মৌসুমী ফল আনারস, প্রতিবছরের এই সময়টায় ছোট-বড় আনারসে ভরে যায় বাজার। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসে নজর কাড়া সব আনারস। শুধু নজর কাড়া নয়, এই আনারসগুলো স্বাদেও বেশ অতুলনীয়। এই সময়ে আনারস খাওয়া শরীরে জন্য অত্যন্ত উপকারি। চলুন জেনে নিই আনারসের কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা-
১. আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এই সকল উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে আনারস খেলে দেহে এইসকল পুষ্টি উপাদানের অভাব থাকবে না।
২. আনারস আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
৩. আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাংগানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাংগানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত।
৪. শুনতে বেশ অবাক লাগলেও আনারস আমাদের ওজন কমানোয় বেশ সাহায্য করে। কারণ আনারসে প্রচুর ফাইবার রয়েছে এবং অনেক কম ফ্যাট। সকালের যে সময়ে ফলমূল খাওয়া হয় সে সময় আনারস এবং সালাদে আনারস ব্যবহার অথবা আনারসের জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই ওজন কমাতে চাইলে আনারস খান।
৫. বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এই রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এতে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।
এছাড়াও আনারসের ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কম হয় এবং দাঁত ঠিক থাকে।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>><<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<
আমার এই
technews24bd.tk সাইটিতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আশা করি সবাই সহযোগিতা করবেন।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>><<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<
আনারসের দ্রুত বর্ধন ও পাকানোর জন্য ব্যবহার করা হয় হরমোনাল রাসায়নিক। আনারসের রং সুন্দর করার জন্য দেওয়া হয় রাইপেন বা ইথোপেন। স্বাভাবিকভাবে আনারস পরিপক্ব হতে লাগে তিন মাস। কিন্তু অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে দেড় মাসেই আনারস পরিপক্ব রূপ ধারণ করে। এ ছাড়া ইথাইলিন প্রয়োগের দু-চার দিনের মধ্যেই ফল হলুদ রং ধারণ করে।