অস্ট্রেলিয়ায় ইমিগ্রেশনের কথা ভাবছেন? আসুন জেনে নিই অস্ট্রেলিয়ায় ইমিগ্রেশন গ্রহণের কিছু শর্তাবলী সম্পর্কে

টিউন বিভাগ খবর
প্রকাশিত

অর্থ বিত্তবৈভব আধুনিকতার ছোঁয়ায় অস্ট্রেলিয়ার জীবনমান অনেক উন্নত। এই দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের অনেকেই স্বপ্ন দেখে। ইমিগ্রেশনের ক্ষেত্রে কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়।

ইমিগ্রেশনের শর্তাবলী

অস্ট্রেলিয়ায় ইমিগ্রেশনের ক্ষেত্রে যেসব শর্তাবলী পূরণ করতে হয় তা হলো

ক) এখানে আর্কিটেক্ট, বায়োলজিস্ট এন্ড সাইনটিস্ট, বিজনেস কনসালটেন্টস এন্ড অ্যানালাইসিস, ডেন্টিস্ট, ফিজিসিয়ান, ফার্মাসিস্ট, সাইকোলজিস্ট, নার্স, সোশ্যাল ওয়ার্কার, রেষ্টুরেন্ট ম্যানেজার এবং চিফ শেফ হিসেবে চাকুরী ও পড়ার জন্য যাওয়া যায়।

খ) বিভিন্ন যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে মোট ১৬০ পয়েন্ট অর্জনের ব্যবস্থা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন  ৬৫ পয়েন্ট অর্জন করলে ভিসার জন্য আবেদন করা যায়।

গ) যোগ্যতা অর্জনের পয়েন্ট নিম্নরুপ

  • ইনভেস্টরের ট্রেড সার্টিফিকেটের পয়েন্ট ৬০।
  • ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সের জন্য ৩০ পয়েন্ট, ৩০ থেকে ৩৪ বছর বয়সের জন্য ২৫ পয়েন্ট, ৩৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সের জন্য ২০ পয়েন্ট, ৪০ থেকে ৪৪ বছর বয়সের জন্য ১৫ পয়েন্ট রয়েছে।
  • ল্যাংগুয়েজ আইইএলটিএস এ ৫.৫ পেলে ২৫ পয়েন্ট অর্জন করা যায়।
  • স্টেট/টেরিটোরি স্পনসরশীপের পয়েন্ট ১০।
  • রিজিওনাল স্টাডি ৫ পয়েন্ট।
  • স্পাউস স্কিলস (পেশাগত/অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানগত)৫ পয়েন্ট।
  • শিক্ষা ক্ষেত্রে ডক্টরেট ডিগ্রীর জন্য ২৫ পয়েন্ট, মাস্টার ডিগ্রীর জন্য ১৫ পয়েন্ট, সেকেন্ড ক্লাস ওনারের জন্য ১৫ পয়েন্ট এবং আন্ডার গ্রাজুয়েশন ডিগ্রীর জন্য ১৫ পয়েন্ট রয়েছে।

ঘ) আবেদনকারীর ইংরেজী ভাষায় পুরোপুরি দক্ষতা থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে পেশাজীবীদের আইইএলটিএস – এ সর্বনিম্ন ৫.৫ পেতে হবে।

ঙ) স্টুডেন্টদের ইমিগ্রেশন করতে কোন পয়েন্ট এর প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র আইইএলটিএস – এ সর্বনিম্ন ৫.৫ পেতে হয়। বাবা বা নিকট আত্নীয়ের ব্যাংক একাউন্টে ৩০,০০,০০০ (ত্রিশ লক্ষ) টাকা দেখাতে হয়।

চ) দূতাবাস কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে ইন্টারভিউ নেয়া প্রয়োজন কেবল তখনই ইন্টারভিউর জন্য ভিসা আবেদনকারীকে ডাকা হয়। ঢাকাস্থ অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসে ভিসার ইন্টারভিউ  অনুষ্ঠিত হয়।

ছ) সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করে পেশাজীবীদের ভিসা পেতে সময় লাগে প্রায় ৬ থেকে ১২ মাস এবং স্টুডেন্টের ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে ভিসা পাওয়া যায়।

জ) ভিসা আবেদন রিফিউজ হলে আপিল করার ব্যবস্থা রয়েছে। সেক্ষেত্রে একজন আইনজীবির মাধ্যমে পুনরায় আবেদন করা যায়।

যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন

ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন সেগুলো হলো

  • একাডেমিক সার্টিফিকেট।
  • ৫ বছরের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
  • ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • ম্যারেজ সার্টিফিকেট (বিবাহত হলে)
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • পাসপোর্টের প্রথম ৬ পাতার ফটোকপি
  • জন্ম সনদ পত্র
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট
  • ফিন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট
  • ট্রেড লাইসেন্স (ব্যবাসয়ী হলে)
  • ইনকাম ট্যাক্স স্টেটমেন্ট (চাকুরী/ ব্যবসায়ী হলে)

অফিসের সময়সূচী

শুক্রবার ও শনিবার ছাড়া সপ্তাহের বাকী পাঁচদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত দূতাবাস অফিস খোলা থাকে। তবে দুপুরের বিরতি ১২.৩০ থেকে ১.০০ টা পর্যন্ত।

যোগাযোগ

অস্ট্রেলিয়া হাই কমিশন, ১৮৪ গুলশান নর্থ এভিনিউ, ঢাকা-১২১২। ফোন নম্বর ৮৮১৩১০৫ এবং ওয়েব সাইটের ঠিকানা  http://www.bangladesh.embassy.gov.au

 

আমার পূর্ববর্তী আরও কিছু পোস্ট

Level 0

আমি শাহীন শিমুল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 30 টি টিউন ও 3 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

ধন্যবাদ

Level 0

thank you. This information will help me.

ইনভেস্টরের ট্রেড সার্টিফিকেটের beparta aktu details bolle upokrito hotam.
Thank you.

ধন্যবাদ।

What about cost? Can you describe shortly about the cost?