ইন্টারনেট এর খরচ দিন দিন বেড়েই চলছে । আগের চেয়ে চাহিদা বাড়লেও দামের তেমন কোন পরিবর্তন আসেনাই। খালি সুনি সরকার নাকি নেট এর দাম কমাইছে । কিন্তু আমরা যারা নেট ব্যাবহার করি তারা এখনো এর সুফল পাচ্ছি না। কি আর করার, টেকটিউনস এ এক ভাইয়ের পোস্ট দেখে সিধান্ত নিলাম বিটিসিএল সংযোগ দিয়ে এডিএসএল মডেম চালাবো । অন্তত শান্তিতে একটু নেট চালাইতে পারব। যাই হোক যে ভাবনা সেই কাজ। আমি কিছুদিন পর গেলাম বিটিসিএল টঙ্গী অফিস এ অফিস এ তেমন কেউ ছিল না। এক ম্যাডাম এর সাথে কথা বলে জেনে নিলাম কি কি লাগবে। উনি বললেন 4 কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি। ভোটার আইডি কার্ড এর ফটোকপি এবং ছবির নিচে সত্যায়িত থাকতে হতে। প্রথম গ্যাজেটেড অফিসার এর স্বাক্ষর। যাই হোক, সব কিছু রেডি করে গেলাম। কিন্তু অফিস এ কাওকে পেলাম না ফর্ম জমা নেয়ার মত। এভাবে ৩ দিন এসেও তার দেখা পাওয়া গেল না। 4 th দিন তাকে পেলাম রীতিমত খুব বিজি । তার নাম বললাম না। ফর্ম জমা দিলাম। এখন আরেক ঝামেলা তার অ্যাসিস্ট্যান্ট এর দেখা নাই। সে কোথায় গেছে , সুনেছি দেয়াল এর ও নাকি কান আছে। সেই কান দিয়ে সুনে যা বুঝলাম সে এই কাজ ছারাও আরও ২ টা কাজ করে। তার কোন একটাতে কাজ করতে চলে গেছে। এগুলা ত সামান্য আরও অনেক কিছু আছে সামনে। ও একটা কথা বলতে ভুলে গেছি যে ম্যাডাম এর সাথে প্রথম কথা বলেছিলাম তিনি বলেছেন আমি যেন কাওকে টাকা না দেই। আমার মাথায় তখন সেই কথাটা ঘুরতেছে। অ্যাসিস্ট্যান্ট এর দেখা মিলল দুই দিন পর। সে বলল লাইন ম্যান আমাদের এলাকায় গিয়ে দেখবেন আমদের অন্য কোন লাইন আছে কিনা বা কোন কমপ্লেইন থাকলে যাচাই বাছাই করে তারপর একটা প্রত্যয়ন পত্র দিবে। তারপর লাইন পাব। এখন ঘুরো লাইন ম্যান এর পিছে। এই প্রত্যয়ন এর জন্য আরও ৫ দিন শেষ। আবার প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে সেই অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাছে। নাম্বার পছন্দ করতে বললেন , কিছু ভাল নাম্বার ছিল , কিন্তু তার ভাব দেইখা বুঝলাম ওই নাম্বার নিতে কিছু পাত্তি দিতে হইব। তারপর ভাবলাম নাম্বার ধুইয়া কি পানি খামু। নেট চালাইলে নাম্বার কোন ব্যাপার না। যাই হোক নাম্বার পছন্দ করলাম। লাইন ম্যান বলল ৭ দিন পর সংযোগ দিবে। ৭ দিন পর সংযোগ দিতে আসলো। সংযোগও দিল। তবে ভাবছেন সমস্যাটা কোথায়? এখানেই তো সমস্যা...
লাইন দেয়ার পর সে বলে তাকে চা পানি খাওয়ার জন্য কিছু দিতে হবে। আমি বললাম চা খাইবেন ভাল কথা আসেন একসাথে বসে চা খাই। না সে সরাসরি টাকা চাইল , যাই হোক আমি এর জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। মানে আমার পকেট একদম খালি। এমন অবস্তায় তাকে ১০০ টাকা আরেকজনের কাছ থেকে ধার করে দিলাম। কিন্তু সে নিবে না আমিও পরছি বিপদে সে টাকা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়। তারপর অনেক বুঝিয়ে তাকে শেষ পর্যন্ত ৩০০ টাকা দিতে হল। গেল একটা, আরেকটা অপেক্ষা করছীঈ আমার জন্য কে জানে। প্রথম বিল দিতে এল এক মুরুব্বি , তাকেও কিছু পাত্তি দিতে হবে দিলাম ১০০ টাকা। পরের মাসে ৫০ টাকা, তারপরের মাসে ৩০ টাকা , শেষে মায়ের রাগারাগিতে দেয়া বন্ধ, তারপর লক্ষ করলাম তিনি বিলটা একটু দেরি করেই দেয়া শুরু করলেন। আমার মাসে বিল আসে ১৫০-২০০ টাকার মত , আমি যদি ৫০ বা ৩০ টাকা করে প্রতি মাসে বিল প্রদানকারীকে দেই তাহলে কি হইল। এরপর কয়েকবার আমার লাইন এ সমস্যা হইসে একবার অ বিনা খরচে ঠিক করাইতে পারি নাই। একবারের ঘটনা , আমার লাইন ঠিক ছিল শুধু এয়ারটেল নাম্বার এ কল করলে সমস্যা হত। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ কমপ্লেইন করলাম। তারপর দিন লক এলো ঠিক করতে , ঠিক করার নামে সে আমার লাইন টা খাম্বা থেকে খুলীঈ ফেলল। তারপর তো লাইন যে থাকবে না এটা আমাদের সকলের জানা। সে কঠিন একটা ভাব ধরল আমাকে দেখাইল আমার লাইন এ সমস্যা । আমি মনে মনে ভাবতাছি চান্দু আজ তোমারে পাইছি। সে এবার বাইরে বের হল। কিছুক্ষণ পর আবার লাইন লাগিয়ে দিয়ে আসলো, এবং দেখালো লাইন ঠিক আছে। আমি তাকে বললাম যে আমার লাইন তো ঠিক এ ছিল আপনি খাম্বা থেকে লাইন খুললেন লাইন চলে গেল আবার লাগাইলেন চলে এলো। কিন্তু আমার সমস্যা ছিল এয়ারটেল নাম্বার এ কল যায় না । আজ সকালে সেটা ঠিক হয়ে গেছে। সেদিনের মত সে চলে গেল, কোণ খরচা হইল না।
আমার টেলিফোন সেট টা নষ্ট হওয়ার কারনে নতুন ফোন কিনতে গেলাম দোকানে। সেখানে গিয়ে সুনলাম আরেক ঘটনা। তার দোকানে মাসে দুই-তিন দিন আসে লাইন ম্যান সমস্যা সমাধান করতে , দোকানদারের মতে সমস্যা গুলো তাদের তৈরি। তারাই সমস্যা তৈরি করে আবার তারাই সমাধান করে। শুধু মাসে মাসে ১০০-২০০ টাকা দোকানদারের পকেট থেকে লাইন ম্যান এর পকেট এ যায়। যদি টাকা না দেয় তাহলে লাইন ঠিক করার নামে খাম্বাতে উঠে লাইন খুলে দিয়ে যায়। এবং ফোন করলেও তার দেখা সহজে মিলে না। তাই এই সব ঝামেলা থেকে বাচার জন্য তিনি পাত্তি দিয়ে যান।
আজকের ঘটনা মাসখানেক যাবত আমার লাইন এ সমস্যা ছিল , আজ সেই লোকটা এসেছিলো যে লাইন ম্যান আমার লাইন দেখতে চাইল দেখালাম। সে বলল আমার লাইন ঠিক করে দিয়েছে। এখন তাকে রিস্কা ভাড়া দিতে হবে । বাসায় কেও নাই। পকেটেও টাকা নাই। অনেক খুজে ১০ টাকা পেলাম বললাম আমার কাছে কোন টাকা নাই। মাত্র ১০ টাকা। সে হুড় মুড় করে বেরিয়ে গেল। টাকাটা পকেট এ রাখলাম , বুঝলাম এ টাকটা ওই লোকটার ভাগ্যে ছিল না।
ভয়ে আছি, সে যদি আমার লাইন খুলে দেয়। আমিতো আর খাম্বা পাহারা দিতে পারব না। সে যেকোনো সময় আমার লাইন খুলে দিতে পারে। তারপর আমাকে ফোন করতে হবে তাকে। সে যদি আসি , আসবো বলে আমাকে ঘোরায়। তখন আমিও কি তার কথা মেনে নিব। ভাবতেছি না। আমি সরাসরি হেড অফিস এ কথা বলব। এতে কি সমাধান হবে। নাকি আরও সমস্যা বাড়বে। কারন লোক যদি পরিবর্তন না হয় তাহলে আর সমাধান করা সম্ভব না।
ধন্যবাদ কষ্ট করে আমার লেখাটা পড়ার জন্য।
আমি মোহাম্মাদ নয়ন খান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 135 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
vijan to dekhsi onek bipode asen. Ami to broadband/zoom/ollo use kori tai ei jamela t pori nai. ashole etar mone hoi kono solution nai.sorkari lok to tai pitani dile problem a porben. Amra ashole oder kase jimmi. 🙁