সফটওয়্যার পাইরেসির দিক দিয়ে বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ ওপরের দিকে৷ এ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত এমনটাই বলছে৷ এদিকে, পাইরেসি রোধে মাইক্রোসফট বাংলাদেশে বিনা খরচায় সফটওয়্যার বিতরণ শুরু করেছে৷
পাইরেসির সঙ্গে বাংলাদেশের নাম বেশ ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত৷ ২০০৯ সালেও এশিয়ার মধ্যে সফটওয়্যার পাইরেসি বা চুরি করা কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবহারে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল প্রথম৷ যদিও শুধু বাংলাদেশ নয়, এশিয়ার আরো কয়েকটি দেশ পাইরেসির সঙ্গে জড়িত, তারপরও বাংলাদেশে কম্পিউটার প্রোগ্রামের চুরি করা সংস্করণ ব্যবহার করার হার প্রায় ৯২ শতাংশ৷ ২০০৮ সালেও বাংলাদেশ ছিল পাইরেসির দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে৷
বিনা পয়সায় সফটওয়্যার
সে যাই হোক, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পাইরেসির কারণেই হয়তো বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ ঘটেছে খুব দ্রুত৷ নয়তো পয়সা খরচ করে সফটওয়্যার কিনে কিংবা বিনা খরচায় পাওয়া যায় এমন সফটওয়্যার ব্যবহার করে কম্পিউটারের প্রসার এতটা সম্ভব ছিলনা৷
কিন্তু, আর কত ? এবার বোধহয় সময় হতে চললো আসল সফটওয়্যার ব্যবহারে মানুষকে আকৃষ্ট করার৷ তা নাহলে মাইক্রোসফট-এর মতো প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের বিনা খরচায় সফটওয়্যার দেবে কেন ? প্রশ্নের উত্তরে মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ডেভলপার সমন্বয়ক অমি আজাদ জানান, ‘‘আসলে সফটওয়্যার পাইরেসিটা আমাদের এখানে মেজর একটা আকার ধারণ করে আছে৷ এটা কম-বেশী সবাই জানে৷ আর আমরা দেখেছি যে, পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করতে গেলে যে সমস্যাগুলো হয়, শিক্ষার্থীরা তার পেছনেই অনেক সময় ব্যয় করে৷'' তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাই শিক্ষার্থী যাতে লাইসেন্সড সফটওয়্যার ব্যবহার করে এবং পড়াশোনার পেছনে আরো মনোযোগী হয়৷''
তাই মাইক্রোসফট বিনা খরচায় উইন্ডোজ সেভেনসহ বিশেষ কিছু সফটওয়্যার ব্যবহারের সুযোগ দিতে ইতিমধ্যেই চুক্তি করেছে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে৷ ফলে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন ১০ গিগাবাইট আকারের ই-মেইল সেবা ব্যবহারের সুযোগ৷ এমনকি রয়েছে মাইক্রোসফটের ডেভেলপার, ডিজাইনার থেকে গেমিং সফটওয়্যার পর্যন্ত নানা রকম সফটওয়্যার বিনা খরচায় ব্যবহারের সুযোগ৷
বাদ পড়ছেন না ব্লগাররাও
বাংলাদেশে এখন বেশ গুরুত্ব পাচ্ছেন ব্লগাররা৷ বাংলা ভাষার ব্লগাররা পাচ্ছেন আন্তর্জাতিক পুরস্কার, অবদান রাখছেন সামাজিক উন্নয়নেও৷ তা সেই ব্লগাররাই বা বাদ যাবেন কেন বিনা পয়সার সফটওয়্যার-এর তালিকা থেকে ? মাইক্রোসফট জানাচ্ছে, ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় বাংলা ব্লগ সাইট সামহোয়্যারইনব্লগ-এর সঙ্গে চুক্তি করেছেন তারা৷ যার আওতায় সামহোয়্যার-এর শিক্ষার্থী ব্লগাররা বিনা পয়সায় মাইক্রোসফটের সুযোগ সুবিধা পাবেন৷ এই প্রসঙ্গে সামহোয়্যারইনব্লগ ডট নেট-এর প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দা গুলশান ফেরদৌস জানা বলেন, ‘‘আপাতত প্রথম পর্যায়ে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী ব্লগার এই সুবিধা পাবেন৷''
কিন্তু শুধুই কি সামহোয়্যারইনব্লগ-এর শিক্ষার্থীরাই পাবেন এই সুবিধা ? অন্য ব্লগারদের কি হবে ? বিশেষ করে বর্তমানে তো আরো কয়েকটি কমিউনিটি ব্লগ সাইট রয়েছে৷ তাহলে ! অমি আজাদ জানান, ‘‘আমরা সামহোয়্যার-এর সঙ্গে শুরু করেছি৷ কিন্তু আমরা জানি যে, আরো ব্লগসাইট আছে বাংলাদেশে৷ আমরা পর্যায়ক্রমে সবার সঙ্গেই এই প্রোগ্রাম চালু করবো ভবিষ্যতে৷''
কম পয়সায় সফটওয়্যার
তবে বিনা খরচায় সফটওয়্যার প্রদানের পাশাপাশি পাইরেসি রোধে, সাধারণ মানুষের কাছে কম খরচে প্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে মাইক্রোসফট৷ অমি আজাদ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘পাইরেসি রোধে আমরা বিগত বছরগুলো থেকে বিশেষ বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছি৷ এসবের আওতায় সাধারণ ব্যবহারকারীদেরকে আমরা খুব কম খরচে সফটওয়্যার দেবার চেষ্টা করছি৷''
ইদানিং বিদেশি সংস্থা ছাড়াও বাংলাদেশি ডেভেলপারদের তৈরি সফটওয়্যারের পাইরেসি রোধেও কর্মকান্ড শুরু হয়েছে বাংলাদেশে৷ দেশটির সরকার পাইরেসি রোধে বিভিন্ন আইনকানুনের প্রয়োগ শুরু করছে৷ তবে বাংলাদেশে পাইরেসির মাত্রা সহনশীল পর্যায়ে আনতে আরো কয়েক বছর সময় লাগবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
সূত্রঃ এখানে
আমি অদ্ভুত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 437 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
এক দিকে গরিবী ( গরিবের এমনই হয়) ! আর একদিকে শেখ মজিব সাহেব বলেছিলেন না, চোরের………………… তা অনেক ভাবেই প্রমানিত………….