কোন ফোন কেনার আগে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি নিয়ে ভাবে মানুষ তা হচ্ছে ফোনের দাম।দামের কথা শুনে অনেকেই পছন্দের ফোন কেনা থেকে পিছিয়ে যায়।বেশির ভাগ মানুষেরই প্রশ্ন অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ফোনের দাম এত বেশি কেন।
বাজারে নতুন ফোন আসলে সেই দিকে মানুষের আগ্রহ কাজ করে।কনফিগারেশন, ব্যাটারি, ক্যামেরা সবকিছু একই তবু কেন আমাদের দেশে ফোনের দাম বেশি।গুরুত্বপূর্ণ কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যার জন্য অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ফোনের মুল্য বেশি নির্ধারণ করা হয়।
সবথেকে গুরুত্বপুর্ন যে বিষয়টি তা হচ্ছে একটি ফোন বৈধভাবে দেশে নিয়ে আসা।বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের তুলনায় কাস্টম চার্জ অনেক বেশি।একটি স্মার্টফোন বৈধভাবে দেশে নিয়ে আসতে বিমান বন্দরে কাস্টম এবং আনুসঙ্গিক চার্জ দিতে হয় ২৯%।যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ১৬.১২৫%। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ায় দিতে হয় মাত্র ৫০ ডলার। প্রতিটা প্রোডাক্ট এর জন্য বাংলাদেশে Supplementary Duty SD-20% CIFD, Regulatory Duty RD -4% CIFD + Supplementary Duty SD এবং AIT Advance Income Tax -5% CIFD দিতে হয়।অন্যান্য দেশের তুলনায় এই চার্জ প্রায় দ্বিগুণ অথবা তিনগুন।এছাড়া আরও অনেক ধরনের খরচ থাকে একটি ফোনের পিছনে।বাংলাদেশে সেলস ট্যাক্স দিতে হয় ১৫%।যেখানে হংকং এবং ভারতে সেলস এর জন্য কোন ট্যাক্সই দিতে হয়না। United States এর MFN Duty Rate ৩.৯%,ভারতের ১০%, অস্ট্রেলিয়ার ৫%, হংকং এর ০% সেখানে বাংলাদেশে MFN Duty Rate হচ্ছে ২৫%।এসব দিক বিবেচনা করলে ফোনের মুল্য অন্য দেশের তুলনার বেশি নির্ধারন করা স্বাভাবিক,কারন অন্যান্য দেশের তুলনায় সবই বেশি দিতে হয় বাংলাদেশে।
এছাড়া আরেকটি বিষয় মুল্য বাড়াতে সহায়তা করে।বাংলাদেশে মোবাইল মার্কেটিং খরচ অনেক বেশি। যেমন বিলবোর্ড, ব্র্যান্ডিং খরচ অনেক বেশি বাংলেদেশে অন্যান্য দেশের তুলনায়।
নীচে টেবিলে কাস্টম চার্জ তুলে ধরা হল
Source: mobileblog24.com
আমি মাহাবুবা জান্নাত মিমি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 71 টি টিউন ও 22 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
বুঝেছি।