সুপ্রিয় টেকটিউনস এর বন্ধুগণ
‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’
কেমন আছেন সবাই,আসা করি ভাল…সবাই ভাল থাকুন এই কামনা করে আজকের টিউন।
ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানে নিহত
(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন…)
ওসামা বিন মুহাম্মদ বিন আবাদ বিন লাদেন
(আরবি: أسامة بن محمد بن عوض بن لادن)
জন্ম: মার্চ ১০, ১৯৫৭।
মৃত্যুঃ মে ২, ২০১১।
- সৌদী আরবে জন্মগ্রহণকারী একজন ইসলামী জঙ্গী যাকে আল কায়েদা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সাধারনত তিনি ওসামা বিন লাদেন বা উসামা বিন লাদেন নামে পরিচিত। তিনি যশস্বী বিন লাদেন পরিবারের একজন সদস্য। তাঁর বাবা মুহাম্মদ বিন লাদেন ছিলেন ধনবান ব্যক্তি। আবাসন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তাঁর ৫৪ সন্তানের মধ্যে ওসামা বিন লাদেন ছিলেন ১৭তম। ১৯৬৯ সালে এক বিমান দুর্ঘটনায় ওসামার বাবার মৃত্যু হয়।
- এ সময় ওসামার বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর। ওই বয়সেই আট কোটি ডলার মূল্যের পৈতৃক সম্পত্তি পান তিনি। পরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করতে জেদ্দায় পাড়ি জমান ওসামা। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যরা শিক্ষকতা করতেন। ওসামা তাঁর ১৭ বছর বয়সে দূরসম্পর্কের এক সিরীয় বোনকে প্রথম বিয়ে করেন।এরপর আরও অন্তত চার নারীকে বিয়ে করেন। ওসামার ২৩ জন সন্তান রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ওসামা বিন লাদেন ১৯৮০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে আফগানিস্তানে সোভিয়েতবিরোধী লড়াইয়ে অংশ নেন।
- ওই সময়ই তিনি ‘আল-কায়েদা’ গঠন করেন। অন্য কয়েকজন ইসলামী জঙ্গীর সাথে মিলে ওসামা বিন লাদেন দুইটি ফতোয়া জারি করেন; একবার ১৯৯৬ সালে, অন্যটি ১৯৯৮ সালে। ফতোয়াটি ছিল, মুসলিমদের উচিত মার্কিন সামরিক ও বেসামরিক জনগণকে হত্য করা যতক্ষণ না যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের প্রতি সব সহায়তা বন্ধ করে এবং সব মুসলিম দেশ থেকে সামরিক শক্তি অপসারণ করে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসীহামলা
- ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ আল কায়দার শীর্ষ নেতাকে জীবিত ও অথবা মৃত ধরার জন্য বিশ্বের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী হিসেবে ওসামার মাথার দাম আড়াই কোটি ডলার ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে তাঁর প্রতিষ্ঠা করা সংগঠন আল-কায়েদাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।কিন্তু তার টিকিটিরও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
- ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রে (টুইট টাওয়ার) ওই হামলায় অন্তত ৩ হাজার মানুষ মারা যায়।সন্ত্রাসী সংগঠন আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামাকে টুইন টাওয়ারে হামলার জন্য দায়ী করা হয়। টুইন টাওয়ারে হামলার পর থেকে বিন লাদেন ও তার সংগঠন আল কায়েদা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ'র প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়। এরপর থেকে আত্মগোপনে থাকেন লাদেন।
---বিন লাদেনকে ধরার অভিজান---
- ১০ বছর ধরে যাকে তন্ন তন্ন করে খোঁজা হচ্ছিলো,মে ২, ২০১১- আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের সন্ধান জানতে তাঁর একজন ঘনিষ্ঠ বার্তাবাহকের গতিবিধি যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করেছে। এই বার্তাবাহকের নাম আবু আহমেদ। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত অ্যাবোটাবাদ শহরের উপকণ্ঠ বিলাল এলাকায় ওই বাড়ি। ক্রমেই অভিজাত হয়ে ওঠা ওই এলাকায় বিশাল জায়গাজুড়ে বাড়িটি নির্মিত হয় ২০০৫ সালে। কনিষ্ঠ স্ত্রীকে নিয়ে সেখানেই অবস্থান করছিলেন আল-কায়েদার প্রধান বিন লাদেন। বাড়িটি যখন নির্মিত হয়, তখন সেটি ছিল রাস্তার একেবারে শেষ প্রান্তে। গত ছয় বছরে এর আশপাশে আরও বাড়ি নির্মিত হয়েছে। পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অনেক কর্মকর্তা ওই এলাকায় বাড়ি করেছেন।
- আশপাশের অন্য বাড়িগুলোর তুলনায় ওই বাড়ি আট গুণ বড়। তিনতলা বাড়িটির প্রতিটি অংশে ছিল কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। ছিল বিভিন্ন উচ্চতার নিরাপত্তা প্রাচীর। কোথাও ১০ ফুট, কোথাও ১২, কোথাও ১৩ আবার কোথাও ১৮ ফুট উঁচু প্রাচীর। প্রাচীরের ওপর কাঁটাতারের বেড়া। মূল বাড়ির দুই দিকেও আছে ১১ ও ১২ ফুট উঁচু প্রাচীর। ফটক মূল বাড়ি ও পাশের দেয়ালঘেরা ফাঁকা জায়গার মাঝখানে। ওই ফটকের উল্টোদিকেও আছে আরেকটি ফটক। বাড়ির ছাদে রয়েছে পর্যবেক্ষণ খুপরি। প্রতিবেশীদের মতো ওই বাড়ির বাসিন্দারা আবর্জনা বাইরে ফেলতেন না, পুড়িয়ে ফেলতেন দেয়ালঘেরা ফাঁকা জায়গায়।অর্থাৎ নিরাপত্তার কোনো কমতি ছিল না।
- ওসামার বিশ্বস্ত এক বার্তাবাহকের বিষয়ে তথ্য দেন। ওই ব্যক্তির ওপর চার বছরেরও বেশি সময় ধরে নজরদারি করেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তাঁরা গত বছরের আগস্টে আবিষ্কার করেন, ওই বার্তাবাহক ও তাঁর ভাই এবং তাঁদের পরিবার ওই বাড়িতে বাস করছেন। বাড়িটির ওপর নজরদারি করে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা হয়, বাড়িটিতে এই দুই পরিবার ছাড়া আরও একটি পরিবার বাস করে। একপর্যায়ে তাঁদের নিশ্চিত ধারণা জন্মে, তৃতীয় পরিবারটি ওসামা বিন লাদেনের।
- কনিষ্ঠ স্ত্রীকে নিয়ে লাদেন বসবাস করছেন। লাদেনের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরই সেখানে অভিযানের পরিকল্পনা করে মার্কিন বাহিনী।অ্যাবোটাবাদ পাকিস্তানের অন্যতম গ্রীষ্মকালীন অবকাশযাপন কেন্দ্র। অবস্থান পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কাছে। এর চারপাশে সবুজ পাহাড়। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে লড়াইরত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের প্রশিক্ষণ শিবির এই শহরের কাছেই। (এএফপি)
---পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত ঘাটির ম্যাপ---
- মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, বাড়ির বাইরের দিকে বেশ কয়েকটি জানালা আছে। ভেতরে চলাচলের জন্য যে পথ, সেখানে আছে সাত ফুট উঁচু আরেকটি দেয়াল। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, বাড়িটিতে কোনো টেলিফোন নেই। নেই ইন্টারনেট সংযোগও। মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানান, বাড়িটির দাম হবে ১০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মালিক দুই ভাই। তবে তাঁদের উল্লেখ করার মতো আয়ের কোনো উৎস জানা যায়নি।
-1-ম্যাপ- NASA থেকে নেওয়া-
-2-ম্যাপ- NASA থেকে নেওয়া-
-3-ম্যাপ-
-4-ম্যাপ-
5-ম্যাপ-
6-ম্যাপ-
- যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে রোববার রাতে সংবাদ মাধ্যম আল কায়দার শীর্ষ নেতার মৃত্যুর খবর দেয়। এর পরপরই এক টেলিভিশন ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিশ্চিত করেন, বিন লাদেন মারা গেছেন।যুক্তরাষ্ট্র বিন লাদেনকে হত্যার দাবি করলেও এ বিষয়ে আল কায়দার কোনো প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।বিন লাদেনের মৃত্যুর খবরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে উল্লাসের খবর পাওয়া গেছে। তবে বিশ্বজুড়ে মার্কিন দূতাবাসগুলোতে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।ওবামা বলেন, ইসলামাবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ একটি সৈন্যদলের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হন বিন লাদেন। তার লাশ এখন যুক্তরাষ্ট্রের হেফাজতে রয়েছে।
- যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, ইসলামাবাদের আবতোবাদ এলাকায় নিহত হন বিন লাদেন। যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা অভিযান শুরু করলে আল কায়দা নেতাও প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।তবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সৈন্য কিংবা বেসামরিক কোনো মানুষ এতে হতাহত হয়নি বলে ওবামা জানান।ওবামা বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে আল কায়েদা নেতা ও সন্ত্রাসী ওসামা নিহত হয়েছে, যে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুর হত্যার জন্য দায়ী।" বিন লাদেনের মৃত্যু ওবামা ও তার প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন বলেই মনে করছে বিশ্লেষকরা। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের অনেকেই বিন লাদেনকে খুঁজে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।
বিন লাদেনের মরদেহ আরব সাগরে!
- ওসামা বিন লাদেনের সমাধিস্থল 'সন্ত্রাসীদের তীর্থস্থল' হয়ে উঠুক- তা চায়নি যুক্তরাষ্ট্র। এ কারণে তার মরদেহ সাগরে 'সমাহিত' করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পত্রিকাটি লিখেছে, আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানে নিহত হওয়ার পর তার মরদেহ প্রথমে আফগানিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। রোববার রাতে ইসলামাবাদে মার্কিন বাহিনীর অভিযানে লাদেন নিহত হওয়ার খবরে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকালে টেলিভিশনে ভাষণ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
- ওসামা বিন লাদেনের মরদেহের 'ভাগ্যে' কী ঘটবে- তাৎক্ষণিকভাবে এ প্রশ্ন ওঠার পর যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ইসলামী রীতি অনুযায়ীই তাকে দাফন করা হবে। কিন্তু এতো অল্প সময়ের মধ্যে মরদেহ সমাহিত করা হলে লাদেনের মৃত্যু নিয়েই যে সন্দেহ তৈরি হতে পারে- এ বিষয়টিও জানা ছিলো তাদের। এ কারণে তারা 'মৃত্যুর পর যতো দ্রুত সম্ভব' দাফন করার ইসলামী বিধানের উদ্ধৃতি টানছেন। তারা বলছেন, কাউকে সাগরে 'দাফন' করার ঘটনা বিরল হলেও ইসলামী আইনের পরিপন্থী নয়।
- নাম প্রকাশ না করে এক মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, "বিশ্বের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীর মরদেহ নিতে চায়- এমন দেশ খুঁজে পাওয়া কঠিন।" রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে একশ' কিলোমিটার উত্তর-পূর্বের আবোতোবাদে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের আবাসিক এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কনিষ্ঠ স্ত্রীকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন বিন লাদেন।পদক্ষেপ নেওয়ার মতো যথেষ্ট তথ্য আমাদের হাতে এসেছে।
- এরপর তাকে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে অভিযান পরিচালনার অনুমতি দিই।" যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ কমান্ডো বাহিনী 'নেভি সিল টিম সিক্স'র সদস্যরা ওই অভিযান চালায়। ৪০ মিনিটের গোলাগুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান লাদেন। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, স্থানীয় সময় সোমবার ভোররাতের অভিযানে লাদেনের এক ছেলে, দুই বার্তা বাহক এবং লাদেনকে বাঁচাতে মানবপ্রাচীর হয়ে দাঁড়ানো এক নারী নিহত হন। আহত হয় আরো দুই নারী।
- ওই কর্মকর্তা বলেন, মাথায় ও বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ৫৪ বছর বয়ষ্ক বিন লাদেনের লাশ সমাহিত করার আগে মুসলিম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী গোসল করানো হয় এবং তার নামাজে জানাজা হয় বলে তারা নিশ্চিত করেছে। লাদেনের শেষকৃত্যানুষ্ঠান হয় আরব সাগরে ভাসমান যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী জাহাজ কার্ল ভিনসনে। এরপর কাফনে আবৃত বিন লাদেনের দেহ একটি ভারী ব্যাগে ভরে উত্তর আরব সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।কারণ তার সমাধিস্থল সন্ত্রাসীদের তীর্থস্থল হোক যুক্তরাষ্ট্র তা চায়নি।"
- এখনও নিহত ওসামা বিন লাদেনের কোনো ছবি অফিশিয়ালি প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
- জানা গেছে, লাদেনের লাশের ছড়িয়ে পড়া ‘ভূয়া’ ছবিটি ছাড়াও সম্প্রতি আরো একটি ছবি এখন ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ছে, তবে এই ছবিটি ভ‚য়া কিনা সে বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি এফবিআই।
- কয়েকটি ইসলামী ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান লিখেছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে মুসলিমদের মরদেহ সাগরে 'দাফন' করার বিধান রয়েছে। যেমন সমুদ্রে দীর্ঘ যাত্রায় কেউ মারা গেলে অথবা শত্র"পক্ষ কবর থেকে লাশ তুলে নিতে পারে- এমন আশঙ্কা থাকলে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাগরে 'দাফন' করা যেতে পারে।
-ওসামা বিন লাদেন এর কিছু কথা এবং ছোট বেলার কিছু ছবি-
- ‘ধনী বাবার ছেলে আমি'। চাইলে অন্যান্য ধনাঢ্য সৌদি নাগরিকের মতো আমিও ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় বিলাসী জীবন কাটাতে পারতাম। আমি তা করিনি। হাতে তুলে নিয়েছি অস্ত্র, চলে এসেছি আফগানিস্তানের পাহাড়ে। শুধু কি ব্যক্তিগত লাভের আশায়, যেখানে আমার প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে মৃত্যুকে সঙ্গী করে? না, মুসলমানদের ওপর যারা আঘাত করে চলেছে, তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ পরিচালনার ধর্মীয় দায়িত্ব থেকেই শুধু আমি এ পথে এসেছি। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মৃত্যু হলেও আমি তা পরোয়া করি না। আমি এবং আমার মতো আরও অনেকের মৃত্যুই একদিন লাখ লাখ মুসলিমকে তাদের উদাসীনতা সম্পর্কে সচেতন করে তুলবে।
- আমি যদি না-ও থাকি, তবু জিহাদ চলবেই।মুসলমানদের রক্ষায় অস্ত্র জোগাড় করা তো ধর্মীয় কর্তব্য। আমি যদি অস্ত্র জোগাড়ের চেষ্টা করি, তাহলে তা হবে ধর্মীয় কর্তব্য পালন।ইহুদি ও আমাদের মধ্যে এই যুদ্ধ। কোনো দেশ ইহুদির পরিখায় নামলে এ জন্য তারাই দায়ী থাকবে।স্বাধীন মানুষ তাদের নিরাপত্তা জলাঞ্জলি দেয় না। বুশ দাবি করে থাকেন, স্বাধীনতাকে আমরা ঘৃণা করি। আমরা যদি তা-ই করে থাকি, তাহলে সুইডেনে কেন হামলা চালাচ্ছি না। আমাদের কাছে এর কারণ ব্যাখ্যা করুন, বুশ।আমাদের বিষয়টির সমাধান যারা জাতিসংঘে করতে চায়, তারা ভণ্ড। আর যেসব দেশ জাতিসংঘের সদস্য, তারা কাফের।শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ে শহীদ হওয়ার হামলার ওপর আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। এসব হামলায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এমন ভয় পেয়েছে, যা আগে কখনো পায়নি।( এএফপি)।
আমরা সবাই -আল্লাহ এবং (স:) এর -নাম নিয়ে সকল মুসলমান সহ সারাবিশ্বের জন্য কোরআনতেলয়াত ও দুরুদ পাঠ করি।(আমীন)
ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা রেখে ।
“আল্লাহ হাফেজ”।
‘ধনী বাবার ছেলে আমি। চাইলে অন্যান্য ধনাঢ্য সৌদি নাগরিকের মতো আমিও ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় বিলাসী জীবন কাটাতে পারতাম। আমি তা করিনি। হাতে তুলে নিয়েছি অস্ত্র, চলে এসেছি আফগানিস্তানের পাহাড়ে। শুধু কি ব্যক্তিগত লাভের আশায়, যেখানে আমার প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে মৃত্যুকে সঙ্গী করে? না, মুসলমানদের ওপর যারা আঘাত করে চলেছে, তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ পরিচালনার ধর্মীয় দায়িত্ব থেকেই শুধু আমি এ পথে এসেছি। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মৃত্যু হলেও আমি তা পরোয়া করি না। আমি এবং আমার মতো আরও অনেকের মৃত্যুই একদিন লাখ লাখ মুসলিমকে তাদের উদাসীনতা সম্পর্কে সচেতন করে তুলবে।
১৯৯৭ সালের মার্চের এক সকালে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন এ কথাগুলোই বলেছিলেন।
আমি যদি না-ও থাকি, তবু জিহাদ চলবেই।মুসলমানদের রক্ষায় অস্ত্র জোগাড় করা তো ধর্মীয় কর্তব্য। আমি যদি অস্ত্র জোগাড়ের চেষ্টা করি, তাহলে তা হবে ধর্মীয় কর্তব্য পালন।ইহুদি ও আমাদের মধ্যে এই যুদ্ধ। কোনো দেশ ইহুদির পরিখায় নামলে এ জন্য তারাই দায়ী থাকবে।স্বাধীন মানুষ তাদের নিরাপত্তা জলাঞ্জলি দেয় না। বুশ দাবি করে থাকেন, স্বাধীনতাকে আমরা ঘৃণা করি। আমরা যদি তা-ই করে থাকি, তাহলে সুইডেনে কেন হামলা চালাচ্ছি না। আমাদের কাছে এর কারণ ব্যাখ্যা করুন, বুশ।আমাদের বিষয়টির সমাধান যারা জাতিসংঘে করতে চায়, তারা ভণ্ড। আর যেসব দেশ জাতিসংঘের সদস্য, তারা কাফের।শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ে শহীদ হওয়ার হামলার ওপর আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। এসব হামলায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এমন ভয় পেয়েছে, যা আগে কখনো পায়নি।( এএফপি)।
ইসলামের জন্য একটা কলংকের মৃত্যু হলো।এই মানুষটার জন্য আজ আমরা সারা বিশ্বের কাছে মুসল্মান নয়।আতঙ্ক হিসেবে পরিচিত