চারিদিকে আজ ইন্টারনেট এর জয়জয়কার। আমি আপনি এখন ঘরে বসেই প্রায় সব কিছুই করতে পারছি… বাজার করা থেকে শুরু করে বিয়েও করা যাচ্ছে আজ ইন্টারনেট এ বসেই। এক কথায় ইন্টারনেট আছে তো এক কথায় সব আপনার হাতের মুঠোয়। তবে ভাবার বিষয় হলো এখানেই… আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যে তিনি ইন্টারনেট পাচ্ছেন না, এমন ও এলাকা আছে যেখানে ইন্টারনেট এখন ও যায় নি। দেখা গেছে প্রতি ৩ জনের মধ্যে ২ জন ইন্টারনেট পাচ্ছেন না। এই বিষয় টি নিয়ে গুগল এবার মাথা ঘামালো। তারা দেখলো এখন ও অনেক এলাকা আছে যেখানে এখন পর্যন্ত ইন্টারনেট পৌছায় নি, সেই এলাকার মানুষ এখন ও ইন্টারনেট এ ছোঁয়া পাচ্ছে না। তাই এবার গুগল বের করলো এক অভিনব পদ্ধতি। সম্প্রতি গুগলের দুইটি প্রোজেক্ট আমরা দেখেছি যা হল গুগল গ্লাস ও গুগল NOSE. এই দুইটি প্রজেক্ট সত্যিই অবাক করা। তবে গুগল এর নতুন বেলুন এর প্রজেক্ট টি আরও অবাক করা। চলুন তাহলে দেখি আসলে কি থাকছে এতে…
পুরো বিশ্বকে এক ছাতার নিচে আনার উদ্যোগ নিয়েছে গুগল। আর তার একমাত্র উপায় হল ইন্টারনেট। যেহেতু অনেক এরিয়া তে ইন্টারনেট নেই অথবা সবাই পাচ্ছে না তাই সবাইকে ইন্টারনেট এর আওতায় আনার জন্যে এবার তারা আনতেছে বেলুন। এটি সাধারণ বেলুন না যদিও সাধারণ বেলুন এর মতোই আচরন করবে। তবে এর স্পেশাল দিক হল এই বেলুন থেকে আপনি ইন্টারনেট কানেকশান পাবেন। সম্প্রতি গুগল New Zealand এর একটি গ্রাম এলাকায় ব্রড ব্র্যান্ড কানেকশান প্রোভাইড করার জন্যে এই বেলুন টি পরিক্ষামুলক ভাবে চালু করে।
এই বেলুন টি পলিথিন প্লাস্টিক এর তৈরি। বেলুন টি যখন উড্ডয়ন অবস্থায় থাকে তখন তার মাপ অনেকটা এরকম হবে– 15 x 12 m (49 x 39 ft)। বেলুন টি ভুমি থেকে প্রায় ২০কিমি উচ্চতায় ভেসে থাকবে এবং তা ১০০ দিন পর্যন্ত ভাসমান অবস্থায় থাকবে প্রথমবার উড়ানোর পর।
এই বেলুন টি সাধারণ বেলুন এর মতো দেখতে হলেও এটিতে থাকছে একটি ইলেকট্রনিক্স বক্স যাতে থাকছে রেডিও এন্টেনা যা ভুমি ও অন্যান্য বেলুন এর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবে। এছাড়াও এতে আছে GPS, flight sensors,ওয়েদার কন্ট্রোল প্যানেল ও সার্কিট বোর্ড যা সম্পূর্ণ সিস্টেম কে কন্ট্রোল করবে। এই বেলুন টি সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করবে যা ১০০ ওয়াট বিদ্যুৎ ধারন ক্ষমতা সম্পন্য ও এতে একটি ব্যাটারি ও থাকছে যাতে খারাপ ওয়েদার ও রাত এ তার কার্যক্ষমতা চালাতে পারে।
গুগল এর তথ্যমতে, এই বেলুন টি 3G এর মতো হাই স্পীড ইন্টারনেট প্রদান করতে সক্ষম এবং প্রতিটি বেলুন তার আসে পাশের 40 কিমি এরিয়া ইন্টারনেট কাভারেজ দিতে পারবে যা প্রায় 24.8 মাইল এর সমান। এখন প্রশ্ন আমি এই বেলুন এর ইন্টারনেট পাবো কিভাবে? ওয়াইফাই দিয়ে? না! এই বেলুন টি রেডিও এর মতোই কাজ করবে। এই বেলুন টি ISM bands এর মাধ্যমে রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি এর ন্যায় কাজ করবে। সুতরাং এই বেলুন এর ইন্টারনেট পেতে আপনি আপনার বাসায় একটি এন্টেনা লাগাতে হতে পারে।
গুগল এর লুন নামক বেলুন এর প্রোজেক্ট টি Lake Tekapo নামক New Zealand এর একটি অঞ্চলে ১৪ তারিখ সকালে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করে। প্রাথমিকভাবে তারা ৩০ টি বেলুন উড়ায় এবং তাদের টিম এই প্রোজেক্ট নিয়ে স্টিল রিসার্চ করছেন। তারা বলেছে New Zealand এর কেউ যদি এই বেলুন এর ইন্টারনেট পেতে চায় তাহলে তাদের কে এই প্রোজেক্ট এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আবেদন করতে বলা হয়েছে।
চলুন দেখি এই প্রোজেক্ট এর ভিডিও টি…
সুত্র– Project Loon
পূর্বে প্রকাশিত হয়েছে বিডি ড্রয়েড এ
আমি infraredprince। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 36 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
“সৌরশক্তি” কোথায় মশাই? আমি তো এখানে (৩ নং ছবিতে) কাগজের মত দেখতে পাচ্ছি। আর যদি “ISM bands” এর রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি ব্যবহার করে কাজ করে তবে নিচের (৪ নং ছবিতে) ওই তারটা কিসের? তবে টেকনোলজিটা বেশ ভালই লাগল। কিন্তু বেলুনটা মাটি থেকে কতটুকু উপরে থাকবে সেটা তো বলেন নাই।