এবার মাথা প্রতিস্থাপন !!! এও কি সম্ভব?

টিউন বিভাগ খবর
প্রকাশিত

নিজের মাথা ভিন্ন শরীরে
প্রতিস্থাপনের প্রস্তুতি
নিচ্ছেন ৩০ বছর বয়সী
রাশিয়ান নাগরিক ভ্যালেরি
স্পিরিদোনভ।
পরিকল্পনামাফিক সব ঠিক থাকলে ২০১৭ সালে
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে
প্রথমবারের মতো কোনো
মানুষের মাথা দ্বিতীয়
কোনো ব্যক্তির শরীরে
প্রতিস্থাপন করবেন চিকিৎসকরা।

প্রাণঘাতী পেশী-ক্ষয়রোগ
স্পাইনাল মাসকিউলার
অ্যাট্রফিতে (এসএমএ)
ভুগছেন স্পিরিদোনভ। নিজের
জীবন রক্ষার জন্যই নিজের
মাথা প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
নিউ ইয়র্ক টিউনের
প্রতিবেদন অনুযায়ী,
যুগান্তকারী এই অপারেশনের
মূল কাণ্ডারি হিসেবে থাকবেন
ইতালিয়ান চিকিৎসক ড. সের্গেই ক্যানাভেরো। সব
মিলিয়ে ৩৬ ঘণ্টার
অপারেশনে অংশ নেবেন দেড়শ
চিকিৎসক ও নার্স।

অপারেশনে স্পিরিদোনভের
মাথা কেটে বসানো হবে ‘বেইন
ডেড ডোনার বডি’তে।
মস্তিষ্ক মৃত হলেও সম্পূর্ণ
সুস্থ হতে হবে ওই দাতার
শরীর। এখানেই শেষ নয়, দাতা শরীরের স্পাইনাল কর্ড ও
জাগুলার ভেইনের
স্পিরিদোনভের স্পাইনাল
কর্ড ও জাগুলার ভেইন
সফলভাবে সংযুক্ত করতে না
পারলে ব্যর্থ হবে অপারেশন।

মাঝে বাধ সেধেছে রাশিয়ার
অর্থোডক্স চার্চ। ‘শরীর ও
আত্মা অবিচ্ছেদ্য’ হওয়ায় এই
অপারেশন ধর্মীয়
বিশ্বাসবিরোধী বলে
ঘোষণা করেছে চার্চ কর্তৃপক্ষ। এই অপারেশন
নিয়ে সমালোচনা চলছে
চিকিৎসাবিজ্ঞানের জগতেও।

এ ব্যাপারে স্পিরিদোনভের
বক্তব্য, “আমি ভয় পাচ্ছি,
কিন্তু যে ব্যাপারটা কেউ
বুঝতে পারছে না, সেটা হল
আমার হাতে অন্য কোনো
উপায় নেই। প্রতিবছর আমার শারীরিক অবস্থা আরও
খারাপ হচ্ছে। আমার মা তার
আশীর্বাদ দিয়েছেন। আমার
কাছে এটাই সবচেয়ে বড়
ব্যাপার।”

চিকিৎসাবিজ্ঞানের জগতেও
এই অপারেশন নিয়ে
সমালোচনা চলছে বলে
জানিয়েছে ব্রিটিশ
সংবাদপত্র দ্য
ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

“এমনটা কারও সঙ্গে হোক তা
আমি কখনও চাই না। আমি
কাউকে এমনটা করতেও দিতাম
না। কারণ, মৃত্যুর থেকেও
খারাপ অনেক কিছুই আছে।”--
টিউমেন্ট করেছেন অ্যামেরিকান
অ্যাসোসিয়েশন ফর
নিউরোলজিকাল সার্জনসের
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ড.
হান্ট ব্যাটজার।

এক শরীর থেকে মাথা কেটে
অন্য শরীরে বসালে ওই
ব্যক্তি নানা শারীরিক ও
মানসিক জটিলতার আশংকা
থাকে। ওই শরীরের
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে পড়ে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর
আশংকাই বেশি।

অন্যদিকে স্পিরিদোনভের
অপারেশনের মূল উদ্যোক্তা
ড. কানাভেরোকে ‘উন্মাদ’ বলে
আখ্যা দিয়েছেন নিউ ইয়র্ক
ইউনিভার্সিটির ল্যাঙ্গন
মেডিক্যাল সেন্টারের পরিচালক আর্থার কাপলান।

মানুষের মাথা প্রতিস্থাপনের
এটাই প্রথম ঘটনা হলেও ১৯৭০
সালে বানরের উপর
পরীক্ষামূলকভাবে এই
অপারেশন চালানো হয়েছিল।
স্পাইনাল কর্ড সঠিকভাবে সংযুক্ত করতে না পারায়
শ্বাসকষ্ট ও পঙ্গুত্বে ভুগে ৮
দিনের মাথায় মারা যায় ওই
বানর।

নিউ ইয়র্ক টিউনের
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৫৪
সালে সোভিয়েত সার্জন
ভ্লাদিমির দেমিকভ
অপারেশন করে ২০টি কুকুরের
শরীরে বাড়তি মাথা জুড়ে দিয়েছিলেন। এক মাসের বেশি
সময় বাঁচেনি ওই কুকুরগুলো।

মানবশরীরের ক্ষেত্রে
সফলভাবে মাথা প্রতিস্থাপন
করা সম্ভব হতে পারে বলে
টিউমেন্ট করেছেন রাশিয়ান
ন্যানো-বায়ো রিসার্চার
আলেক্সান্দার জাভোরোনভ। তবে পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি
বেশি সময় বাঁচবেনা না বলেই
টিউমেন্ট করেছেন তিনি।

মূল সূত্রঃ ব্রিটিশ
সংবাদপত্র দ্য
ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

Level 2

আমি জুবায়ের আহমদ শাকিল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 58 টি টিউন ও 221 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

যত বড় চিকিৎসকই হোক না কেন এটা অসম্ভব ব্যাপার । বড় বড় চিকিৎসক কিংবা বিজ্ঞানীদের কথা বিশ্বাস করা ঠিক না । ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর পৃথীবি ধ্বংস হয়ে যাবে এ কথাই বলছেন মায়ান পঞ্জিকা বিশেষজ্ঞরা।সবচেয়ে বড় ভয়ষ্কর ব্যাপার হলো, মায়ান পঞ্জিকাতে আজ পর্যন্ত যত ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে তার প্রতিটিই কালের আবর্তে সত্য ঘটনায় নাকি পরিণত হয়েছে।তাই বলে কি পৃথীবি ধ্বংস হয়ে গেছে ? কিছুদিন আগে কোন পত্রিকায় যেন পড়েছিলাম কে যেন ইউটিউবে ভবিষ্যত বাণী করে ইউটিউবে ১টি ভিডিও আপলোড দিয়েছিল নেপালে ভয়ে যাওয়া ভূমিকম্প এবং নেপালে ভূমিকম্প হয়েছে ও তারপর তিনি দাবী করে বলেন আমি আগেই ভবিষ্যতবাণী করেছিলাম নেপালে ভূমিকম্প হবে । তারপর তিনিই আবার ভবিষ্যত বাণী করে বলেন আমেরিকার ওয়াশিংটন শহর ধ্বংস হয়ে যাবে কই ওনার তারিখ অনুযায়ী তো আমেরিকার শহর ভূমিকম্প হয়ে ঢুবে যায় নাই ।

    @আলআমিন চৌধুরী

    ঠিক বলেছেন । তবে সফলও তো হতে পারেন ।কেননা অনেক আগেও ডাক্তাররা কুকুর এবং বানরের মাথা প্রতিস্থাপন করতে সাময়িকভাবে সফল হয়েছিলেন । তাই কোনো বিষয়ই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছেনা যতক্ষণ পর্যন্ত না অপারেশন সংগঠিত হচ্ছে ।

    মায়ান পঞ্জিকায় কখনোই বলা হয়নি যে ঐদিন পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। মায়ানরা তাদের পঞ্জিকাটা ঐদিন পর পর্যন্ত আর বানাননি। তো অনেকে ধারণা করেছে যে পৃথিবী এইদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। মায়ানদের এখনও লোক রয়েছে। তারাও কখনো বলেনি ঐদিন পৃথিবী ধ্সংস হয়ে যাবে। না জেনে বিজ্ঞানের দোষারোপ করবেন না। বিজ্ঞানে প্রমাণিত আর ধারণা এই দুইটা জিনিস হতে পারে। তারা আশা করছেন যে এটা সম্ভব হতে পারে। একসময় মানুষ হৃদপিন্ড বা লিভার ট্রান্সপ্লান্টকে স্বপ্ন ভাবত কিন্তু এখন এটা অহরহ হচ্ছে। বাংলাদেশের মত একটা অনুন্নত দেশেও হচ্ছে। সুতরাং মাথা ট্রান্সপ্লান্ট করা যাবে কিনা এটা নিয়ে ভাবতে দোষ কি! আর যারটা করা হচ্ছে সে যে রোগে আক্রান্ত তাতে এমনিতেই মারা য়াবেন। তো সে একটা রিস্ক নিতেই পারে। আর বিজ্ঞানও নতুন কিছু পেতে পারে।

    // যত বড় চিকিৎসকই হোক না কেন এটা অসম্ভব ব্যাপার //
    কুকুর আর বানরের ক্ষেত্রে সম্ভব হলে মানুষের ক্ষেত্রে কেন নয়? এই দুইটা কিছুটা হলেও সফল অন্যের মাথা নিয়ে এক সপ্তাহ হোক আর এক মাস হোক এরা **বেচে ছিল**

    // বড় বড় চিকিৎসক কিংবা বিজ্ঞানীদের কথা বিশ্বাস করা ঠিক না //
    এনারা তো বিশ্বাস করতে বলেন নাই কাউকে। ওনারা সরাসরি অপারেশন করবেন। ফলাফল কতটুকু সফল হয় সেটা পৃথিবীবাসী দেখবে। প্রত্যক্ষ প্রমান পাবে। খানিকটা প্রমান তো হয়েই গেছে আগের বানর আর কুকুর এক্সপেরিমেন্টে।

    নতুন কিছুকে মেনে নিতে শিখুন @আলআমিন চৌধুরী……..আর মায়ান পঞ্জিকায় কোথাও লেখা নেই যে ২১শে ডিসেম্বর পৃথিবী ধংস হয়ে যাবে!!!

অতৃপ্ত কোডার, ভাই প্নি ১০০% ঠিক কথা বলেছেন, এই বিষয় টা নিয়ে discovery channel এ একটা পরবো ও দেখান হয়েছে, আর আপনার heart transplant এর বিষয়ে ও আমি ১০০% সহমত পোষন করছি, আসলে কিছু মানুষ থাকে যারা নতুন জিনিস সহজে adopt করতে করতে চায়না, আর এইটাই হচ্ছে ডারউইনের survival for the fittest. যারা নতুন কিছু করতে চায়না, বা নতুন জিনিসের সাথে খাপ খাওয়াতে পারেনা তারা কালের গর্ভে হারিয়ে যায়, টিকে থাকে তারাই যারা নতুন কে গ্রহন করতে পারে…।

@মাইকেল সরকার

যথার্থ বলেছেন ।

আসসালামু-আলাইকুম

আমি বলবো না এটা সফল হবে কিংবা হবে না । তবে যদি এটা সফল হয় , আমি এখানে সফল বলতে বুঝাইতেছি যে যার অপারেশন করা হবে তাকে বাঁচতে হবে ।এক সপ্তাহ কিংবা একমাস বাঁচলেই এটাকে সফল অপারেশন বলা যাবে না । আর সফল করার জন্য আরো গবেষণার প্রয়োজন হবে ।

যদি এটা সফল হয় তাহলে পৃথিবীর মধ্যে একটা কল্পনা হীন পরিবর্তন আসবে । কারণ একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন মানুষের মাথার মধ্যেই কিন্তু তার সবকিছু, তার অতীত, বর্তমান , তার সমস্ত স্মৃতি, তার জ্ঞান, তার অর্থ, তার ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার, তার চেহারা ইত্যাদি সবকিছুই তার গলার উপরের এই ছোট্ট অংশে ।

আর তাই এটা সফল হলে আমি চাইলেই আজ যেকোন বিখ্যাত জ্ঞানী বা ধনী ব্যক্তির মাথা আমার মাথায় প্রতিস্থাপন করতে পারবো যদি আমার সামর্থ্য থাকে ।

আর এই সফলতা ভালো কাজের থেকে খারাপ কাজেই বেশি ব্যবহার হবে ।