সাইবার হামলা: ‘প্রস্তুতি আছে, আতঙ্কের কিছু নেই’

টিউন বিভাগ খবর
প্রকাশিত

সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী ঘটে যাওয়া সাইবার হামলার আতঙ্ক রয়েছে বাংলাদেশেও। তবে এ নিয়ে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেছেন, ‘সরকার পরিপূর্ণভাবে সাইবার নিরাপত্তা দেয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।’ এ ব্যাপারে আতঙ্কিত না হয়ে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) ইনোভেশন সেন্টারে ‘সাইবার নিরাপত্তা এবং আমাদের প্রস্তুতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের আধুনিক ল্যাব করা সম্পন্ন হয়েছে। দেশে বসেই আমরা সারা পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া সাইবার অ্যাটাকগুলো পর্যবেক্ষণ করতে পারি। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রণীত হচ্ছে শিগগিরই। সবার সহযোগিতায় আমরা সাইবার জগতে পরিপূর্ণ নিরাপদ হতে পারবো। কাজেই এ ব্যাপারে ততটা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।’

শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ‘শুধু সরকার নয়, সাইবার অ্যাটাক ঠেকাতে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। আমাদের দেশে ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ার পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকলেও আইটি বিষয়ে অভিজ্ঞ লোকের সংখ্যা অপ্রতুল। সবাই সাইবার নিরাপত্তার কথা বললেও, এই সেক্টরে বিনিয়োগ করতে ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে তেমন আগ্রহ প্রতীয়মান হয় না। তাই সাইবার নিরাপত্তায় বাড়াতে হবে বিনিয়োগ।’

গোলটেবিল বৈঠকের বিশেষ অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের আইটি ব্যাকগ্রাউন্ডের অভিজ্ঞ লোক দরকার। সাইবার নিরাপত্তার জন্য গবেষণার প্রতি জোর দেয়া উচিৎ। সাইবার নিরাপত্তা বিধানের কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম(বিডিসার্ট) গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া সুপ্রিম সাইবার সিকিউরিটি কাউন্সিল এবং সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

গোল টেবিল বৈঠক সঞ্চালন করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি’র সভাপতি আলী আশফাক। তিনি বলেন, ‘আমরা দৈনন্দিন জীবনে ডিভাইসের উপর নির্ভরশীল। বাসার কাজ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় প্রতিটি কাজে ইন্টারনেটের ব্যবহার রয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে দেশের নেতৃস্থানীয় সব সংগঠনগুলোকে একত্রিত করে বিসিএস আগেও কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতেও কাজ করবে। সাইবার নিরাপত্তায় দক্ষ জনবল তৈরির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসহ সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয় ঘটিয়ে সফলতার জন্য বিসিএস সবসময় আন্তরিক।’

বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের পরিচালক ড. তৈৗহিদ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘সকলের তরফ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ‘ওয়ানা ক্রাই’ র‌্যানসমওয়্যারের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে সাইবার অ্যাটাক হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে রাশিয়া। তবে বাংলাদেশে এই হামলার পরিমাণ ০.০০০৭ শতাংশ। সাইবার আক্রমণের অনেকগুলো ধরন রয়েছে। সবগুলো আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকারের আইসিটি ডিভিশনের সঙ্গে বেসরকারি সংস্থা এবং আইটি বিশেষজ্ঞদের যৌথভাবে কাজ করতে হবে।’

র‌্যানসমওয়্যার ও অন্যান্য ম্যালওয়ার থেকে নিরাপদ থাকতে যুতসই অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার টুলস ব্যবহারসহ অন্যান্য করণীয়, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ আইটি জনশক্তি তৈরি, কানেক্ট উইথ কেয়ার, সরকার এবং আইটি সংগঠনগুলোর একযোগে কাজ করা, ড্যাটার নিরাপত্তা প্রদানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজারসহ ২১ জন আইটি এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ প্যানেল আলোচক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন।

আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি যৌথভাবে গোলটেবিল বৈঠকটির আয়োজন করে।

Level 0

আমি মোঃ ফাহাদ হোসাইন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস