কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন কিন্তু ভাইরাসের শিকার হননি এমন মানুষ বিরল (অবশ্য আপনি সেসব পণ্য দোকান থেকে কিনে এনে স্রেফ সাজিয়ে রাখলে ভিন্ন কথা)। যদি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে জেনে রাখুন প্রতি ঘণ্টায় আপনার ডিভাইসে এসে হাজিরা দিয়ে যায় কমপক্ষে ২০০ ভাইরাস।।
এখন, কথা হচ্ছে ‘ভাইরাস পুষবেন না তাড়াবেন’ সে সিদ্ধান্ত একান্তই আপনার!
আগের টিউনঃ ভাইরাসের রকমফের থেকে জানা ভয়ঙ্কর ভাইরাসগুলো যদি দুধ-কলা দিয়ে পুষতে চান তাহলে যেখানে-সেখানে যে কোনো সিডি, পেনড্রাইভ পেলে নগদেই তা আপনার কম্পিউটারে লাগান, লোকাল বাসে পাশের যাত্রীর মোবাইলে নতুন কোনো টিউন শুনলেই যেচে গিয়ে তাকে বলুন ‘ভাই, রিংটোনটা যদি দিতেন, পিলিজ!’ কিংবা ফেইসবুকের ওয়ালে যে যা কিছুই টিউন করুক না কেন দেখামাত্রই ক্লিক - ইত্যাদি করতে থাকুন।
আর, যদি ভাইরাস তাড়াতে চান, তাহলেও যথারীতি আপনার জন্য রয়েছে অনেকগুলো পথ – সে সব নিয়েই আমাদের এবারের টিউন।
‘শেষ চিকিৎসা’
শেষ ভালো যার, সব ভালো তার – কবি বলেছেন, কিন্তু আমরা বলি যে শুরুটা যদি ভালো না হয় (মানে আপনি যদি আগে থেকেই সচেতন না হন) তাহলে কিন্তু শেষমেশ সব খারাপের দিকে যায়।
উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে প্রটেকশনবিহীন কোনো ডিভাইস ভাইরাসের চূড়ান্ত আক্রমণের শিকার হলে অপারেটিং সিস্টেম পুনরায় ইন্সটল করা ছাড়া সাধারণত আর কোনো উপায় থাকে না।
ভিলেন নয়, হয়ে যান নায়ক!
কম্পিউটার বা স্মার্টফোনকে আপনার ভার্চুয়াল হোম কল্পনা করলে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন যে ইন্টারনেটে কানেক্টেড থাকাকালীন প্রতি ঘণ্টায় সেখানে ২০০’র বেশি ভাইরাস আসা-যাওয়া করা মানে আপনার পিসি হচ্ছে ভাইরাসের আখড়া। আর, যে সব পদ্ধতিতে অফলাইনে ভাইরাস ছড়ায় সেসব ঠেকাতে গেলেও মাসে এক-আধবার কিছু সময়ের জন্য কম্পিউটার অন করে তার দিকে কেবল ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিংবা স্মার্ট ফোনে শুধু কল করা আর রিসিভ করা ছাড়া আর কিছুই করা যাবে না।
সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে এভাবে ভিলেনের মতো পালিয়ে বেড়াতে পারেন; কিংবা প্রতিদিন ‘প্যারাসিট্যামল তিনবেলা’র মতো চাইলে প্রতিবার কম্পিউটার চালু করে একবার ও বন্ধ করার আগে আরেকবার, এভাবে ভাইরাসমুক্ত থাকার ডোজ - রোজ রোজ হিসেবে চাইলে অপারেটিং সিস্টেমও রিইন্সটল করতে পারেন অথবা নায়কের মতো পিটিয়ে সিধে করে দিতে পারেন ভাইরাসদের। সেজন্য কিন্তু বেশী কিছু না, দরকার সামান্য সচেতন হওয়া।
সেই সচেতনতাটুকু যে কী তা কিন্তু আপনি জানেন, হয়তো গুরুত্ব উপলব্ধি না করায় বা ঠিকঠাক মতো বুঝতে না পারায় কিংবা স্রেফ সময় করে উঠতে না পারায় এতোদিনে হয়তো তা আর নেয়া হয়নি।
ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার আসলে একটাই সমাধান- কম্পিউটার বা মোবাইল, অনলাইন বা অফলাইন, ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক যে মাধ্যমেই আপনি কম্পিউটিং প্রযুক্তির গ্রাহক হন না কেন আজই আপনার ডিভাইসে একটি এন্টিভাইরাস ইন্সটল করে নিন।
এন্টিভাইরাস শুধু আপনার কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে থাকা পুরনো ভাইরাস দূর করে নতুন করে যেন আর কোনো ভাইরাস আপনার ডিভাইসের সংস্পর্শে আসতে না পারে তা-ই নিশ্চিত করবে না, বরং তার পাশাপাশি আপনার সার্বিক নিরাপত্তাসহ বৃদ্ধি করবে আপনার ডিভাইসের পারফর্মেন্স।
ভাইরাস আসলে কীভাবে তাড়ানো যায় – তা তো জানলেন, কিন্তু কোন এন্টিভাইরাস ব্যবহার করবেন কিংবা কোনটা করবেন না বা ‘ফ্রি’ না ‘পেইড’ কোন ভার্সন ব্যবহার করবেন... এসব থাকবে আগামী টিউনে।
প্রকশিত হওয়ামাত্র টেক সমাধান পেতে ‘লাইক’ দিয়ে সংযুক্ত থাকতে আমাদের ফেইসবুক পেইজঃ https://www.facebook.com/techshomadhan
আমি টেক সমাধান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 18 টি টিউন ও 36 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আহারে ভাই আগামি টিউনের জন্য বসাই রাখলেন? এই টিউনে বলে দিলে কি হতো??? যাই হোক অপেক্ষায় থাকলাম, তাড়াতাড়ি দিয়েন…