বিছমিল্লাহির-রহমানীর রহীম
বর্তমানে আমাদের মুসলমান সমাজে একটা শক্তিশালী ভাইরাস ঢুকেছে ।যেই ভাইরাসটা মুসলমানদের একেবারে শেষ করে দিয়েছে।
সেই ভাইরাসের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মুসলমান নারী পুরুষদেরকে কুরআনের বিরোধীতা করিয়ে দেয়া এমন সুকৌশলে যা মুসলমানরাও টের পাবেনা যে তারা কুরআনের বিরুদ্ধে চলে গেছে ।সেই ভাইরাসের নামটা হচ্ছে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা মানে দিন বদলের ডাক কিংবা এখনকার বহুল প্রচলিত কথা ডিজিটাল । এই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা ভাইরাসে বেশী ক্ষতি করছে মুছলমান মেয়েরা ।তারা জিনস প্যান্ট কিংবা টাইট করা কাপড় চোপড় এমনকি ছেলোয়ার কামিজের (হাত কাটা.,পিট কাটা) বাহার এমনকি সাথে তাদের মায়েরা (সব মা নন) যেই ধরনের শাড়ি (খোলামেলা)পরে বাহিরে বের হচ্ছেন তাতে তারা মনে করছেন এটা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলায় কোন অন্যায় দেখছিনা ।এমনকি তাদের মুরুব্বী বড় ভাই কিংবা আব্বাজানেরাও বলছে নতুন জেনারেশন পাওয়ার চলতে দেও। হুজুরদের থেকে কেউ কুরআন হাদীস দিয়ে ভুল ধরিয়ে দিয়ে বলে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে (শক্তিশালী ভাইরাস) চলছি রাখো তোমার হাদীস রাখো তোমার ফতোয়া । বেচারা আমিনী সাহেবদেরকে মোল্লা বলে টিটকারী দিয়ে উড়িয়ে দিচ্ছি আর বলছি আমরা সামনের দিকে এগুচ্ছি আর তোরা ( আমিনী সাহেবদের মতো ) পিছন থেকে খালি বকবক করতাছোছ । ভাইরা এই ভাইরাসের এমন পাওয়ার যে এখন কুরআনের বিরোধিতায় নেমে পরছে । নারীনীতি নিয়ে যেই আইন তৈরী হয়েছে এটা পাশ হলে আপনারা আল্লাহর একট হুকুমের অপেক্ষায় থাইকেন।দুনিয়ার করোও ক্ষমতা নেই আল্লাহর ফয়সালা থেকে ভুলক্রটি বের করা ।আল্লাহর একটা খাছ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি মহা ধৈর্যশীল ।তিনি দেরী করে ধরেন ধরলে পরে ছাড়েননা । মহান আল্লাহতাআলাহ জিব্রীল (আঃ)কে শুধু বলবেন জিব্রীল তোমার পাখার একটু কনা দিয়ে বাংলাদেশে একটু টাচ দেও । ভাইরা সেই টাচে কি হইবে তার একটা ছোট্ট উদাহরন জাপানের সুনামী । আল্লাহ রক্ষা করুক আমাদের বুঝার তৌফিক দিন । আমিন ।
এইবার আমিনী সাহেবদের ব্যাপারে একটু আসি । কিছুদিন পর যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা ভাইরাসে আক্রান্ত পরিবারের একজন মহিলা সদস্য মারা গেল ।যারা নবীর সুন্নত ফরজ ওয়াজিব এগুলো বেশী কেয়ার করতো না ।তার পরিবারের সকলে দৌড়িয়ে আমিনী সাহেবদের কাছে গেল বললো লাশটা কিভাবে পরিপূর্ন ভাবে কবরে রাখবো একটু বলেন । আমিনী সাহেবরা ফতোয়া বা মাসয়ালা দিলেন গোছলের দরকার নাই , আর কাফনের কাপর সাদার পরিবর্তে লালটুকটুকা কাপড় দিয়েন। লাল কাপড় পড়ানোর পর মুখটা খুইলা দিয়েন যাতে সব্বাই দেখতে পায় । জানাজা পরাবে সেই ব্যক্তি যিনি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী অগ্রনী । আমরাতো ফাও বকবক করি আমাদের দিয়ে কি জানাজা হয় । আর কবরে গিয়ে লাশ রাখার সময় বিছমিল্লাহি মিল্লাতে রছূলূল্লাহর (নবীর সুন্নতের উপর আমলকারী হিসাবে আল্লাহর নামে রেখে যাচ্ছি)পরিবর্তে বলবেন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা আমলকারী হিসাবে আল্লাহর নামে রেখে যাচ্ছি । এই মাসয়ালা শোনর পর মৃত মহিলার আত্মীয় স্বজন রেগে গিয়ে আমিনী সাহেবদের বলতে লাগলেন ব্যাটা আবোল তাবোল বলা বন্ধ কর নইলে খবর আছে। লাশ কবরে রাখবি যেমনে আল্লাহ এবং আল্লাহর রছূল বলছে সেই নিয়ম অনুযায়ী একটা সুন্নতও বাদ যাইবোনা । তখন আমিনী সাহেবরা শুধু হাসে আর বলে যাক তগো মুখ দিয়া তাইলে সত্য নবীর সত্য সুন্নতের কথা বাহির হইছে ।
মরনের মাধ্যমে সকল সত্য মিথ্যার অবসান হয়ে যাবে । যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা নামক ভাইরাসটার যে ক্ষতি আমাদের করেছে তা কবরে একদম প্রকাশমান হয়ে যাবে ।তা থেকে আমাদের কে দিনির্দেশনা দিবে । কারন আমরা তো হুজুর মোল্লা এমনকি কুরআন হাদীস তোয়াক্কা করছিনা ।কিভাবে আমরা এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পাবো । আসুন ক্ষনিক সময়ের জন্য আমরা একটা সত্য কথার উপর খুব ভালো করে খেয়াল করি ।
“হে মুমিন বান্দারা তোমরা বেশী বেশী মরনকে স্বরন করো” ।
কথাটা একজন সত্যবাদীর কথা ।তিনি এমনই সত্যবাদী তার দুষমনরা তাকে কখনোও মিথ্যা বলেনি ।আমরাতো আব্রাহাম লিংকন, আইনস্টাইন, প্রমুখ লোকের মূল্যবান কথা অনেক ঘেটে ঘেটে চন্তা ভাবনা করি ।অথচ তারা যে জীবনে মিথ্যা বলেননি এমন কোন রেকর্ড কোন বইতে গ্যারান্টি করে লেখা নেই ।যেটা আমাদের নবীর বেলায় শুধু প্রযোজ্য । আসুন তার কথায় আমরা কি খুজে পাই ।
১।ছবিটা দেখে আমরা কি বুঝতে পারছি ।ধরে নিন এটা উপরোক্ত মহিলার লাশ । দুনিয়ায় সে তার পিঠ বুক হাত পা মুখ চুল ইত্যাদি অঙ্গপতঙ্গকে সাজিয়ে গুজিয়ে বাহিরে বের হতো । অন্য পুরুষরা তা নয়নজুরে দেখতো তাতে তার কোনো যায় আসতোনা ।সেই দুনিয়ায় আল্লাহর হুকুমকে তোয়াক্কা করে বলতো নারীর উপর পর্দা এটা একটা বর্বর নিয়ম । যুগের সাথে এটাকে কিছুতেই মেনে নয়া যায়না । অথচ দেখেন আজ সে কিরকম পর্দায় নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন ।পায়ের মাঝে গিট দেওয়া এং মাথায়ও গিট ।কাপড়টা দেখেন সাদা ধবধবে ,এরকম কাপড় যা মানুষর মনে ভয় ধরিয়ে দেয় । অথচ দুনিয়ায় সে যে শাড়ি পরে বের হতো তা মানুষ ভয়তো দূরের কথা নয়নজুড়ে আনন্দ নিতো ।অনেকে বলবেন পুরুষদরকেও তো এভাবে কাফন দেয়া হয়, ভাই পুরুষকে সবাই দেখতে পায় কিন্তু মৃত মহিলাকে তার আত্নীয় ছাড়া কেউ দেখার নিয়ম নাই ।সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় মৃত মহিলার পরিজনরা যারা মহিলার পর্দার ব্যাপারে বলতো পর্দা করছেনা না করুক যুগ এরকমই সেই পরিজনরাই ব্যাকুল হয়ে যায় মহিলার চেহারা যেন না খোলা হয় ।খুললে ওরে কি বকাবকি ।আযব আযব আযব
২।মৃত ব্যক্তি জীবিত অবস্হায় সুন্নতকে মনে করতো একটা ফালতু জিনিস ভাইরা বোনেরা সাবধান আমরাও কিন্তু সুন্নতকে আমল দেইনা ।আল্লাহর কুদরত দেখেন মৃত লোকের গোছল থেকে কাফন দাফন জানাজা খাটে শোয়ানো এবং কবরে নিয়ে রাখার আগ মূহুর্ত পর্যনত কোন সুন্নত বাদ যেতে দেখেছন কেউ সচারচব না ।তা সেই মৃত মহিলা কিংবা পুরুষ যতই কুরআন হাদীসের নিয়ম মানুক বা না মানুক ।যদি কোন একটা সুন্নত বাদ পরে যেমন- তিন টুকরা কাফনের যায়গায় যদি হুজুর দুইটকরা দিয়া কাফন দেয় তাইলে আত্নীয়রা হুজুররে বইকা শেষ । আর জানাজার পর দোয়া না করলে বলে তাড়াতাড়ি দোয়া দেন মোললা আমিনী সাহেব ।হায়রে আযব মানুষ ।
৩। পরিশেষে লাশ যখন কবরস্হ করা হয় একটা ঢাহা মিথ্যা কথা দিয়া । মিথ্যা কথাট হলো (নবীর সুন্নতের উপর আমলকারী হিসাবে আল্লাহর নামে রেখে যাচ্ছি । ভাইজানরা আপনারাই বলেন এই কথাটা মোললাগো দিয়া বলান কি বলাননা । কেন সেই সময় বলেননা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা আমলকারী হিসাবে আল্লাহর নামে রেখে যাচ্ছি । কেন মোল্লাকে বলতে বলেন লাশ রাখার সময় বিছমিল্লাহি মিল্লাতে রছূলূল্লাহ এই দোয়া পরতে । অথচ মহিলাটা সুন্নত তো দূরের কথা সে ফরজ পরদাই করতোনা ।সেই মিথ্যা কথায় কি মৃত ব্যক্তির লাভ হবে । বরং আল্লাহ আরোও রাগান্নিত হবেন । আমরা যখন লাশ কবরে রেখে মোল্লাকে বলি এবার মোনজাত ধরেন তখন মোল্লা ঠিকই মোনাজাত ধরেন কিন্তু তিনি মোল্লা মনে মনে বলেন এদের চাইতে আহম্মক দুনিয়াতে একটাও নাই ।
৩।সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলছি আল্লাহর কুদরত দেখেন যেই মহিলা বা পুরুষ দুনিয়াতে ফরজ সুন্নত মানতোনা তাকে আল্লাহ কিভাবে খামোশ চুপ করে সুন্নতী নিয়মে খাটে শুওয়াইছেন । বাবা কিংবা মা বোনেরা পর্দা করবানা দেখো তোমাকে আল্লাহ কেমন খামোশ কইরা কবরে শুয়ালেন পর্দা করাইয়া । নবী বলেছেন তোমরা বারবার মরনকে স্বরন করো । এটাকি এমনিতেই বলেছেন মোটেই না ।তাই ভাই বোন এং মুরুব্বীদের বলছি এভাবে বলুন যে কুরআন হাদীস ঠিকই আছে । সুন্নত কোন আবল তাবল জিনিস নয় কিন্তু আমরা পালন করিনা ভয় এবং দূর্বলতার কারনে ।খবরদার আপনারা ভাইরাসের কবলে পরে আবোল তাবল বইলেননা নাইলে শক্ত ধরা খাইতে হবে কবরে । আল্লাহর ধরা শক্ত ধরা । মরন আসলেই তা পরিস্কার হয়ে যাবে ।
আমি shohel islam। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 14 টি টিউন ও 139 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
সুন্দর একটা টিউন করার জন্য ধন্যবাদ।