পরবর্তী দুই কি চার বছর পরে মক্কা শরীফ এবং মদীনা শরীফ এর কিরকম পরিবর্তন হতে পারে তার একটা আভাস পাওয়া গিয়েছে আরব ইজ্ঞিনিয়ারদের একটি প্রজেক্ট নকশার ডিজাইন থেকে । আসুন দেখি কিরকম পরিবর্তন হতে পারে মক্কা শরীফ এবং মদীনা শরীফ এবং এর আশেপাশের এলাকা সমূহ------
{১} মসজিদে হারামের পাশেই একটি বৃহৎ হাউজিং প্রজেক্ট করার পরিকল্পনা করা হয়েছে তার ডিজাইন নিম্নের ছবিটি
{২} ইনশাআল্লাহ তিন বছর পর বিশ্ববাসী মসজিদে হারামকে নিচের ছবিটির মতই দেখতে পারবেন । তিন বছরের মধ্যেই এই ডিজাইনটি সম্পন্ন হতে পারে ।
{৩} আগামী বছর থেকে মক্কা মিনা এবং এর আশেপাশের এলাকার সাথে দ্রূত যোগাযোগ ও যাতায়াতের জন্য ইলেকট্রনিক রেল ব্যবস্হা চালু করা হতে পারে ।
{৪} মক্কা শরীফের ভিতরে কাবা ঘরের উপর দিয়ে বিশাল জায়গাতে ৪ টি ছাতার মত আবরন তৈরী করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে ।ছায়ার সুবিধার্থে ।
{৫} মিনা মক্কা আল-মুকাররামা জামারত নামক এই প্রজেক্টটি প্রায় শেষ হওয়ার পথেই ।
{6} মদীনা হারাম মসজিদ চার বছর পর নিম্নের ছবিটির মতই দেখতে পারে সারা বিশ্ব ।
{7} পৃথিবীর ২য় সর্ববৃহৎ টাওয়ার জেদ্দার নির্মান করার পরিকল্পনা নিয়েছে সৌদী সরকার। যার উচ্চতা হতে পারে ১৬০০ মিটার
{8} নিচে সর্বশেষ যেই ছবিটি তা হলো মক্কা শরীফ ১২ বছর পর কেমন হতে পারে তার ডিজাইন ।
সর্বশেষে একটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই , বর্তমানে ফেসবুকে আমাদের নবীজীকে নিয়ে কটাক্ষ করাকে কেন্দ্র করে যেই প্রতিবাদ হচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি নিচের এই মন্ত্যবটি করে ছিলাম একজনের টিউনারের লেখায় । মন্তব্যটি নিম্নরূপ---
আশ্চর্য হয়ে যাই আমাদের মুসলমান ভাইদের আকীদা দেখে তারা চলছে ইহুদীদের মন মতো বলা যায় পুরো ফলো করেই চলছে ইহুদীদের মত। অথচ ইহুদীরা নবীজীকে কটাক্ষ করলেই আমাদের যুব ভাইরা ক্ষেপে ওঠেন এবং অনেকে মনে অনেক কষ্ঠ পান তা দেখে আমার ব্যাপক হাসি আসে, হাসি আসে এই জন্যই যে নবী করীম [সাঃ] দাড়িকে লম্বা করার জন্য বারবার তাগিদ দিয়েছেন এবং গোঁফকে ছোট করতে বলেছেন কারন ইহুদীরা গোঁফ মোটা করতো এবং দাড়ি ছাটাই করতো । তাই তাদের সাথে আমাদের পার্থ্ক্যের বুঝানোর জন্য নবী আমাদের এই আদেশ দিয়েছিলেন
এবার আপনি মনের আয়নার দিকে তাকান এবং নিজেকে প্রশ্ন করুন আমার বেশ ভুশ কি ইহুদীর মত হয়ে যায়নি আমিকি মুসলমানের লেবাস জাড়িয়েছি। ইহুদী নবীকে অবমাননা করছে আমরা কি নবীকে কম অবমাননা করছি । যিনি বারবার দাড়িকে বড় রাখার তাগিদ দিয়েছেন যাতে আমরা ইহুদী নাসারাদের মত হয়ে না যাই । আর আমরা ফেসবুক নিয়ে পড়ে আছি। আপনি কি জানেননা ফেসবুক এবং তার সকল কর্মকর্তাবৃন্দ প্রায় বেশীর ভাগই ইহুদী নাসারা । তাহলে আমরা কেন ঘন্টার পর ঘন্টা ফেসবুকে পড়ে থাকি এবং তাদেরকে সাপোর্ট করছি । আমরা ফেসবুককে ব্যান করলেই তো পারি । আমরা কি নিজেরা ইসলামী ব্লগ করে সেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা প্ররিশ্রম করতে পারিনা এবং পরস্পরকে সালাম বিনিময় করতে পারিনা । ভাইরা এরকম নবীর প্রতি ভালোবাসা করে কোন লাভ হবেনা । আগে ভাবুন নবীজী সম্মানিত হবেন এমন কয়টি কাজ আপনি সারাদিন করেছেন এবং এমন কয়টি কাজ করেছেন যা নবীজীকে অবমাননা করার মতই । ভাবুন এবং নিজেকে মনের আয়নায় দেখুন, সুন্দর উওর পাবেন ।
কিন্ত সম্মানিত টিউনার কেন যে মন্ত্যবটি মুছে ফেললো তা আমার বোধগম্য হলোনা । আপনারা যাচাই করূন আমার উপরের কথাগুলো একটিও কি একটিও গ্রহনযোগ্য নয় ।
যাকে নিয়ে অবমাননা করা হয়েছে তার নিজের মুখের একটি কথা হয়তো আমরা ভুলে গিয়েছি । আর সেই কথাটা হলো --- তোমরা আমার এবং আমার সাহাবীদের অনুসরন করো । তাহলেই তোমরা সাফলকাম্য হবে নতুবা নয় । আল্লাহ আমাদের সকলকে বুঝার সামর্থ দিন ।
আমি shohel islam। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 14 টি টিউন ও 139 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
৫ নাম্বার ছবিটা save করে ওয়ালপেপারে দিলে অনেক সুন্দর লাগে।