জাপানের স্পেস এজেন্সির বিজ্ঞানীরা চাঁদে বিশাল এক গুহা আবিষ্কার করেছেন। এই গুহাটি মহাকাশচারীদের ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয় রশ্মি আর মারাত্মক তাপমাত্রা থেকে রক্ষার আশ্রয়স্থল হতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার এসব তথ্য দেন এজেন্সির কর্মকর্তারা।
জাপানের সেলেনে চাঁদকে কেন্দ্র করে গুরছে। সেখান থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখে গেছে, চাঁদে প্রায় ৩১ মাইল দীর্ঘ এবং ১০০ মিটার চওড়া একটি গুহা রয়েছে। আজ থেকে সাড়ে ৩ শ কোটি বছর আগে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে এর সৃষ্টি হয়।
বিশাল এই আবিষ্কারের কথা ইউএস সায়েন্স ম্যাগাজিন জিওফিজিক্যাল রিসার্চ-এ প্রকাশিত হয়েছে। জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির এক গবেষক জুনিচি হারুইয়ামা বলেন, এ ধরনের স্থান সম্পর্কে আগেই ধারণা মিলেছে আমাদের। এগুলো সবই লাভা টিউব। কিন্তু এদের চিহ্নিত করা যায়নি এতদিন।
চাঁদের মারিয়াস হিলস নামের এক স্থানের মাটির নিচে অবস্থিত এই টানেল।
তাপমাত্রার পরিবর্তন এবং তেজক্রিয় রশ্মি থেকে বাঁচতে নভোচারীরা ভবিষ্যতে সেখানে আশ্রয় নিতে পারবেন বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
হারুইয়ামা বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত গুহার ভেতরটা দেখিনি। ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে একজন মহাকাশচারী পাঠানো হবে- জাপানের এমন উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনার পর পরই গুহাটি খুঁজে পেল তারা। এই প্রথমবারের মতো জাপান ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে একজনকে পাঠাতে চাইছে।
নাসার তত্ত্বাবধানে ২০২৫ সালের মধ্যে চাঁদের কক্ষপথে একটা স্পেস স্টেশন বসানোর চিন্তা করছে, সেখানেই যোগ দিয়ে চায় জাপান। এটার মাধ্যমে ভবিষ্যতে মঙ্গলে পৌঁছবে মানুষ।
আমি লিমন হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 49 টি টিউন ও 8 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।