আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি। আবারও হাজির হলাম আপনাদের সামনে নতুন কিছু নিয়ে । এবার আসুন শুরু করি…
নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি প্রান্তিক শেষে আয়ের ১০ শতাংশ সরকারকে দেয়ার কথা ভিওআইপি সার্ভিস প্রোভাইডারদের (ভিএসপি)। তবে বিপুলসংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয়ায় তাদের কাছ থেকে আলাদাভাবে এ অর্থ আদায় কঠিন বলে মনে করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এজন্য ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভিএসপির কাছ থেকে রাজস্ব ভাগাভাগির অংশ আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
ভিওআইপি সেবা দিতে গত বছরের মার্চে প্রথমবারের মতো ৮০০-এর বেশি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয় বিটিআরসি। ভিএসপিগুলো আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ কল আদান-প্রদান করে। দেশে আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠান রয়েছে ২৯টি।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, ভিএসপি অপারেটরদের কাছ থেকে আলাদাভাবে রাজস্ব ভাগাভাগির অংশ নিয়মিত আদায় করা সহজ নয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রত্যেকের নির্দিষ্ট অফিস রয়েছে কিনা তাও জানা নেই নিয়ন্ত্রক সংস্থার। এছাড়া কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জনবল কম হওয়ার কারণেও এতগুলো অপারেটরের কাছ থেকে যথাসময়ে অর্থ আদায় সময়সাপেক্ষ। প্রতিটি ভিএসপি আইজিডব্লিউর মাধ্যমে কল আদান-প্রদান করায় কলের পরিমাণ ও এ থেকে আয়ের হিসাব আইজিডব্লিউগুলোর কাছে থাকে। তাই আইজিডব্লিউগুলো ভিএসপিদের পক্ষে রাজস্ব ভাগাভাগির অংশ পরিশোধ করলে সহজেই তা সরকারের কোষাগারে জমা হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ভিএসপি অ্যাসোসিয়েশনের (বিএভিএসপি) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার রোমেল বণিক বার্তাকে বলেন, লাইসেন্স দেয়ার প্রায় এক বছর পূর্ণ হলেও সেবাটি চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র তৈরি করা যায়নি। এখন পর্যন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে মাত্র ৬০-৭০টি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগই সংশ্লিষ্ট আইজিডব্লিউর সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করছে। এ হিসাবে আইজিডব্লিউগুলো সহজেই ভিএসপির পক্ষে রাজস্ব ভাগাভাগির অংশ পরিশোধ করতে পারে।
বিটিআরসি সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতিদিন দেশে বৈধ পথে আসা আন্তর্জাতিক কলের সংখ্যা গড়ে সাড়ে ৪ কোটি মিনিট। পাশাপাশি অবৈধ ভিওআইপি কলের কারণে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এ রাজস্ব ক্ষতি কমিয়ে আনতেই ভিএসপি লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।
২০১২ সালের জুলাইয়ে ভিএসপি লাইসেন্সের জন্য আবেদন আহ্বান করে বিটিআরসি। গত বছরের ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এ আবেদন গ্রহণ করা হয়। লাইসেন্স নিতে ১ হাজার ৫০৯টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে ১ হাজার ৪টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্সের জন্য অনুমোদন দেয় কমিশন। অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রথম দফায় নির্ধারিত ফি দিয়ে লাইসেন্স নেয় ৮৪০ প্রতিষ্ঠান।
এ নিয়ে টেলিযোগাযোগ খাতে ২৭ ধরনের মোট ১ হাজার ৮৩৮টি লাইসেন্স দেয় বিটিআরসি। বিপুলসংখ্যক লাইসেন্সের কারণে খাতসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও সেবার মান নিশ্চিত করার বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কারণ এ বিপুলসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তদারকির মতো পর্যাপ্ত জনবল বিটিআরসির নেই।
ধন্যবাদ সবাইকে কষ্ট করে টিউনটি পড়ার জন্য! দেখা হবে আগামি টিউন এ। আল্লাহ হাফেজ..
ফেসবুকে আমি এখানে
আমি Habibur Rahman। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 65 টি টিউন ও 213 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
জানতে চাই, জানাতে চাই এ আমার পত্যাশা । সবাই দোয়া করবেন ।