সম্প্রতি গবেষকরা দাবী করেছেন পরীক্ষাগারেই তারা ছোটো আকারের বিগব্যাং ঘটাতে পেরেছেন। আর এই সাফল্য এসেছে পৃথিবীর সবচেয়ে বিশাল অ্যাটম স্মাশার এইলএইচসি ব্যবহার করেই। এই বিগব্যাং ঘটার ফলে যে তাপ উৎপন্ন হয়েছে তা সূর্যের কেন্দ্রের তাপমাত্রার চেয়েও লক্ষ গুন বেশি। খবর বিবিসি অনলাইনের। সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, জেনেভার কাছেই মাটির নিচে সুড়ঙ্গে ‘লার্জ হাড্রন কোলাইডারে’ ঘটানো হয়েছে ‘বিশ্ব সৃষ্টির জন্মলগ্নের ঘটনা’।
ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ -এর এই গবেষণায় লার্জ হাড্রন কোলাইডারে এই মহাবিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে ‘প্লাজমা’র খোঁজে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এই প্লজমা অবস্থাই মহাবিশ্ব সৃষ্টির কারণ। ১০.৭ বিলিয়ন বছর আগে মহাবিশ্ব সৃষ্টিলগ্নে বিগব্যাং ঘটার পর ক্ষুদ্রতম কোনো সময়ে এই প্লজমা অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিলো। বিগব্যাং ঘটার পূর্বে গোটা বিশ্ব একটা ছোটো বল আকারে ছিলো। সেটাই বিস্ফোরিত হয়ে গলিত স্যুপের আকার ধারণ করেছিলো। আর এই অবস্থা থেকেই মহাবিশ্বের উৎপত্তি।
গবেষকদের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, হার্জ হাড্রন কোলাইডারে বিগব্যাং ঘটাতে প্রোটন এর পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে লেড আয়ন। এর ফলে তৈরি হয়েছে সব্বোর্চ ঘণত্ব এবং তাপের এক মহাজাগতিক পূর্বাবস্থা যা পৃথিবীতে কেউ কখনও প্রত্যক্ষ করতে পারেনি।
গবেষকরা জানিয়েছেন, বিগব্যাংয়ের ফলে সম্পূর্ণ তাপমাত্রা, এমনকি প্রোটন, নিউট্রনসহ অণুর নিউক্লিয়াস তৈরির সব উপাদানই গলে তৈরি হয়েছে কোয়ার্কস এবং গ্লুওনসের ঘন এক উত্তপ্ত স্যুপের । আর এই উত্তপ্ত স্যুপটির নামই কোয়ার্ক-গ্লুওন প্লাজমা যা মহাবিশ্ব সৃষ্টির আদিলগ্নের অবস্থা।
সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, গবেষকরা বিগব্যাং ঘটার ০.০০০০০০০০০০১ সেকেন্ড পরের অবস্থাটিকেই প্লাজমা অবস্থা বলে মন্তব্য করেছেন। বিগব্যাংয়ের পর এই সময়ে এমনকি নিউট্রন এবং প্রোটনও পূর্ণরূপে ছিলো না।
জানা গেছে, গবেষকরা পরীক্ষাগারেই ঘটানো এই বিগব্যাং থেকে ‘স্ট্রং ফোর্স’ খুঁজছেন যা মূলত অণুর নিউক্লিয়াসকে ধরে রাখে এবং অণুর ভর সৃষ্টি করে।
Published in- http://www.bdtodaynews.com/?p=16273
আমি সাইদুল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 1203 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Md.Sahidul Islam ! I am in !!!
সব তো ঠিক ই আছে কিন্তু আরেকটা মহাবিশ্ব সৃষ্টি হবে কবে ? :p
জটিল টিউন ধন্যবাদ 🙂