কপিরাইট আইন এমন এক আইন যা আপনার মেধাকে সম্মান দেয়ার জন্য সর্বপ্রথম ১৭০৯ সালে ইংল্যান্ডে তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে পাকিস্তান সরকার ১৯৬২ সালে এ আইন পাশ করে যা ১৯৭৪ সালে বাস্তবায়িত হয় এবং ২০০০ সালের ১৭ জুলাই পর্যন্ত কার্যকর ছিল। এরপর পুনরায় নতুন করে ১৮ জুলাই ২০০০ তারিখে বাংলাদেশ কপিরাইট আইন ২০০০ পাশ হয়।
ধরুন আপনি অনেক কষ্ট করে একটি বই লিখলেন এবং বাজারে ছাড়লেন, এর কিছুদিন পরেই দেখলেন সেই বইটি অন্য কেও তার নিজের নামে বাজারে ছেড়েছে, তখন আপনি কি করবেন? নিশ্চই আপনার কষ্ট তখন ১০০ গুন বেড়ে যাবে এবং মনে মনে তাকে অনেক গালি গালাজ করবেন, মারতেও ইচ্ছা করবে। এমন অপরাধ ঠেকানোর জন্যই মূলত কপিরাইট আইন তৈরি করা। এই আইন শুধু মাত্র বই এর জন্যই না আপনার মেধা দ্বারা তৈরি সকল কিছুর জন্যই প্রজয্য।
এ আইন আপনার পরিশ্রমের মুল্যায়ন এবং সম্মানের জন্য করা হয়েছে। আপনি যদি কোন কিছু কপিরাইট করে রাখেন তাহলে সেটি আপনার অনুমতি ছাড়া কেও কপি তো দুরের কথা সম্পাদনাও করতে পারবেনা। যেমন ধরুন আপনি একটি ব্লগে লিখালিখি করেন, কিন্তু হঠাৎ করেই একদিন দেখলেন কেও একজন সেই লিখাটি অন্য এক ব্লগে নিজের নামে চালাচ্ছে এক্ষেত্রেও আপনি এই আইনে যথাযত ব্যাবস্থা নিতে পারবেন। আবার আপনার সৃষ্ট কোন সফটওয়্যার যদি ওপেন সোর্স না হয়ে থাকে এবং সেই সফটওয়্যার কেও কপি করে সে ক্ষেত্রেও আইনি ব্যাবস্থা নিতে পারবেন।
দৈনন্দিন জীবনে কপিরাইট আইনের কত প্রয়জনীয়তা তা বলে শেষ করা যাবেনা। লেখক মেধা খাটায় লিখার জন্য, সংগিত শিল্পি মেধা খাটায় গান তৈরি করার জন্য তারা এই কাজ গুলি করে সম্মানিত হন, এখন অন্য কেও যদি তাদের কর্ম নিজের নামে চালালে নিশ্চই তা অবিচার করা হবে। তাই মানুষের মেধার সম্মান প্রদানে এর চেয়ে ভাল আর কিছু হতে পারেনা।
আপনার মুল্যবান কাজটি সম্পুর্ন হবার সাথে সাথেই সেটি কপিরাইট আইনের আওতায় চলে আসে। সুতরাং কোন কাজে যথাযত ব্যবস্থা নিবেন আর কোন কাজে নিবেন না তা সম্পুর্ন আপনার বেপার। আপনি আপনার মেধা খাটিয়ে এবং দক্ষতা দিয়ে যে কাজ গুলি করেন তা নিশচয় আপনার কাছে অনেক মুল্যবান এবং আপনি সেখান থেকে অনেক কিছু আশা করেন আবার সেটি নিয়ে আপনার অনেক স্বপ্ন থাকতে পারে। সুতরাং যে সকল কাজে এগুলো থাকবেনা সে সকল কাজে আইনি ঝামেলায় যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। এছাড়া যদি আপনার কাজটি মুল্যবান হয় তাহলে কপি রাইট আইনের সহায়তা নেয়ার কোন বিকল্প নেই। কপিরাইট আইনের সহয়তা নিতে এই লিংকে যান।
কপিরাইট আইন বর্তমানে প্রিথিবীর প্রায় সকল দেশেই কার্যকর, যদি কথাও কার্যকর নাও থাকে তবুও এই প্রিথিবীতে কেও আপনার কাজ কপি করতে পারবেনা। কপিকারি যে দেশেরই হোকনা কেন আপনি ব্যাবস্থা নিতে পারবেন। আবার আপনার কাজের ওপর এই আইনটি আপনার মৃত্যূর ৭০ বছর পরে পর্যন্ত কার্জকর থাকবে। অর্থাৎ আপনি মারা যাওয়ার পরেও ৭০ বছর পর্যন্ত কেও আপনার কাজটি কপি করার অধিকার পাবেনা।
এই ছিল কপিরাইট আইনের বিস্তারিত আশা করি সবাই বুঝতে পারছেন। এর পরেও কোন অংশ না বুঝলে টিউমেন্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ
পুর্বে প্রকাশিতঃ BanglaTrick.Com
আমি সজীব শাহরিয়ার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।