে আমাদের দেশ থেকে এগিয়ে প্রায় ৫০ বত্‍সর৷ কোটি কোটি ডলার তারা আয় করছে এই তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে৷ বাংলাদেশের কয়েক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হতে পারে এই তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে৷ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সরকারি ঘোষনার অংশ তথ্যপ্রযুক্তি বা অনলাইন আউটসোর্সিং হলেও এর সঠিক প্রয়োগ বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্থ৷ দেশে নেই কর্মসংস্থান সৃষ্টির উপযুক্ত প্রর্যাপ্ত আউটসোর্সিং শিক্ষা প্রতিষ্টান, দেশে নেই ক্রয়সীমার মধ্যে দ্রুতগ্রতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা, অনলাইন আউটসোর্সিং জগতে নিজের ক্যরিয়ার গড়া সম্ভব এই বিষয়টির উপর মানুষের নেই আস্থা৷ এহেন পরিস্থিতিতে কিভাবে এই শিল্পটির মাধ্যমে মানব সম্পদকে কাজে লাগানো সম্ভব? বিগত কোন সরকার এই অনলাইন আউটসোসিং শিল্পের উপর কতটুকো গুরত্বারোপ করেছে জানা নেই, আর বর্তমান সরকার বাংলাদেশে আউটসোর্সিং শিল্পের বিপুল সম্ভাবনার বিষয়টি অবগত হলেও এর মাধ্যমে মানব সম্পদকে কাজে লাগানোর মত কোন বৈপ্লবিক কর্মধারা নেই, জাতীর প্রত্যাসা এটাই সরকার সম্ভাবনাময় এই শিল্পটিকে আত্বকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজে লাগাবে৷ তবে বর্তমান সরকারকে এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে এ্ই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আলোচনার গোল টেবিল যেন শুধু কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বা সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না হয়৷ কারন বাংলাদেশে যারা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বা সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং পরছে তারা অনলাইন আউটসোর্সিং নিয়ে খুব একটা চিন্তা গবেষনা করে না৷ বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি কম্পিউটার শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলোর কাছেও এই বিষয়ে পরামর্শ চেয়ে কোন লাভ নেই কারন তারাও এই বিষয়টি সমন্ধে কিছু জানে না, এহেন পরিস্থিতিতে কাজে আসতে পারে বাংলাদেশের আউটসোর্সিং প্রভাইডারগন যারা আউটসোর্সিং এর সঙ্গে সরাসরি জরিত, সরকারের উচিত্‍ বাংলাদেশের সকল আউটসোর্সিং শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলো খুঁজে বের করে তাদেরকে নিয়ে একটি কমিউনিটি করা এবং তাদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা, দৃয় প্রত্যয় নিয়ে বলতে পারি মাত্র একশত জন আউটসোর্সিং প্রভাইডার এর একটি কমিউনিটি এদেশকে এগিয়ে দিতে পারে ৫০ বত্‍সর, সৃষ্টি করতে পারে কমপক্ষে দশ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান৷ সমপ্রতি মিমইয়াহ আইটি লিঃ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আত্বকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৯ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে, প্রায় ১০০০ মানুষকে মিমইয়াহ আইটি লিঃ এই পর্যন্ত আউটসোর্সিং শিক্ষায় শিক্ষিত করেছে, ২০১১ সালে প্রতিষ্টা করেছে একটি পেইডটুক্লিক সাইট যে সাইটটির মাধ্যমে একটি বিশেষ জনগোষ্টির কর্মসংস্থান নিশ্চিত হতে পারে৷ উল্লেখ্য যে, এদেশের একজন স্টুডেন্ট দির্ঘ ১৮ বত্‍সর মেধা শ্রম সময় এবং বিপুল অর্থ ব্যয় করে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরাশনা শেষ করে, কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল এই দির্ঘ ১৮ বত্‍সরের পরিশ্রম পাচ হাজার টাকার একটি চাকরীর নিশ্চয়তাও প্রদান করছে না এহেন পরিস্থিতিতে যদি একজন চাত্র/ছাত্রি আউটসোর্সিং শিল্পকে কাজে লাগিয়ে ৬ মাস কিংবা একবত্‍সর সময় দিয়েও সফলতার দ্ধারপ্রান্তে উপনিত হতে পারে সমস্যা কোথায়?

http://bdcareer.tk

Level 2

আমি এমডি মাহমুদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 17 টি টিউন ও 3 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

Live in Dhaka. Profession Laptop & Computer Business, Domain Hosting Provider, Web Design House


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস