বিডি নিউজ জানাচ্ছে যে, আগামী ডিসেম্বর ১ তারিখ থেকে ইন্টারনেট চার্জ ৬০ শতাংশ কমে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে বিটিআরসি মোবাইল ফোন অপারেটর, পিএসটিএন অপারেটর ও আইএসপিগুলোকে এই হ্রাসকৃত মূল্য হার অনুসরণ করে আগামী ১৩ নভেম্বরের মধ্যে গ্রাহক মূল্য নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছে।
এটা আমাদের সবার জন্য খুবই ভালো সংবাদ। সর্বক্ষেত্রে ইন্টারনেট চার্জ কমলে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যম বেছে নিতে সুবিধা হবে। অনেকেই আমরা মোবাইল দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। অনেকেই ব্রডব্যান্ড, পিএসটিএন ফোন ইত্যাদি। যেখানে ব্রডব্যান্ড কানেকশন চার্জ বেশী সেখানে আমরা অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করতে পারি। চার্জ কমলে সবগুলোতেই সুবিধা। একটা প্রতিযোগিতাও থাকবে বাজারে। ব্রডব্যান্ড এর ফ্রডগিরিতে অনেকেই বিরক্ত। মাসের অর্ধেক দিন লাইন থাকে না। লোডশেডিং এর কারণে তাদের বিভিন্ন সুইচ পয়েন্টগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে না এজন্য লাইন বন্ধ হয়ে যায়। আবার তার ছিড়ে যাওয়া বা সুইচ/হাব হ্যাঙ হয়ে যাওয়া নিত্য ঘটনা। অনেক সময় তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে করতেই খরচ হয়ে যায় অনেক টাকা। আবার অতীব গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সারার জন্য আপনার কানেকশনটি হয়তো বন্ধও থাকতে পারে। এভাবে তারা সকলের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শেয়ার লাইন দেয়ায় আপনার প্রয়োজনীয় মূহুর্তে গতি নাও পেতে পারেন। অনেকেই আবার এই ঝামেলা এড়াতে জুম বা এজ ব্যবহার করছেন। সিটিসেল, গ্রামীনফোন, ওয়ারিদ, টেলিটক এরা বিভিন্ন রকম রেটে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দেয়। এক্ষেত্রে ভালো সেট ব্যবহার করলে এবং আপনার অবস্থানের উপর নির্ভর করে গতি কম বা বেশী হয়। পূর্বে একাধিকবার ব্যন্ডউইডথ চার্জ কমলেও আমরা তার প্রতিফলন দেখতে পাইনি মোবাইল কোম্পানীর ক্ষেত্রে। বা ব্রডব্যান্ড আলারাও তেমন কমান নাই। তাদের নিয়ন্ত্রন করার মতো সরকারের নীতিমালাও নেই। যাকে যেভাবে খুশী স্পীড দিয়ে যেন তেন ভাবে বুঝ দেয়া আর কি। বর্তমান সরকার একটি ব্রডব্যান্ড নীতিমালা চূড়ান্ত করে ফেলেছে। সেখানে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ভাবে সুবিধা, অসুবিধাগুলি উল্লেখ থাকবে বলে আশা করছি।
কোন গণতান্ত্রিক সরকার ব্যন্ডউইডথ বা ইন্টারনেটের গুরুত্ব অনুধাবন না করলেও এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গত দুই দফায় ব্যন্ডউইডথ চার্জ অনেকখানি কমিয়ে এনেছে। এবার যদি আবার ৬০% কমানো হয় তবে তা হবে মাইলফলক। আমরা আশা করছি অনেক কম খরচে অধিক গতি সম্পন্ন লাইন ব্যবহার করতে সক্ষম হবো। সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের পর এই প্রথম তথ্যপ্রযুক্তিখাতে নিয়োজিত লোকজন আনন্দিত হতে পারবেন। তথ্য প্রযুক্তিখাতের উন্নয়নে এই উদ্যোগ নি:সন্দেহে ভূমিকা রাখবে। সারাদেশে ইন্টারনেটকে ছড়িয়ে দেয়ার এ কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
আমি রুবন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 24 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশে কর্মরত। ওয়েব প্রোগামার। সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) এর একজন ভলান্টিয়ার প্রোগ্রামার। আইবিসিএস-প্রাইম্যাক্সে পার্টটাইম লেকচারার হিসেবে আছি। সেখানে পিএইচপি-মাইসিকিউএল কোর্স এ যুক্ত আছি। ফটোগ্রাফি করে থাকি। যায়যায়দিন পত্রিকায় টেকনোলজি পাতার নিয়মিত লেখক। ফটোশেয়ারে ছবি কন্ট্রিবিউট করি। দুর্নীতিমুক্ত সুন্দর, উজ্জ্বল একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি।
আমিও সাধুবাদ জানাই। আর আমাদের দেশে ব্রডব্যান্ড টা আসলে ফ্রডব্যান্ড। স্পিড এক বলে আরেক দেওয়া আর হোম ইউজারদের হয়রানি লেগেই আছে। প্রয়োজন একটা সুষ্ঠু নীতিমালার। ধন্যবাদ রুবন ভাইকে খবরটা শেয়ার করার জন্য।