প্রথমেই বলে নিচ্ছি আমার এই টিউন টা সমস্ত সমস্ত ডেনমার্ক জাতির বিরুদ্ধে নয়। এবং তাদেরকে হেয় করার জন্যে নয় বরং ডেনমার্কের একটি দ্যিপের অধিবাসীদের একটি তথাকথিত কালচার সম্পর্কে সবাই কে জানানোর জন্যে লেখা ।
ডেনমার্ক ইউরোপের একটি উন্নত দেশ। সে দিক দিয়ে সেই দেশের জনগোস্থিকেও উন্নত হিসেবে বিবেচনা করা মোটেও ভুল নয়। কিন্তু একটি কথা আছে মানুষ যখন সম্পদ আর প্রাচুর্যের মোহে অন্ধ হয়ে যায় তখন সে নিজেই তার পতনের রাস্তা খোলে ।
তো এই ডেনমার্কের একটি দীপের নাম ফেরি এই খানকার অধিবাসীদের একটি প্রথাগত শখ হচ্ছে নিরীহ ডলফিন মাছ শিকার করা এবং তাদের কে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করা ।
ক্যালডেরন ডলফিনদেরকে অত্যন্ত শান্ত, নিরীহ, উপকারী এবং বিপদের সময় জীবন রক্ষাকারী বন্ধু প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয় ।অথচ এই উন্নত দেশের তথাকথিত উন্নত লোকেরা তাদের সাথে কি ব্যবহার করে তা নিচের ছবিগুলোতে দেখেন ।
আর সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এই মহান অপকর্মে তাদের কেউ অন্যকে বিরত করা তো দুরের কথা বরং সবাই উত্সাহ নিয়ে এই জঘন্য কাজটি করে থাকে ।
এখন আমাদের কথায় আসি, আমরা অর্থাত মুসলমানদের ঈদ উল আজহার কুরবানী উত্ব্সব কে অনেক বুদ্ধিজীবী নির্বাক পশুদের নিষ্ঠুর ভাবে বোধ করার উত্সব বলে থাকেন ।
অথচ এর জন্য (সচ্ছল) মুসলমানদের ধর্মীয়ভাবে আদেশ দেয়া আছে এর জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি ও আছে ।
অথচ ডেনমার্কের এই Feroe দীপের অধিবাসীদের এই কাজটি কোনো ধর্মীয় আদেশ নয় বরং নিজেদের হীন লালসা পূরণের একটি উপলক্ষ মাত্র ।
এখানে বলে রাখা ভালো যে ক্যালডেরন ডলফিন মানুষের সাথে বন্ধু সুলভ আচরণ করে তাদের সাথে পানিতে খেলা করে যা আমরা অনেক সময় টিভিতে দেখে থাকি ।
কিন্তু এইটা আমাদের দেখার বাইরে রয়ে যায় যে এই ক্যালডেরন ডলফিনরা কিভাবে মানুষের ( আসলে মানুষ নামের কিছু জানোয়ারের) নিষ্ঠুরতার শিকার হয় ।
তারা কিন্তু এত সহজে মরেনা তাদেরক এ সরু ওঠছে ধারাল শিক দিয়ে আঘাত করা হয় একবার, দুইবার নয় পরপর তিনবার কি তারও বেশি ।
এতে সেই ডলফিন রা প্রচন্ড আহত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে এবং প্রত্যক্ষ দর্শী দের দেখা মতে মৃত্যুর সময় তাদের যে আর্তনাদ বের হয় তা অনেকতা ছোট বাচ্চাদের কান্নার আওয়াজের মতোই হয়ে থাকে ।
তাদের এই অবস্থা দেখে উপস্থিত লোকদের মনে কোনো দয়া হয়না বরং তারা দিগুণ উত্সাহে আরেকটি শিকারে নেমে পড়ে ।
এই হলো তাদের কথা যাদের দেশে এই অপকর্ম প্রতি বছর ঘটা পালন করা হয়। আর তারাই কিনা আমদের দেশে এসে মানবধিকারের কথা বলে, আরো বলে আমরা নাকি কুরবানির নামে নিরীহ পশুদের হত্যা করি ।
এমতবস্থায় আমর একটি কথাই মনে পড়ে। মানুষের গরিব হওয়া নাকি তার সবচেয়ে বড় অপরাধ আমাদের জন্যেও হয়ত একই কথা প্রযোজ্য ।
নইলে তারা এত বড় সাহস কোথায় পায় যে, নিজেরা অপকর্ম করে এসে আমাদেরকে অপরাধী বলে ?
আমার এই লেখাতির আসল কপিটি ইংরেজিই লেখা যা কিনা আমার বড় আপা আমেরিকা থেকে ইমেল করে পাঠিয়েছেন ।
যদি কারো মেইলটি দরকার পড়ে তবে আমাকে মেইল ([email protected]) করবেন আর এই লেখাটির ইংরেজি অথবা মূল সংস্করণ পরার জন্য এখানে ক্লিক করুন ।
সবশেষে এই টিউনটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।
সামনে আমার তৈরী করা একটি ছবি সাইটের উপর একটা টিউন করার আশা রাখি ।
আপনারা এই সাইটের লিঙ্ক দিয়ে সরাসরি একে অন্য কে শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ জানাতে পারবেন ।
আশা করি টিউনটা সবাই পরবেন এবং সাইটে একটু ভিসিট করবেন এবং তার বৈধ ব্যবহার করবেন ।
সবাইকে ধন্যবাদ ।
আমি newboy। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 18 টি টিউন ও 807 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
প্রথমেই আমার সালাম নেবেন। আমার টিউন গুলো পড়ার জন্য আর TT এর সাথে থাকার জন্য পানাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আপনাদেরকে উপদেশ দেয়ার কোনো যোগ্যতা আমার নাই। তাই আমার টিউনগুলোকে নিতান্তই পরামর্শ হিসেবে দেখবেন আশা করি। আমি পড়ালেখা শেষ করে এখন জীবন যুদ্ধে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি আর এর জন্য আপনাদের সবার...
কোন এক পত্রিকায় ঘটনাটি পড়েছিলাম।সত্যি নির্বাক হতে হয়।মানুষ কোন প্রাণে এমন করে তা একমাত্র তারাই জানে।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।