বিডি-গার্ড এন্টিভাইরাস
দেশের প্রথম ফ্রীওয়্যার এন্টিভাইরাস নিয়ে ২০১০ এ কাজ শুরু করেছিল টিম ইরর ! সবার আগ্রহের কারণে ১৯ইজুলায় ২০১৫ তে বিডি-গার্ডের সোর্স কোড ওপেন করে দেওয়া হয় !কারণ টিম ইরর চায় সবাই এগিয়ে আসুক এই এন্টিভাইরাসকে উন্নত করতে !
এটা ডেভেলপ করা হয়েছিল ভিজুয়াল বেসিক ৬ এবং সি++ ! কিন্তু সিকিউরিটি জনিত সমস্যার কারণে শুধু ভিবি৬ এর সোর্সকোড পাবলিশ করা হয়েছে !
যেসব ফিচার্স আছে এই এন্টিভাইরাসে
*পুরোপুরি ফ্রী এবং ওপেন্সোর্স
*সহজ,সরল এবং সাজানো গোছানো কোড
*দ্রুত স্ক্যানিং টেকনিক
*ইন্টার্নাল ডেটাবেজের মাধ্যমে ভাইরাস শনাক্তকরণ
*CRC32 এর মত শক্তিশালী চেকসামের দ্বারা ভাইরাস সনাক্ত করণ
*শুধু ডেটাবেজ নয় তার সাথে আছে হিউরিস্টিক প্রোটেকশন
*পিই হেডার্সের মাধ্যমেও এটা ভাইরাস শনাক্ত করতে পারে
*আইকন চেকিং এর মাধ্যমেও ভাইরাস শনাক্ত করে
*অল্প কোডিং এবং প্রচুর এপিয়াই এর মাধ্যমে বানান হয়েছে এন্টিভাইরাসটি !
*সহজেই সকলেই আয়ত্ত করতে পারে এন্টিভাইরাস টেকনোলজি
আসলে এই এন্টিভাইরাসটি বিডি-গার্ডের প্রথম ভার্সন (২০১০)
পরের ভার্সনগুলোর সোর্সকোড গুলো সিকিউরিটি জনিত কারণে ছাড়া হয়নি ! নতুন ভার্সনের কাজ চলছে! খুব শীঘ্রই ছাড়া হবে !
টিম ইরর চায় সকলেই এই সোর্সকোড দ্বারা এন্টিভাইরাস টেকনোলজি সমন্ধে জানুক!এই প্রত্যাশায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং ইনশাআল্লাহ যাবো 🙂
একটি এন্টিভাইরাস মূলত যেভাবে কাজ করেঃ-
১. ভাইরাস ডিকশনারী ব্যবহার করে
মানুষের যেমন সিগনেচার থাকে তাকে ভেরিফাই করার জন্য তেমনি কম্পিউটারে ব্যবহৃত সব কিছুরই সিগনেচার তৈরি করা যায় তাকে ভেরিফাই করার জন্য এটাকে বলা হয় হ্যাশ ভ্যালু | তো এন্টিভাইরাস ডেভেলপাররা প্রতিটি চেনা ভাইরাসের সিগনেচার বা হ্যাশ ভ্যালু তৈরি করে এন্টিভাইরাস ডাটাবেজে জমা রাখে যেটাকে বলে লোকাল ডাটাবেজ বা ভাইরাস ডিকশনারী এটা আপনার পিসিতে এন্টিভাইরাস ইনস্টল করার সাথে সাথে তৈরি হয় | কেউ যখন কোনো একটা ফাইল ওপেন বা ক্লোজ করে বা মেইলে কোনো ফাইল এটাচ করে অথবা ম্যানুয়ালি ভাইরাস স্ক্যান করে এন্টিভাইরাস তখন ওই ফাইলটাকে সে তার লোকাল ডাটাবেসের সাথে কমপেয়ার করে যখনই সিগনেচার মিলে যায় তখন সে সেটাকে ভাইরাস হিসেবে ধরে তারপর এন্টিভাইরাস হয় সেটাকে ডিলিট করে অথবা অন্যান্য ফাইলের সাথে যাতে যুক্ত না হতে পারে সেই ব্যবস্থা করে |
এখন প্রশ্ন হলো নতুন কোনো ভাইরাস সে কিভাবে চিনে নাকি চিনেই না, উত্তর হলো না চিনে না, আবারও প্রশ্ন থেকেই যায়, তাহলে ?
নতুন কোনো ভাইরাস আসলে এন্টিভাইরাস কোম্পানিগুলো তাদের ম্যালওয়ার ল্যাবে সেই ভাইরাসের সিগনেচার তৈরি করে তাদের পাবলিক ডাটাবেসে রেখে দেয় আপনার পিসি অনলাইনে আসা মাত্রই আপনার পিসির মানে এন্টিভাইরাসের লোকাল ডাটাবেসের সাথে সিন্ক্রনাইজ করে আপডেট হয় |
একদম নতুন ভাইরাস ধরার ক্ষেত্রে মানে ভাইরাস ডিকশনারী যেখানে কাজ করে না সেই ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটা অনেক বেশি কাজের | বিস্তারিত বলছি তার আগে একবার হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের কথা চিন্তা করুন, তার কাছে কোনো রোগী গেলে রোগ নির্ণয় করতে দুনিয়ার সব জিজ্ঞাসাবাদ করে যেমন আপনার শীত ভালো লাগে নাকি গ্রীষ্ব, পূর্নিমা না অমাবস্যা, রাতে আপনি চিত হয়ে ঘুমান না উপর হয়ে ইত্যাদি সব আচার-আচরণের কথা তেমনি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার প্রতিটি প্রোগ্রামের আচার-আচরন পর্যবেক্ষণ করে যেমন যদি সে দেখে কোনো একটা প্রোগ্রাম অন্য একটা সফটওয়্যার বা প্রোগ্রামের .exe ফাইলের সাথে যুক্ত হতে চেষ্টা করছে তখন তাকে ভাইরাস হিসেবে ধরে যদিও এই পদ্ধতিতে ১০০% ভাইরাস আইডেনটিফাই করা টাফ |
মজার ব্যাপার হলো অনেকেই বলে থাকে 'আমার ভালো ফাইল ভাইরাস খেয়ে ফেলছে' এই ক্ষেত্রে এন্টিভাইরাস আসলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ভাইরাস ধরতে |
টিমটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটসমুহ
ফেসবুকে
সবাইকে সালাম জানিয়ে বিদাই নিলাম !
আমি ফেসবুকে
আমি শিহাব সিজান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 14 টি টিউন ও 38 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
টিম ইরর এর জন্য রইল শুভ কামনা ।