প্রায় ৪ দশক যাবৎ ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রক্ষাগৃহে ভারতীয় হিন্দি সিনেমা প্রদর্শন নিষিদ্ধ করে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার। মূলকথা ছিল দেশীয় চলচ্চিত্র বাঁচিয়ে রাখা৷ গতকাল শনিবার থেকে উঠে গেলো সেই নীতি। বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী ফারুক খান বলেন, " আমরা চলচ্চিত্র শিল্পে বড় বাণিজ্যের ছোঁয়া লাগাতে হিন্দি ছবির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছি"। হিন্দি সিনেমা এদেশের প্রক্ষাগৃহে প্রদর্শনের জন্য অনেক দিন ধরেই মুখিয়ে ছিল এই খাতের ব্যবসায়ীরা। তারা সরকারের অনুমতির অপেক্ষায় ছিল এতোদিন। অনুমতি পাওয়ার পর পরই ব্যবসায়ীগন তাদের প্রতিক্রিয়ার জানান খুব শীঘ্রই হিন্দি ছবি শুরু হবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে।
এদিনে বহু সিনেমা হল মালিকগন তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে চলচ্চিত্র ব্যবসায় মন্দা থাকার কারনে। আমাদের দেশের সিনেমাহলগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে এর বিকল্প কিছু হয়তো ছিল না। বাংলাদেশে ২০০০ সালে মোট সিনেমা হল ছিল ১,৬০০ টি এবং তা ২০১০ এ গিয়ে ঠেকেছে ৬০০ তে !!! আর যারা এখনো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের কথা হলো "শুধু বাংলা সিনেমা আর ইংরেজি ভাষার হালকা-পর্ন দেখিয়ে ব্যবসা তেমন একটা হচ্ছে না 😛 😛 " আর ভালো সিনেমা খুব কম হচ্ছে তাই মানুষ সিনেমা হল বিমুখ।
অন্যদিকে হিন্দি সিনেমা হলে প্রদর্শন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পীরা৷ চিত্রনায়ক এবং নব গঠিত ‘হিন্দি ছবি প্রতিরোধ' কমিটির সমন্বয়ক মাসুম পারভেজ রুবেল এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ভারতীয় ছবি আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প এবং সংস্কৃতিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেবে৷ এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২৫ হাজার মানুষ কর্মহীনও হবে৷'' তিনি আরো বলেন আমরা বাণিজ্যমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনার জন্য অনুরোধ করছি৷ নতুবা, শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবো আমরা৷
তবে ছোট্ট একটা শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে... হিন্দি ছবি কিংবা দক্ষিণ এশিয়ার যেকোন চলচ্চিত্র বাংলাদেশে প্রদর্শনের ক্ষেত্রে প্রতিটি ছবির সঙ্গে যুক্ত করতে হবে ইংরেজি ‘সাব-টাইটেল'৷
সরকারের উচিৎ যেন ভালো সিনেমাগুলো প্রদর্শিত হয়, যেন তা অবশ্যয় শিক্ষনীয় হয় এবং আমাদের সংস্কৃতির জন্য যেন ক্ষতিকর দিক বয়ে আনে। সাথে সিনেমা হলগুলো পরিবেশ ভালো করা উচিৎ, আপনি খেয়াল করলে দেখবেন এখনো দেশের অনেক সিনেমা হলগুলোতে ২০-৩০ বছর আগের সিস্টেম চালু আছে সেদিকে পরবর্তন আনা খুব প্রয়োজন।
আপনাদের মতামত জানাতে পারেন সরকারের এই সিব্ধান্তের।
আমি নাবিল আমিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 119 টি টিউন ও 738 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
বানিজ্য মন্ত্রী যদি দুই দিন পর বলে, “রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় মন্দা চলছে। তাই আমরা ভারতের সহযোগীতায় ড্যান্স বার, মদের দোকান খুলার চিন্তা ভাবনা করছি!!! ” আমি আর ভাবতে পারছিনা।।।।। এভাবে যদি নিজের সংস্কুতি জলাঞ্জলি দিয়ে স্রেফ ব্যবসার জন্য ভাবতে হয় তাহলে আর ইয়াবা, ফেনসিডিল ব্যবসায়ীরা কি দোষ করল? তারাও তো ব্যবসায়ী ! তার উপর হিন্দি কালচার চালু হলে আগ্রাসনের ১৬ কলা পূর্ণ হবে।।। এটা বাস্তবায়ন হলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলার উৎসবের পরিবর্তে ঘটা করে রাখি উৎসব সহ হিন্দি ছবিতে প্রদর্শিত উৎসব পালন করা হবে।।।