চলছে তথ্যের বিপ্লব। সেই বিপ্লবের বর হচ্ছে ডিজিটাল যুগে মানবসভ্যতার পদার্পণ। এ পর্যন্ত কত তথ্য সংরক্ষিত হয়েছে? একজন মানুষ কী পরিমাণ তথ্য তার স্মৃতিতে ধারণ করতে পারে? এ নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞানীরা ২০ বছরেরও বেশি গবেষণা করে এর একটা হিসাব দাঁড় করিয়েছেন। কম্পিউটার হার্ডডিস্ক থেকে সেকেলে ফ্লপি ডিস্ক, এক্স-রে থেকে মাইক্রোচিপ, সংবাদপত্র থেকে বই—সব মিলিয়ে ১৯৮৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত মোট ২৯৫ এক্সাবাইট তথ্য ধারণ করা হয়েছে। এক্সাবাইট কী? ১০০ কোটি গিগাবাইটে হয় এক এক্সাবাইট। তাহলে ২৯৫ এক্সাবাইট অর্থ? চীনের মোট আয়তনের যে ক্ষেত্রফল, সেটাকে একটি বই কল্পনা করলে এ রকম ১৩টি বই একটির ওপর আরেকটি সাজালে যা হবে, ২৯৫ এক্সাবাইট মানে ঠিক তা-ই; অথবা তথ্যগুলোকে সিডিতে নিলে ডিস্কের যে পাহাড় হবে তার উচ্চতা পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বকেও হার মানাবে! আর যে পরিমাণ তথ্য আদান-প্রদান হয়েছে তার পরিমাণ স্বভাবতই আরও অনেক বেশি। গবেষকদের হিসাব বলছে, এটা দুই জেটাবাইটের সমতুল্য। এক জেটাবাইট মানে এক হাজার এক্সাবাইট। সহজ করে বলতে গেলে হিসাবটা হলো, বিশ্বের সব মানুষকে প্রতিদিন ১৭৫টি করে সংবাদপত্র দিলে যা হয় তার সমান।
এই গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০০ সালে সংরক্ষিত তথ্যের ৭৫ শতাংশই ছিল অ্যানালগ আকারে (বই-পত্রিকায়)। কিন্তু ২০০৭ সালের শেষে দেখা গেল, ৯৪ ভাগ তথ্যই ডিজিটালরূপে সংরক্ষিত হয়েছে। তার মানে ডিজিটাল যুগে মানুষের উন্নতি হওয়ার গতি গত দুই দশকে ফি বছর ৫৮ ভাগ করে বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর যে তথ্যটি বিজ্ঞানীরা বলছেন তা হলো, গত ২০ বছরে বিশ্বে যে পরিমাণ তথ্য ধারণ করা হয়েছে, একজন মানুষের ডিএনএ (বংশগতির ধারক ও বাহক) তার চেয়ে ৩০০ গুণ বেশি তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে!
সূত্রঃ প্রথম আলো
আমি মোস্তফা আরাফাত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 103 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
A man. Who have no identity.
রাত তিনটার সময় প্রথম আলোতে পড়েছিলাম।