এবার মস্তিষ্কে ‘জ্ঞান আপলোড’!
কি অবাক হচ্ছেন? হুম, অবাক তো হবারই কথা। আগে গল্প-কল্পকাহিনীতে এরকম হাস্যকর ব্যাপার দেখেছি আমরা। দেখেছি কতটা পৃথিবীর বাঘা বাঘা গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের অবাক করার মতো গ্রাফিক্সের কাজ। ১৯৯৯ সালের হলিউড চলচ্চিত্র 'দ্য ম্যাট্রিকস'-এর প্রধান চরিত্র নিও মাত্র কয়েক সেকেন্ডে কুংফু শিখে নিয়েছিলেন। এ জন্য তাঁর মস্তিষ্কে ‘সরাসরি কুংফু বিদ্যা’ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই বিজ্ঞান কল্পকাহিনির মতোই এবার তাৎক্ষণিক ‘জ্ঞান আপলোড’ করার পদ্ধতি বের করার লক্ষ্যে কাজ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক। তাঁরা ওই পদ্ধতিকে মানুষের জন্য উপযোগী রূপ দিতে পারবেন বলে আশাবাদী।
ক্যালিফোর্নিয়ার এইচআরএল ল্যাবরেটরিজের একদল বিজ্ঞানী কয়েকটি পরীক্ষা চালান, যাতে প্রশিক্ষিত পাইলটদের মস্তিষ্কের কার্যক্রম (সংকেত) পর্যবেক্ষণ করা হয়। লক্ষ্য ছিল, উড়োজাহাজ চালনা শিখতে আগ্রহী তরুণ-তরুণীদের মস্তিষ্কে এসব সংকেত বিশেষ উপায়ে ‘প্রতিস্থাপন’ করা। বিজ্ঞানীরা ওই পাইলটদের মস্তিষ্কের নানা রকম তরঙ্গ পরিমাপ করেন। এসব তরঙ্গের কয়েকটি আলাদা করা হয়, যেগুলো বিমান চালনার বিশেষ কিছু দক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কিত থাকতে পারে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৩২ জন শিক্ষার্থী বিশেষ প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্কে এসব সংকেতের সাহায্যে উদ্দীপনা নেন। এরপর বিমান চালনায় তাঁরা পারদর্শিতা দেখানোর ব্যাপারে অন্যদের চেয়ে ৩৩ শতাংশ এগিয়ে ছিলেন। আর যাঁরা ওই উদ্দীপনা নেননি, তাঁরা পরীক্ষায় তুলনামূলক পিছিয়ে ছিলেন।
অবশ্য বাস্তবে মাত্র পাঁচ মিনিটে উড়োজাহাজ চালানো শেখা সম্ভব নয়। ওই গবেষণায় যুক্ত বিজ্ঞানী ম্যাথু ফিলিপস বলেন, বিমান ওড়ানো শিখতে মাসের পর মাস লেগে যায়। তবে ওই শিক্ষার্থীরা মস্তিষ্কে উদ্দীপনা নেওয়ার পর তাঁদের শেখার প্রক্রিয়ায় বাড়তি গতি এসেছিল।
মস্তিষ্কে ‘জ্ঞান’ প্রবেশ করানোর ওই সম্ভাব্য পদ্ধতি বা প্রযুক্তি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন ফ্রন্টিয়ার্স ইন হিউম্যান নিউরোসায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যতে এই পদ্ধতি প্রয়োগের আগে তার কার্যকারিতা অবশ্যই খুঁটিয়ে দেখবেন। তবে শুরুটা বেশ উত্তেজনাকর হয়েছে, একথা বলা যেতে পারে—এমনটাই বলছেন বিজ্ঞানীরা।
আমি মোস্তফা মোস্তাফিজ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 26 টি টিউন ও 24 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
অবাক হচ্ছি না।
আবার হচ্ছিও। আসলে আমি অনেকদিন আগে থেকেই এটা ভাবছি। ভাবছি যে, আমরা সরাসরি মস্তিষ্কে কোনো তথ্য আপলড করতে পারব। তাহলে যা শিখতে আমাদের অনেক সময় লাগে, আমরা তা নিমিষে শিখে ফেলতে পারব। এভাবে হয়তো আমরা আমাদের ব্রেইন রি-প্রোগ্রামও করতে পারব, কম্পিউটারের মত। হয়ত আমাদের ব্যবহার্য ডিভাইসগুলোর মত অ্যাপ্লিকেশান ইন্সটল করলেই আমরা কোনো নিদ্দিষ্ট কাজ করতে পারব। জানতাম এটা বাস্তবে সম্ভব হবে। কিন্তু এত দ্রুত হবে ভাবিনি। এজন্যই অবাক হচ্ছি।
এ বিষয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ।… 🙂