আধুনিক এযুগে কেউ পিছিয়ে পড়তে চাই না, সবাই চাই সম্মুখ পানে ছুটে চলতে। কালের আবর্তমানে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের তথ্যভাণ্ডার। আপনি যদি আজ থেকে ঠিক ২০ বছর আগের কথা চিন্তা করেন তাহলে বুঝবেন কেমন ছিল তখনকার তথ্যের গতিবিধি। আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি তারা রেডিও, টেলিভিশিন অথবা পত্রিকার উপর নির্ভরশীল ছিলাম। দেখতাম পত্রিকা আসতে আসতে অনেকদিন সন্ধ্যা হয়ে যেত | অর্থাৎ সংবাদ হয়ে যেত পুরাই বাঁশি খাবারের মতো।
সংবাদপত্র যেকোনো দেশের জন্য একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম গণমাধ্যম মিডিয়া হলো পত্রিকা। যা চিনে প্রথম চালু হয়েছিল, সময়ের পরিবর্তনে তা এখন সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের দেশে স্থানীয়, জাতীয় এবং অনলাইন সবমিলিয়ে ৩ হাজার পত্রপত্রিকা রয়েছে, যা অনেকেরই অজানা। তবে ২০১৯ সালে সরকার এসবগুলোকে নিবন্ধন করতে বলে এতো করে অনেকেই বাদ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। অনেক পত্রিকা আছে যারা মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করে ভিন্ন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
এই পত্রিকাগুলো পড়তে গেলে আমাদের গুগলে আলাদা আলাদা ভাবে খুঁজে বের করতে হয়, তাতে বেশ ঝামেলা বটে।
কিন্তু এর আবার সমাধান আমি সেদিন পেলাম। আমার এক বন্ধু বললো বাংলাদেশের সকল পত্রপত্রিকা এখন এক নিমিষেই পাওয়া যাই। আমিতো শুনে অবাক, কিভাবে সম্ভব? তখন সে আমাকে দেখালো বাংলা নিউসপেপার নামের একটি এন্ড্রোইড অ্যাপস। সাথে সাথে ইনস্টল করে দেখি এলাহী কান্ড! তখন একটু থ হয়ে ভাবলাম তথ্য কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, আর কোথায় গিয়ে থামবে।
অ্যাপসটি আমার কাছে খুবই উপকারী বলে মনে হয়েছে, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনাদের সুবিধার্থে আমি লিংকটা দিলাম। Bangla Newspapers : [Download]
বাংলাদেশে প্রথম ডিশ ভিত্তিক টিভি চ্যানেল হলো এটিন বাংলা, যা সম্প্রচার শুরু ১৫ জুলাই, ১৯৯৭ সালে। আর এখন ডিশ ছাড়লেই শুধু বাংলা টিভি চ্যানেলের ছড়াছড়ি। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে টিভি চ্যানেলের সংখ্যা ৪৫ টির ও বেশি। এর মধ্যে কিছু নতুন যা সম্প্রচারের অপেক্ষায় আছে।
যেখানে ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশের একটিমাত্র টেলিভিশিন চ্যানেল ছিল সেখানে আজ ৪৫ টির ও অধিক চ্যানেল আমরা দেখতে পাচ্ছি। কোথায় আমরা আর কোথায় গিয়ে ঠেকেছে আমাদের তথ্যের অগ্রযাত্রা।
সর্ব প্রথম বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ বেতারের সম্প্রচার শুরু করে ১৬ ডিসেম্ভর, ১৯৩৯ সালে পুরান ঢাকা থেকে। পরবর্তীতে কেন্দ্রটি শাহবাগে স্থানান্তর করা হয়।
আর বর্তমানে fm রেডিওয়ের সংখ্যা ২২ টির ও অধিক | কমিউনিটি রেডিওয়ের সংখ্যা ১৫ এর বেশি ছাড়া কম না। হয়তো রেডিও চ্যানেলের সংখ্যা বাংলাদেশের জনসংখ্যার মতো বৃদ্ধি পাবে।
যাইহোক এর মধ্যে এখন আবার ইন্টারনেট, ফেইসবুক এবং ইউটুব যুক্ত হয়েছে। মুহূর্তের সংবাদ মুহূর্তে পাওয়া যাই এই সবের মাধ্যমে।
বাংলাদেশে এখন সবথেকে বড় গণমাধ্যম হলো ফেইসবুক যা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমার মনে হয় বাংলাদেশের ১০ কোটি লোক ফেইসবুক ব্যবহার করে। ফেসবুকের পরেই ইউটুবের স্থান। আমার মনে হয় এমন কোনো ব্যক্তি নেই যে প্রতিদিন ইউটুবে কয়েক ঘন্টা টাইম পাস করে না।
বর্তমানে গণমাধ্যমের এই বিশাল ছকে কোনো তথ্যই গোপন থাকছে না। যে যেভাবে পারছে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি বলবো বর্তমানে প্রত্যেক ব্যক্তিই এক একটি শক্তিশালী মিডিয়া।
(আমি আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস থেকে লিখি, লেখালেখির চেষ্টা করছি মাত্র। আমার এ লেখা শেয়ার বা লাইক দিয়ে উৎসাহিত করতে বলবোনা। শুধু বলবো টিউমেন্ট করে আমার ছোটোখাটো বা বড় ভুল গুলো ধরিয়ে দিবেন। )
আমি হাসমত আলী। Digital Marketer, DrChronicDisease.Com, Kaligonj, Jhenaidh। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 12 টিউনারকে ফলো করি।
Digital Marketer & Advertiser (Amazon, Facebook, Google, Linkedin) | SEO and Data Driven Marketing Specialis ***Specialist of Amazon FBA, Ads, Alibaba Product Sourcing, Product Listing Optimization***
পত্রিকা পাঠ ব্যক্তির জ্ঞান প্রসারিত করতে সহায়ক৷