পবিত্র কুরআন এক মহা বিষ্ময়! অবতীর্ণ হয়েছিল শেষনবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর উপর। পূর্বে ছিল লওহে মাহফুজে সংরক্ষিত। ইহা এক কল্যানময় কিতাব যাতে রয়েছে মানবজাতীর জন্য উপদেশ ও রয়েছে অনেক বৈজ্ঞানিক ইঙ্গিত যেন মানবজাতীর মধ্যে চিন্তাশীল ও প্রজ্ঞাবান লোকেরা এর বিষয়বস্তুর উপর চিন্তা ভাবনা করে এবং এই মহা কিতাব থেকে উপদেশ গ্রহন করে। প্রত্যেক যুগ বা শতাব্দীর সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ এই মহা কিতাব বিশ্বাসীদের হৃদয়কে করে আলোকিত।
প্রথম পর্বে গ্রহ নক্ষত্রের কক্ষপথ নিয়ে কিছু আলোচনা ইতমধ্যে করা হয়েছে এ বিষয়ে আরও কিছু কথা বলার উদ্দেশ্যে নিয়ে দ্বিতীয় পর্বে লিখতে বসেছি। সূরা ইয়াসিনে বর্ণিত হয়েছে “আর প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমন করছে”। ইহা সত্য যে প্রায় সকল যুগেই মানব মনের এক মৌলিক প্রশ্ন ছিল আসলে গ্রহ বা নক্ষত্র স্থির নাকি চলমান। প্রাগ ঐতিহাসিক যুগ থেকে নিয়ে আজকের আধুনিক বিজ্ঞান মনস্ক হৃদয় মনেও এই প্রশ্ন হানা দেয়। কিছু মানুষের ধারণা পবিত্র কুরআন নিছক এক ধর্মীয় গ্রন্থ বৈ আর কিছুই নয়। আসলে কুরআনের উপর নেতিবাচক সমালোচনা করতে হলে প্রয়োজন অপ্রতিরোধ্য যুক্তি প্রমাণ এবং মিমাংসিত বৈজ্ঞানিক প্রমান সমুহের ক্ষেত্রে পবিত্র কুরআনের নেতিবাচক তথ্য উপস্থাপন অন্যথার গ্রহনযোগ্য নয়।
উল্লেখিত আয়াতে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলা হয়েছে গ্রহ নক্ষত্রের কক্ষপথ রয়েছে এবং তারা সকলেই বিচরনশীল। উল্লেখ্য যে পবিত্র কুরআনে যদি প্রত্যেকে শব্দ বাদ দিয়ে গ্রহ নক্ষত্র উল্লেখ হত তাহলে কিন্তু ধূমকেতু, ব্লাক হোল, গ্যলাক্সী, সৌরজগৎ ইত্যাদি বাদ পরে যেত যেগুলো অনেক পরে আবিষ্কার হয়েছে। পূর্বে অনেক বিজ্ঞানী বলেছে গ্রহ নক্ষত্র স্থির আর যারা বলেছে স্থির নয় এই সমস্ত প্রবক্তাগণের মধ্যে অনেক মতভেদ পরিলক্ষিত হয়েছে। যেমন মতভেদ হয়েছে কক্ষপথ নিয়ে এবং মতভেদ হয়েছে অন্যান্য বিষয়েও। এ বিষয়ে আধুনিক বিজ্ঞান পূর্বের অনেক বিজ্ঞানীদের মত পরিত্যাগ করেছে।
উল্লেখিত আয়াতে চারটি তথ্য রয়েছে ১। পবিত্র কুরআন প্রত্যেকে শব্দ দিয়ে গ্রহ নক্ষত্র ছাড়াও অন্যান্য বস্তুর ইংগিত করেছে সেগুলো পর্যন্ত ঘুরছে, আধুনিক বিজ্ঞানে ইহা প্রমাণিত যে, গ্রহ নক্ষত্র ছাড়াও রয়েছে ধূমকেতু, ব্লাকহোল, গ্যলাক্সী ইত্যাদি যেগুলো ঘুরছে। ২। পবিত্র কুরআন বলছে তাদের কক্ষপথ রয়েছে আধুনিক বিজ্ঞানও বলছে কক্ষপথ রয়েছে। ৩। পবিত্র কুরআন বলছে এগুলো বিচরনশীল আর আধুনিক বিজ্ঞানও বলছে বিচরণশীল। ৪। পবিত্র কুরআন বলছে নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমনরত তারা অন্য কক্ষপথে প্রবেশ করে না আর আধুনিক বিজ্ঞানও তাই বলছে। তবে এটাও বিজ্ঞানে প্রমাণিত হয়েছে যে মাঝে মধ্যে কিছু নক্ষত্র কক্ষপথ থেকে ছিটকে ব্লাকহোলে গিয়ে ধ্বংশ হয়ে যায়।
আসলে এই তথ্য কুরআনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয় কারণ কুরআন একথা বলেনি নক্ষত্র কখনো ধ্বংশ হবে না। বরং ব্লাকহোল বিষয়ে আধুনিক বিজ্ঞান যা বলছে কুরআন সেই কথা বলেছে চৌদ্দশত বছর পূর্বে। ইরশাদ হয়েছে শপথ সেই স্থানের, যেখানে নক্ষত্র সমুহ পতিত হয়। সূরা ওয়াক্কিয়া। আশ্চর্যের বিষয় হল এই সমস্ত বিজ্ঞানময় আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে আজ থেকে চৌদ্দশত বছর পূর্বে! যখন এ বিষয়ে মানবজাতী কিছুই জানত না। এমনকি কুরআন নাযিলের পরবর্তী এক হাজার বছর পরও যে বিষয়ে বিজ্ঞানীগণ চুরান্ত সিদ্ধান্তে পৌছতে পারেনি। কিন্তু দেখুন কুরআনের বানীর পরিবর্তন নেই। চৌদ্দশত বছর পূর্বে যা বলেছে এখনো তাই বলছে, কুরআন তার মত পরিবর্তন করেনি। আর আধুনিক বিজ্ঞান বিলিয়ন ডলার খরচ করে গবেষনা করে তারপর বলেছে। সুতরাং পবিত্র কুরআন যে বিশ্বপ্রতিপালকের পক্ষ থেকে নাযিল হয়েছে এক সত্য নবীর উপর এর চেয়ে বড় প্রমান আর কি হতে পারে। সূরা ইয়াসিনে ইরশাদ হয়েছে “বিজ্ঞানময় কুরআনের শপথ। নিশ্চয়ই আপনি রাসূলগণের একজন। আপনি সরল পথে প্রতিষ্ঠিত” মানুষ এমন এক বিজ্ঞানময় গ্রন্থ রেখে কোন দিকে ফিরে যেতে চায়? আমার লেখায় কোন ভুল তথ্য পরিদৃষ্ট হলে টিউমেন্ট করবেন তাহলে আমি সংশোধন করে দিব কারণ আমি মানুষ ভুল করতে পারি।
Authentic Islamic Book PDF
https://islam-research.blogspot.com/
আমি এমডি মাহমুদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
I am Md amdad ali al mahmud, Live in Dhaka, I am blogger & thinker, my five book waiting for publish in BD