নিত্য নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে শক্তিশালী হচ্ছে বিভিন্ন দেশ

টিউন বিভাগ খবর
প্রকাশিত

প্রতিনিয়তই মানুষ নতন কিছু আবিষ্কার করতে চেষ্টা করে। একজন টিউনারের নেশা যেমন টিউন করা তেমটি একজন বিজ্ঞানীর নেশা নতুন কিছু আবিষ্কার করা। আর প্রযুক্তির কাজ হচ্ছে তা মানব কল্যানে প্রয়োগ করা। বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশই চায় স্বনির্ভরতা এবং দেশকে নিরাপদ রাখতে। তাই নিজ নিজ দেশে তাদের প্রয়োজনীয়তা চিন্তা করে বিভিন্ন নতুন আবিষ্কার রচনা করেন।

Queen Elizabeth class aircraft carrier

Ship
এই জাহাজটি যুক্তরাজ্যের রয়েল নেভিদের জন্য নির্মানের ব্যবস্থা করা হয়। এটার ধারন ক্ষমতা হবে ৬৫০০০ টন, ২৮০ মিটার অথবা ৯২০ ফিট লম্বা এবং ৫০ টি জেট বিমান বহন ও সাচ্ছন্দে উড্ডয়ন করতে পারবে। ১৯৯৮ সালে Invincible class জাহাজটির স্থানে নতুন Elizabeth class aircraft carrier তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

Invincible class carrier

১৯৯৯ সালের শেষের দিকে চূড়ান্ত করা হয় কাদেরকে এই জাহাজটি নির্মানের জন্য কনস্ট্রাকশনের কাজটি দেয়া হবে। ২০০৭ সালের ২৫শে জুলাই জাহাজটি নির্মানের আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনা দেয়া হয়। কাজ শুরু করা হয় ২০০৮ সালের ৩ জুলাই থেকে। এর ব্যয় নির্ধারন করা হয় ৩.৯ বিলিয়ন ইউরো। এর সমাপ্ত কাজ নির্ধারন করা হয়েছে ২০১৬ সালের মধ্যে।

Olkiluoto Nuclear Power Plant

Nuclear
এটা হবে ফিনল্যান্ডের ২য় পারমানবিক চুল্লী। ফিনল্যান্ডের প্রথম পারমানবিক চুল্লীর নাম Vver, এটা ২০১২ সালের মধ্যে নির্মান কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।

International Space Station

800px-ISSpoststs130
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন নির্মানের কাজ শুরু করা হয় ১৯৯৮ সালে এবং ২০১১ সালের মধ্যে নির্মান কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। এটা নির্মানের খরচ নির্ধারন করা হয়েছে ১৫৭ বিলিয়ন ডলার। যা কানাডা, ইউরোপিয় মহাকাশ সংস্থা, জাপান, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র বহন করবে। এটার ওজন হবে ৩,৪৪,৩৭৮ কেজি। দৈর্ঘ হবে ৭৩ মিটার অথবা ২৪০ ফিট। প্রসস্থ হবে ১০৮.৫ মিটার অথবা ৩৫৬ ফিট। গড়ে গতি ৭৭০৬ মাইল প্রতি সেকেন্ডে।
800px-ISS_configuration_2010-02_en.svg

Gerald R. Ford class aircraft carrier

775px-CVN-78_Artist_Image
Northrop Grumman কোম্পানী এই জাহাজটি নির্মানের কাজটি পায়। এর ওজন হবে প্রায় ১,০১,৬০০ মেট্রিক টন। এর বিম হবে ৪১ মিটার অতবা ১৩৪ ফিট। দৈর্ঘ্য হবে ৩৩ মিটার অথবা ১০৯২ ফিট। ঘন্টায় গতিবেগ হবে ৩৪ মাইল অতবা ৫৬ কিলোমিটার। ৭৫টির ও বেশি জেটবিমান জাহাজে রাখা যাবে। এর ব্যয় নির্ধারন করা হয়েছে ৮.১ বিলিয়ন ডলার। যা ২০১৫ সালের মধ্যে নির্মান কাজ শেষ করার কথা।

Three Gorges Dam OF China

Dreischluchtendamm_hauptwall_2006
২০১১ সালে এটার নির্মান কাজ শেষ হলে এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। সম্পূর্ন কেন্দ্রটি থেকে ২২৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সম্ভাবনা রয়েছে। Yangtze River নদীর পানি থেকেই এই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। এই বাধটির দৈর্ঘ্য হবে ২৩৩৫ মিটার অথবা ৭৬৬১ ফিট। প্রসস্থ ১১৫ মিটার অথবা ৩৭৭ ফিট। এর ব্যয় নির্ধারন করা হয় ১৮০ বিলিয়ন ডলার। বাৎসরিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১০০০০০ গিগা ওয়াট।
সকলকে ধন্যবাদ...............

Level 0

আমি রাখাল বালক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 202 টি টিউন ও 1117 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

এদেশের ৯৯% মানুষই কোন না কোন ভাবে দূর্নীতির সাথে জড়িত। হয়ত কেউ ঘুষ দেয় অথবা কেউ নেয় দুটোই তো সমান অপরাধ। আর মায়ের পেটে থাকা শিশুটিও দূর্নীতির অর্থে কেনা খাবার খেয়ে বড় হয়ে উঠে। আর আমরা আশা করছি দেশপ্রেমিক এক নেতা। এটা নিম গাছ লাগিয়ে আম আশা করার মত হয়ে...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

খুব ভালো ……….. 🙂

হাসিব মিয়া বাংলাদেশের টেকনলজি নিয়া কিছু লিখো । দেখি লেখতে পারো কি না।:)

    হে, হে , এটা কি কইলেন ? বাংলাদেশে আবার টেকনলজী !!!!! বাংলাদেশে সব টেকনলজী হয় কেরোসিন বেসড । (আল্লাহ-য় জানে কিসের ইমো হবে !)

    আরিফ ভাইয়ে দেখি মুখ খুলসে, ভালো ভালো।

Level 0

আরিফ ভাই কি বলেন ।

বাংলাদেশের আবার টেকনলজি নেই ।

না থাকলে আমরা মেড বাই জিঞ্জিরার পন্য বলুন বা নোসিমন, করিমন পেলাম কি করে ।
অথবা ধানের তুষ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কি করে সম্ভব হল।

এগুলোতো সব বাংলাদেশের মানুষেরাই তৈরী করেছে ।

ওপ্পস, এত কথার মধ্যে হাসিব ভাইকে ধন্যবাদই জানানো হয়নি ।

ধন্যবাদ হাসিব ভাই । সুন্দর টিউনের জন্য ।

টেকনোলজিতে একমাত্র বাংলাদেশই এগিয়ে, আপনারা কি জানেন না ? এক বাংলাদেশী পানি দিয়ে গাড়ী চালানো যাবে সেরকম একটি কীট আবিষ্কার করেছে। আমার জানামতে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ আবিষ্কার এটিই।

গুড জব হাসিব

    টিনটিন ভাই আমারে একটু টিপস দিয়া সাহায্য করতে হইব। কিভাবে আরও আকর্ষনীয় টিউন করতে পারব?