টাইটানিক সম্পর্কে কিছু তথ্য অবাক করার মতো

টিউন বিভাগ খবর
প্রকাশিত

সিনেমা  ভালোবাসে এমন মানুষ টাইটানিক দেখেনি-এটা বিশ্বাস করা  যায না। তারা অবশ্যই দেখেছেন।বলতে হয় পনের বার পর্যন্ত দেখেছেন এমন মানুষও পাওয়া যাবে। এতটাই আকষণীয় এই সিনেমা। তবে দর্শকদের দু:খের সীমা নেই টাইটানিক ডুবে যাওয়ায়।টাইটানিক হল এমন এক রহস্য, যা প্রতি মুহূর্তে আকর্ষণ করে। জানা-অজানা কত সত্য-মিথ্যা রয়েছে এই জাহাজ ডুবিকে ঘিরে। রইল আরও একটি ছোট্ট তথ্য। চতুর্থ চিমনি কেন ছিল?

যারা এই সিনেমা দেখেছেন তারা নিশ্চয়ই টাইটানিক জাহাজটির গঠন খেয়াল করেছেন। অতিকায় জাহাজটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে প্রচুর গল্প। এখানে অবশ্য একটি ছোট্ট ঘটনার উল্লেখ করা হবে। সেটি টাইটানিকের গঠনের সঙ্গে যুক্ত। চারটি বিশাল চিমনি দেখেছেন নিশ্চয়ই। এই চারটির মধ্যে তিনটি ছিল সক্রিয়। অন্যটি অকেজো! অবিশ্বাস্য লাগলেও, এটাই ঘটনা। কিন্তু সেটি অকেজো ছিলো কেন সেটিই রহস্য।

তিনটি চিমনি দিয়েই প্রথমে জাহাজের ডিজাইন তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরে ই়ঞ্জিনিয়াররা দেখেছিলেন, কোথাও একটা ভারসাম্যের অভাব হচ্ছে ডিজাইনগতভাবে। সে কারণেই তাঁরা চতুর্থ চিমনিটি জুড়ে দেন। তাতে টাইটানিকের চেহারায় একটা সামঞ্জস্য আসে। তা ছাড়া চতুর্থ চিমনি জুড়ে দেওয়ার পরে টাইটানিককে আরও মজবুত এবং শক্তিশালী লেগেছিল তাঁদের কাছে। এটাই ছিল চতুর্থ চিমনির ভূমিকা। আসলে চতুর্থ চিমনি কোন কাজে লাগেনি, শুধুমাত্র ভারসাম্য ছাড়া।

অভিশপ্ত রাতে টাইটানিক-এর ডিনার মেনুতে কী ছিল?

টাইটানিকের যাত্রীরা শেষের সেই রাতে কী খেয়েছিলেন? কী ছিল মেনুতে? সম্প্রতি সেই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। দেখে নেওয়া যাক, সেই অভিশপ্ত রাতের খাবারের তালিকা। ১৫ এপ্রিল, ১৯১২। রাতে ডুবে গিয়েছিল টাইটানিক। সেই দিনটায় কী খেয়েছিলেন যাত্রীরা?
তৃতীয় শ্রেণি যাত্রীর খাবারপ্রাতঃরাশ- ওটমিল পরিজ, হেরিং, আলু সিদ্ধ, ডিম সিদ্ধ, হ্যাম, পাঁউরুটি, মাখন, চা এবং কফি।নৈশভোজ- খিচুড়ির মতো একটা কিছু, সঙ্গে বিস্কিট এবং চিজ।
দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রীর খাবারপ্রাতঃরাশ- ফল, রোল্‌ড ওট্‌স, টাটকা মাছ, ষাঁড়ের মেটে, বেকন, গ্রিল্‌ড সসেজ, ম্যাশ্‌ড পোট্যাটোজ, ডিম ভাজা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পাঁউরুটি, কেক, মেপ্‌ল সিরাপ, মার্মালেড, কফি, চা।নৈশভোজ- বিভিন্ন ধরনের স্টার্টার, বেক্‌ড হ্যাডক, চিকেন কারি, ভাত, ভেড়ার মাংস, রোস্টেড টার্কি, আইসক্রিম, টাটকা ফল, চিজ, কফি।
প্রথম শ্রেণির যাত্রীর খাবারপ্রাতঃরাশ- বেক্‌ড আপেল, টাটকা ফল, সেই সময়ে প্রাপ্ত সবথেকে দামী ওট্‌স,  মুড়ি, বিভিন্ন ধরনের বেক্‌ড এবং গ্রিল্‌ড মাছ, বিভিন্ন ধরনের ওমলেট, মাংসের একাধিক পদ, নানা ধরনের কেক। সঙ্গে চা এবং কফি।নৈশভোজ- বলা হয়, এমন মেনু নাকি সচরাচর হয় না। এত ধরনের স্যুপ হয়েছিল যে, তার কাউন্টারই ছিল বিশাল। সঙ্গে চিকেন, ল্যাম্ব, বিফ, হাঁসের মাংস, চকোলেট, সিলেরির মতো এত পদ ছিল যে, কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন, ঠিক করা ছিল দায়।

পাওয়া যাচ্ছিল না একটি চাবি :

সাউথহ্যাম্পটন থেকে টাইটানিক যখন যাত্রা শুরু করেছিল, তখন থেকেই জাহাজে নাবিকরা খোঁজ-খোঁজ লাগিয়ে দেন। কিন্তু প্রাথমিক খোঁজখবরের পরে তাঁরা অনেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন জাহাজের কাজে। ফলে চাবির খোঁজে একটু ঢিলে আসে। কীসের চাবি হারিয়েছিল? একটি লকারের। বিভিন্ন সূত্রে যা জানা যায়, তার নির্যাস মারাত্মক। লকারটিতে যা রাখা ছিল, তা কাজে লাগবে বলে মনেই করেননি নাবিকদের একাংশ। তাঁরা সম্ভবত ভেবেছিলেন, ঐতিহাসিক যাত্রায় যাত্রী এবং জাহাজের দায়িত্ব সামলানোকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। ফলে চাবি খোঁজার কাজে ঢিলে পড়ে। এর পরে আর সেই চাবি তাঁরা খুঁজে পাননি। কী ছিল জানেন সেই লকারে? বাইনোকুলার! যা থাকলে অনেক আগেই চোখে পড়ত হিমশৈল। কিন্তু বাইনোকুলারের অভাবে তা দেখতে পাননি নজরদারির দায়িত্বে থাকা নাবিকরা। হিমশৈল যখন সামনে চলে আসে, তখন হাতে আর প্রায় সময় ছিল না।

সময় পেলে ঘুরে আসতে পারেন আমার ওয়েবসাইট থেকে

Level 2

আমি রোহান বিশ্বাস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 91 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 5 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

টাইটানিক ডুবেনি,টাইটানিককে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।লকারে বাইনোকুলার রেখে লকারের চাবিটি সরিয়ে রাখা হয়েছিলো।এ যেন ধরি মাছ না ছুঁই পানি !!