Dhaka University'তে Honourse 1ST Year ২০১১-২০১২ সেশনে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আজকের লেখা। আশা করি যারা যারা ভর্তি পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক তাদের এই টিউনটি অনেক কাজে লাগবে। তবে চলুন শুরু করা যাক...
বিশেষ সতর্কতাঃ
প্রার্থীর নিজের উপস্থিতিতে প্রাথমিক আবেদন ও ছবি আপলোড করে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের জন্য পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে। প্রার্থীর অনুপস্থিতিতে প্রায়শঃ ভুল ছবি আপলোড করা হয় এবং এতে অনেক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়। অনেক সময় জাল প্রবেশপত্র তৈরী করে তা প্রার্থীকে দেয়া হয়। প্রার্থীরা যে কোন সময়ে তার PIN বা রোল নং ব্যবহার করে ইন্টারনেটে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের Application Status-এ যাচাই করে নিতে পারবেন তার প্রবেশপত্রটি সঠিক কি না।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিঃ
প্রাথমিক আবেদন করা বা টাকা জমা দেয়ার জন্য প্রার্থীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বা ঢাকায় আসার প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে সমভাবে আবেদন করা যাবে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধুমাত্র ভর্তির সংক্রান্ত তথ্যাদি জানা যাবে, কোন টাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জমা নেয়া হয় না। কোন ব্যাংকের বা বিশেষ কোন শাখার কোন আলাদা গুরুত্ব নেই। ভর্তি পরীক্ষার আসনবন্টনও আবেদনের বা টাকা জমা দেয়ার স্থান বা সময়ের সাথে সম্পর্কিত নয়।
সাধারণ নির্দেশিকা:
যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ২০১১ অথবা ২০১০ সালের উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে কেবল তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষাক্রমে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন করতে পারবে। তবে প্রার্থীকে অবশ্যই ২০০৬ সাল বা তার পরে মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ১৬ই আগস্ট ২০১১ তারিখ দুপুর ১২:০০ টা থেকে ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০১১ ইং তারিখের মধ্যে প্রাথমিক আবেদনের ফি জমা দেয়ার পে-স্লিপ সংগ্রহ করা যাবে। ১৬ই আগস্ট ২০১১ তারিখ থেকে ২০ শে সেপ্টেম্বর ২০১১ ইং তারিখের পর্যন্ত দেশের সর্বত্র সোনালী, জনতা, অগ্রণী বা রূপালী ব্যাংকের যে কোন শাখায় টাকা জমা দেয়া যাবে। ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববাদ্যালয়ে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তিকৃত কোন ছাত্র/ছাত্রী যদি বিষয়/বিভাগ পরিবর্তনের জন্য পুনরায় ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চায়, তবে তাকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের নিকট থেকে ভর্তি-পরীক্ষায় অংশগ্রহণের লিখিত অনুমতি ও সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ডিনের অনুমোদন পাওয়ার পর ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তবে ২০০৯ সনে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় পাশকৃত ছাত্রছাত্রীদের জন্য আবেদনের সুযোগ নেই।
একজন আবেদনকারী চারটি ধাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।
প্রথম ধাপ: (ইউনিট বাছাই)> ইন্টারনেটে এই ওয়েবসাইট থেকে প্রার্থী উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান/মানবিক/বাণিজ্য শাখায় পঠিত বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ইপ্সীত বিষয়/বিভাগে ভর্তির জন্য ক, খ, গ, ঘ এবং চ এই পাঁচটি ইউনিটের একটি বেছে নেবে।
দ্বিতীয় ধাপ: (আবেদনের ফি জমা রশিদ সংগ্রহ)> ওয়েবেসাইটে 'আবেদন (Apply)' লিংকে ক্লিক করে প্রার্থী উচ্চমাধ্যমিকের রোল নম্বর, শিক্ষাবোর্ড ও পাসের সন দিয়ে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার রশিদ ডাউনলোড করে প্রিন্ট নেবে। তবে জিসিই ও সমমানের বিদেশী সার্টিফিকেটধারী আবেদনকারীকে home page এর সংশিষ্ট ইউনিটের Detailed Form লিংকে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে
তৃতীয় ধাপ:(ব্যাংকে টাকা দেওয়া)> টাকা জমা দেওয়ার রশিদের দুটি অংশের নির্দিষ্ট স্থানে সদ্যতোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংযুক্ত করবে এবং রশিদের দুটি অংশেই আবেদনকারী স্বাক্ষর করে সোনালী, জনতা, অগ্রণী বা রূপালী ব্যাংকের যেকোন শাখায় টাকা জমা দেবে।
চতুর্থ ও শেষ ধাপ: (ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ)> আবেদনকারীর টাকা জমাদানের তিন কার্যদিবসের পর, টাকা জমা দেওয়ার রশিদে উল্লেখিত ব্যাক্তি পরিচিতি নম্বর (Personal Identification Number-PIN) ব্যবহার করে টাকা জমা দেওয়ার রশিদে লাগানো ছবির অনুরূপ আরেকটি ছবি আপলোডের পর ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রিন্ট করে নেবে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাই বিশেষ বিশেষ দ্রষ্টব্য:
যদি কোন আবেদনকারী ব্যাংকে টাকা জমাদানের তিন কার্যদিবস পরও পরীক্ষার প্রবেশপত্র তৈরি অবস্থায় না পায়, তাহলে সে, টাকা জমা দেওয়ার বিবরণসহ অনলাইনে, টেলিফোনে (৯৬৬৯৯৩৪)-এর মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিত করবে। শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের সমস্যায় পড়লে হটলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন। যোগাযোগের নম্বরগুলো হচ্ছে: ০১৮৪২২৪৪২৪৪, ০১৬১৬১৫১৫৫৯ ও ৯৬৬৯৯৩৪। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা আবেদন সম্পন্ন করার পর ভর্তিসংক্রান্ত তথ্য, আসনবিন্যাস প্রভৃতি তথ্য মুঠোফোনে ১৬৩২১ নম্বরে এসএমএস করে পাবেন।
আসুন এখন জেনে নেই ভর্তি পরীক্ষার তারিখগুলোঃ
‘ক’ ইউনিট এর পরীক্ষা ১৪ অক্টোবর ২০১১
‘খ’ ইউনিট এর পরীক্ষা ২১ অক্টোবর ২০১১
‘গ’ ইউনিট এর পরীক্ষা ২৮ অক্টোবর ২০১১
‘ঘ’ ইউনিট এর পরীক্ষা ১৮ নভেম্বর ২০১১
‘চ’ ইউনিট এর পরীক্ষা ২৫ নভেম্বর ২০১০
এখানে ও বিশেষ দৃস্টি দিনঃ
আবেদনঃ ১৬ আগস্ট-১৫ সেপ্টেম্বর
ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়াঃ ১৬ আগস্ট-২০ সেপ্টেম্বর
(সোনালী, জনতা, অগ্রণী বা রূপালী ব্যাংকের যেকোন শাখায় টাকা জমা দেয়া যাবে)
প্রবেশপত্রের ছাপানো কপি নেওয়ার শেষ তারিখঃ ২৫ সেপ্টেম্বর।
ভর্তির জন্য প্রাথমিক আবেদন ফিঃ ৩০০ টাকা, ব্যাংক মাশুলঃ ২০ টাকা (সর্বমোট- ৩২০ টাকা)
অনলাইনে আবেদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লিংক গুলো
ক ইউনিট এর সম্পুর্ন নোটিশ জানতে এবং অনলাইনে আবেদন করতে এই লিংকে ক্লিক করুন
খ ইউনিট এর সম্পুর্ন নোটিশ জানতে এবং অনলাইনে আবেদন করতে এই লিংকে ক্লিক করুন
গ ইউনিট এর সম্পুর্ন নোটিশ জানতে এবং অনলাইনে আবেদন করতে এই লিংকে ক্লিক করুন
ঘ ইউনিট এর সম্পুর্ন নোটিশ জানতে এবং অনলাইনে আবেদন করতে এই লিংকে ক্লিক করুন
চ ইউনিট এর সম্পুর্ন নোটিশ জানতে এবং অনলাইনে আবেদন করতে এই লিংকে ক্লিক করুন
তথ্য সূত্রঃ ঢাকা ইউনিভার্সিটির অফিসিয়াল ওয়েব সাইট
আশা করি ভর্তি ইচ্ছুক ভাই দের আমার এই টিউন টা উপকারে আসবে তবে আমি শুধু যথা সময়ে আপনাদের মাঝে ব্যাপারটা শেয়ার করলাম (আমি আবার ক্রিয়েটিভিটি পছন্দ করি, এটাতে কোন ক্রিয়েটিভিটি নাই কিনা তাই )। সবাই ভালো থাকুন। ধন্যবাদ। আরেক টা কথা সময় পেলে আমাদের নতুন বাংলা ব্লগ টা থেকে একটু ঘুরে আসতে পারেন http://earntricks.com. এটা একটা অনলাইনে আয় বিষয়ক বিভিন্ন টিউটোরিয়ালের বাংলা ব্লগ।
আমি আবু তাহের সুমন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 33 টি টিউন ও 1212 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি তাহের অনলাইন উদ্যোক্তা এবং ইন্টারনেট মার্কেটিং স্ট্রেটেজিস্ট হিসাবে কাজ করছি দীর্ঘ ১দশক যাবত। ২০১৭'তে প্রতিষ্ঠা করি ' আওয়ামাহ টেকনোলজিস লিমিটেড ' বর্তমানে এর প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। আমার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইংরেজি ব্লগ 'ক্লিক করুন' । ধন্যবাদ।
জানতে পেরে ভাল লাগল।ধন্যবাদ