হারিয়ে যাওয়া খেমার সাম্রাজ্য কেমন ছিল রাজ্য

টিউন বিভাগ খবর
প্রকাশিত

বর্তমান ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস আর থাইল্যান্ডের বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে ওঠা এই সভ্যতা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় সভ্যতাগুলোর একটি। পানিকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে বেশিরভাগ সভ্যতা, আর এই পানিকে কাজে লাগিয়েই সবচেয়ে দ্রুত নিজেদের সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়েছে ৮০০ থেকে ১৪০০ সাল পর্যন্ত উন্নতির শিখরে থাকা এই খেমার সাম্রাজ্য। মেকং নদীর কোল ঘেঁষে বেড়ে ওঠা রাজধানী অ্যাংকরকে বলা যায় প্রাচীন পৃথিবীর অন্যতম বিশাল শহর, যা দখল করে রেখেছিল ১, ০০০ বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি জায়গা আর আশ্রয় দিয়েছিল প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে।

পৃথিবী থেকে যদি মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় তাহলে কি ঘটবে পৃথিবীতে।

শহরের অসাধারণ পানি সরবরাহ ব্যবস্থার সাহায্যে মানুষের জীবনযাত্রা সহজ হয়ে গিয়েছিলো। পানিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সেই শহরের পানির ব্যবস্থা ছিল স্বয়ংক্রিয়, যে কারণে ইতিহাসবিদরা একে উপাধি দিয়েছেন হাইড্রলিক শহর নামে। শক্তিশালী অর্থনীতির জোরে খেমার সাম্রাজ্য কম্বোডিয়া ছাড়িয়ে প্রবেশ করলো লাওস, থাইল্যান্ড আর ভিয়েতনামে, সংস্পর্শে আসলো পশ্চিমের সুতখোনিয়া সাম্রাজ্য আর পূর্বে তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী শ্যামের। খেমারদের সবচেয়ে বিখ্যাত রাজা দ্বিতীয় জয়বর্মন শ্যামদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করলেন, দখল করে নিলেন বেশ বড় এলাকা। বিশাল বড় সাম্রাজ্যকে ভাগ করা হলো ২০টি প্রদেশে, চীনের সাথে বাণিজ্য-ব্যবসা তুঙ্গে উঠলো। কাঠ, আইভরি, মশলা, মোম, সোনা, রূপা আর সিল্ক রপ্তানির অর্থের ভারে অ্যাংকর ডুবে যেতে থাকলো। তবে এই অবস্থা বেশিদিন চলতে পারেনি, কিছুদিনের মধ্যেই খেমারদের পতন ঘটল। কারণ হিসেবে দায়ী করা যায় তিনটি বিষয়কে। প্রথমত, ক্রমবর্ধমান বৌদ্ধধর্মের সংস্পর্শে এসে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ধীরে ধীরে ঝিমিয়ে পড়ছিল। দ্বিতীয়ত, অ্যাংকরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থাও ক্রমশ কমে আসছিল। আর শেষটি হলো, তাদের ক্রমেই বেড়ে চলা বিশাল সাম্রাজ্য সহজেই অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রের সহজ লক্ষ্যে পরিণত হয়েছিল।

 

Level 0

আমি রনি সেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস