[লেখাটি somewhereinblog এ প্রথমে প্রকাশিত হয়েছে।]
যারা বিষয়টা জানেন তাদেরকে অগ্রীম শুভেচ্ছা। যারা জানেন না তাদের মধ্যে যারা এই বিষয়টিতে ওস্তাদ তাদের কাছে মাফ চেয়ে নিচ্ছি। আমার বিশ্বাস সামুর যেসব পাঠক বাংলাদেশে থাকেন এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান এবং বিশেষভাবে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে পড়ান তাদের এই পোষ্টটি কাজে লাগবে। আমার ধারণা যারা বিদেশে পড়েন, পড়ান এবং যারা দেশে পড়েন বা পড়ান এবং কম্পিউটার বা ইন্টারনেটে যথেষ্ট সময় দেন তারা বিষয়টি জানেন। তাই আশাকরি তারাঁ ব্যতীত সবার কাজে লাগবে।
গবেষণা সম্পর্কে একটি জনপ্রিয় কৌতুক হলো, কেউ যদি একজনের লেখা চুরি করেন, তবে তা হবে Plagiarism, আর কেউ যদি অনেকের লেখা চুরি করেন তবে তা হবে গবেষণা ।
Plagiarism এর কোন সঠিক বাংলা অর্থ অনলাইনে পেলাম না। আমি বর্তমানে বিদেশে থাকায় কোন ডিকশেনারী হাতে নাই। তাই Plagiarism এর বাংলা চৌর্যবৃত্তিই বলছি। প্রথমে বলি জিনিষটা কি। সহজ কথায়, অন্যের লেখাকে নিজের নামে চালিয়ে দেয়ার কাজটিকেই বলে Plagiarism. দুংখজনক হলেও সত্যি যে, দেশের নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নাম ও এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে। এই ব্যাপারটি মাঝে অল্প কিছুদিন আগেই পত্রিকায় এসেছে।
দেশে থাকতে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের অনেক জায়গায় পড়ানেরা সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। বিশেষ করে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে assignment বলে একটা জিনিষ আছে যা ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত করতে হয় এবং এর জন্য অনেক মার্ক থাকে। পাশাপাশি কোন ছাত্র বা ছাত্রী যে কোন কারণে [ কত যে, বিচিত্র কারণ ছাত্রছাত্রীরা হাজির করে " /> ] ক্লাশে অনুপস্থিত থাকলে তাদের কমন আব্দার হচ্ছে যে, স্যার একটা এসাইমেন্ট জমা দেই? আমরা ও বাধ্য হই। কিছু করার নাই।
এই সব এসাইনমেন্ট নিরীক্ষণের সময় আমরা প্রায়শঃই বুঝতে পারি যে, এই লেখা কোন মতেই ওই ছাত্র/ছাত্রী লিখতে পারেন না কারণ এর মান অনেক উপরের, বা লেখাতে পর্যায়কমে ঠিকভাবে অনুসরিত হয় নাই। কিন্তু বুঝতে পারলেও ধরার কোন উপায় থাকে না। তারা cut-copy-paste এত অন্ধভাবে করে যে, অনেক সময় আগের এসাইনমেন্ট এর শিক্ষকের নাম, কোর্সের নাম ও কপি করে রেখে দেয়, পরিবর্তন করতে হবে যে, তা বুঝতে পারে না। যাই হোক যারা এসব এসাইনমেন্ট চেক করবেন তারা বুঝতে পারলে ও ধরতে পারেন না। এই সমস্যার সমাধান করবে এই সফটওয়্যারটি। TURNITIN নামে একটি সফটওয়্যার আছে যা আপনাকে টাকা দিয়ে কিনতে হবে। তাই বিনামূল্যে এর উত্তম বিকল্প হচ্ছে এই সফটওয়্যারটি ।
এবার সফটওয়্যারটি সম্পর্কে বলি। এটি একটি ফ্রি সফটওয়্যার। এখান থেকে ডাউনলোড করূন-
অন্যান্য সফটওয়্যার এর মতোই ইন্সটল করূন। ডাউনলোড হওয়ার পর আপনাকে একবার রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। ঐ রেজিষ্ট্রেশনের সময় দেয়া ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড মনে রাখতে হবে পরবর্তী সময়ে ব্যবহার করার জন্য।
তিনটি ধাপে কাজটি করতে হয়। প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপের দ্বারা আপনার হাডডিষ্কের এবং প্রথম এবং তৃতীয় ধাপের দ্বারা আপনি ইন্টারনেটের কোন কোন সাইট থেকে cut-copy-paste কার হয়েছে তা ধরতে পারবেন । সফটওয়্যারটি এত সঠিক রেজাল্ট দেয় যে, আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
এর সীমাবদ্ধতা হচ্ছে এটি ইংরেজীর জন্য ব্যবহৃত হয়। আমি বাংলা দিয়ে চেষ্টা করে ছিলাম কাজ করে না। আশা করি, নিকট ভবিষ্যতে এই সফটওয়্যারটি উন্নত হবে তাহলে আমরা ধরে ফেলতে পারব কে কোন গানের সুর কোথা থেকে বা কে কোন মুভি কোন মুভি থেকে cut-copy-paste করেছেন।
অন্যের লেখা থেকে সাহায্য নেয়া বা গবেষণার কাজে অন্যের লেখাকে নিজের লেখাতে উপস্থাপনের দরকার হতেই পারে তাতে কোন সমস্যা নাই। শুধু কষ্ট করে সেটা স্বীকার করতে হবে। তাহলেই আর চৌয্যবৃত্তির অপরাধে অভিযুক্ত হতে হবে না।
সবার জন্য শুভ কামনা আর বিজয় দিবসের অগ্রীম শুভেচ্ছা।
আমি ershad263113। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 21 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
great post..many many thanks…