১, ওডেস্কে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করুন, https://www.odesk.com/signup/user-type । “I NEED A JOB” লেখা মেনুর নিচে “sign up” লেখা বাটনে ক্লিক করলে রেজিষ্ট্রেশন ফরম আসবে।
এ রেজিস্ট্রেশন ফরমে নির্দিস্ট ঘরগুলো পূরন করলে আপনার মেইলে একটি মেইল যাবে, সেখানে ক্লিক করে আপনার রেজিষ্ট্রেশন কনফার্ম করতে হবে।
হয়ে গেল আপনার ওডেস্ক একাউন্ট।
--এ কাজের জন্য আপনার সময় খরচ করুন সর্বোচ্চ ৩০মিনিট।
২) এবার লগইন করে ডানদিকে থাকা “Edite Profile” লিংকে ক্লিক করুন।
যে পেজ আসবে সে পেজে সব তথ্য পূলন করুন, আপনার প্রোফাইল কমপ্লিট করুন। প্রোফাইলে আপনার অতীতে করা কাজের উদাহরণ যুক্ত করুন সময় নিয়ে। এটাই ক্লায়েন্টকে আপনার প্রতি আস্থা তৈরি করবে।
১০০% কমপ্লিট করার জন্য আপনি যে কাজ করতে চান, সেই কাজের উপর টেস্ট দিন। প্রোফাইল রেডি হয়ে গেল।
--- এ কাজে ব্যয় করতে পারেন সর্বোচ্চ ২ঘন্টা।
২, যেহেতু আপনি নতুন, তাই আগামী দুদিন পুরো সাইটে ঘুরাঘুরি করুন। অবশই খুবই ভালভাবে।
ক) কি কি কাজ আছে, সেগুলোর বর্ণনা দেখুন। কি ধরনের কাজ থাকে সেটার একটা ভাল আইডিয়া হয়ে যাবে।
উপরের বাম দিকে লেখা “Find Jobs” এ ক্লিক করুন। যে পেজ আসবে সেখানের বাম দিকে বিভিন্ন ক্যাটাগরি দেখতে পারবেন। যে ক্যাটাগরিতে কাজ করতে চান, সেখানে ক্লিক করুন। ডান দিকে সব কাজের লিস্ট বের হবে। সেখানে নীল রংয়ের লেখা টাইটেলে ক্লিক করুন। তাহলে অন্য একটি পেজ আসবে।
এ পেজটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নিচে ছবির মাধ্যমে পুরো ব্যাপারটি এখানে বোঝানো হলো।
No-1 : এখানে যে কাজটি ক্লায়েন্ট আপনাকে দিয়ে করাবে সেটির বর্ণনা। সেটি ভালভাবে পড়ে দেখুন, আপনার পক্ষে করা সম্ভব কিনা।
No-2: এখানে কাজটির ওভার ভিউ দেয়া আছে। অর্থাৎ কাজটির ধরন কি? ঘন্টা ভিত্তিক হলে লিখা থাকবে “Hourly”, ফিক্সড হলে লেখা থাকবে “Fixed”। তারপর থাকে workload, duration (কতদিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে), posted (কাজটি কবে পোস্ট হয়েছে)আরও অনেক কিছু আছে। পড়ে বুঝে নিতে হবে বাকিটুকু।
No-3: Preferred Qualifications: কাজটি করার জন্য ক্লায়েন্ট কিরকম যোগ্যতা লোক চাচ্ছে সেটা জানা যাবে। যেমন এ ছবিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে Feedback Score :4.50, odesk hours : atleast 1hour না হলে একাজটি বিড করা যাবেনা।
এবার এ ছবিটির ডানের দিকে দেখা যাচ্ছে Client Activity on this Job । এখানে দেখা যাচ্ছে কত জন Applicants এখন পযন্ত কাজে বিড করেছে, কতজনকে ক্লায়েন্ট Interview এর জন্য ডেকেছে।এখান থেকে জেনে নিন বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফা
No-4: About the Client: এখানে আপনি বায়ার সম্পর্কে তথ্য পাবেন।পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কিনা, ক্লায়েন্ট এখন পযন্ত কত ঘন্টা কাজ করিয়েছে।এগুলো সহ আরো তথ্য। যেটা জেনে আপনি ক্লায়েন্টের ব্যপারে একটি ভাল ধারনা পাবেন।
No-5: আপনার একাউন্টের জন্য নির্দিষ্ট ২০টি বিড করার কোটা আছে। এ জায়গাতে আপনি দেখতে পারবেন, আপনার কোটার কয়টি এখনও বাকি আছে অর্থাৎ এখনও কয়টি বিড করার সুযোগ আছে।
No-6: এবার যদি সিদ্ধান্ত নেন বিড করার জন্য, তাহলে এখানে এসে “APPLY TO THIS JOB” বাটনে ক্লিক করুন।
আজ এ পযন্ত শেষ করলাম। উপরের তথ্য অনুযায়ি আপনার প্রস্তুতি শেষ করুন। আগামী পর্বে কাজ করা শুরু করব।
যদি কোন প্রশ্ন থাকে নিচের ফেসবুক গ্রুপে প্রশ্ন করুন।
আমি মোঃ ইকরাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 102 টি টিউন ও 130 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
নিজেকে অনলাইন ব্রান্ড এক্সপার্ট হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করলেও গ্রাফিকস, ওয়েবডিজাইন এবং অ্যানিমেশন বিষয়েও প্রচুর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। ব্লগিংটা নেশার কারনে করি। নিজের ব্লগের লিংকঃ http://genesisblogs.com/
thanks