বাংলাদেশ ইউটিউব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং গুগলের কাছে সরকারীভাবে চিঠি দেয়া হয়েছে। গুগল এখন পর্যন্ত চিঠির উত্তর দেয় নাই। উত্তর না দিলে নাকি গুগলও বন্ধ করে দেয়া হবে।অনেকে এটাকে ভালো উদ্যোক মনে করছেন। আবার অন্যদিকে অনেকে ভিন্নভাবে ইউটিউব ব্যবহার করছেন এবং কেন ইউটিউব বন্ধ করা হবেনা তা সর্ম্পকে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরছেন।ইতিপূর্বেও ফেসবুকে রাসূল (সাঃ) কে নিয়ে আপত্তিকর ছবি প্রকাশিত হয়েছিলো, বিশ্ব উত্তাল হয়েছিলো, তখন দেশেও ফেসবুক বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। তখন দেশে নির্দিষ্ট কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেসবুকের সপক্ষে মিছিল বের হয়েছিলো, যদিও আপত্তিকর ছবি নিয়ে সেখান থেকে কোন প্রতিবাদ হয়নি।
ইসলাম নিয়ে, রাসুল (সাঃ) কে নিয়ে বাজে মন্তব্য নতুন কিছু নয়। এটা রাসূল (সাঃ) এর যুগেও হয়েছে, সাহাবিদের সময় হয়েছে, এর পরেও হয়েছ এবং আমাদের সময় খুব ঘন ঘন হচ্ছে। রাসুল (সাঃ) এর সময়ে এক কবি রাসুল (সাঃ) সর্ম্পকে অনেক বাজে কথা বলতো। ওমর তাকে একদিন পাকড়াও করলেন ও রাসুলের কাছে নিয়ে আসলেন। তিনি রাসুল (সাঃ) কে অনুরোধ করলেন যেন তিনি এই লোকের সামনের দুটি দাত উপড়ে ফেলার আদেশ দেন, যাতে তার কথা ও কবিতা আর কেউ বুঝতে না পারে। রাসূল (সাঃ) বললেন, তিনি কাউকে বিকৃত করা পছন্দ করেন না। তাকে উপহার দিয়ে ছেড়ে দেয়া হলো। সেই লোক তার ভূল বুঝতে পারলো এবং মুসলমান হয়ে গেলো। অন্যদিকে আর এক নেতা গোছের কাফের যাকে বার বার বোঝানো সত্বেও, রাসুল (সাঃ) ও তার পরিবার সর্ম্পকে নোংরা কথা বলা বন্ধ করলোনা, রাসুল (সাঃ) তাকে হত্যার জন্য সাহাবীদের এক বিশেষ দল প্রেরন করেন। তারা বিশেষ কৌশলে তার সুরক্ষিত দূর্গে প্রবেশ করেন এবং শুধুমাত্র তাকে হত্যা করে, পাহাড়াদার দের ফাকি দিয়ে বের হয়ে আসেন। রাসুল (সাঃ) এর যুগ শেষ হবার পরেও এবং তার আরো অনেক পরে , ১৯০২ সালে লন্ডনে একই নাটক মঞ্চায়িত হয়েছিলো যেখানে রাসুল (সাঃ) এবং তার কন্যা ফাতেমা সর্ম্পকে খারাপ কটুক্তি করা হয়েছিলো। তুরষ্কে তখন অটোমান খেলাফত ছিলো এবং তখন ছিলো খেলাফতের শেষ করুন সময়, বিদায় ঘন্টা বাজছিলো। সেই দঃসময়েও খলীফা দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ ঘোষনা করেন, যদি এই নাটক বন্ধ না করা হয়, তবে অবশ্যই রাষ্টের পক্ষ থেকে যুদ্ধ ঘোষনা করা হবে। ব্রিটিশ সরকার তিন দিনের মাথায় নাটিক প্রচার বন্ধ করে। সম্প্রতি ইরান সালমান রুশদির মাথার দাম ৫ লাখ বাড়িয়েছে, যেটি এখন হয়েছে সর্বোমোট ৩৩ লাখ ডলার। তাদের অফিশিয়াল বলছে, রুশদিকে সেই সময় হত্যা করা গেলে এখন এই কার্টুন সিনেমা কিচ্ছু হবার সাহস পেতোনা।
সুতরাং এটা দেখার এবং শিক্ষার বিষয় কিভাবে আমাদের পূর্বসূরীরা এই প্রচার যুদ্ধ মোকাবেলা করেছিলেন, কিভাবে এটাকে বন্ধ রেখেছিলেন। ইসলাম ধর্মে, আমাদের কেউ গালি দিলে আমরা গালি দিতে পারি না, তেমনি কেউ আমাদের ধর্ম নিয়ে বাজে মন্তব্য করলে আমরা অন্য কোন ধর্ম নিয়ে বাজে মন্তব্যও করতে পারিনা। অন্যদিকে খ্রীষ্টান এবং ইহুদিদের নবী আমাদেরও নবী [ঈসা এবং মুসা], যাদের আমরা সন্মান করি। আবার অন্যদিকে রাসুল (সাঃ) এর উপর মিথ্যা আরোপকারী সর্ম্পকে নিশ্চুপ থাকাও সম্ভব নয়। কারন কেউ যদি আমাদের পিতা মাতাকে গালি দেয় বা তাদের সন্মান করে, আমাদের মাতাদের চরিত্র সর্ম্পকে অপবাদ দেয়, সে যদি দেশের সবচেয়ে ভালো স্কুলের হেডস্যার ও হয় তবে কি আমরা সেই স্কুলে পড়বো। অন্যদিকে রাসূল (সাঃ) এর পদদেশে আমাদের মাতাপিতা কোরবান হোক, তার অসন্মান কিভাবে মেনে নেয়া যেতে পারে এবং ইউটিউব, গুগলের সপক্ষে প্রচারনা করা যেতে পারে? যেখানে হলোকাষ্টের বিপক্ষে কিছু লিখলে বা ভিডিও বানালে, সেটা ১ ঘন্টাও থাকে না, ইউজার সহ ব্যান হয়ে যায়, সেখানে এই ভিডিও কিভাবে থাকে? ইন্ডিয়াতে হাইকোর্টের রায়ে গুগুলকে হুমকি দেয়া হয় যে "সব ধর্মের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য সরিয়ে না নিলে, ইন্ডিয়াতে তাদের অনলাইন বিজ্ঞাপন ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া হবে " এবং অলরেডী মুসলমান দের উপর আঘাতকারী সিনেমার জন্য ইন্ডিয়াতে ইউটিউব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং সেখানে কেউ কোন প্রতিবাদ করে নাই। সেখানে আমাদের মুসলিম প্রধান দেশে সপক্ষে গুনগান করার মতো, প্রতিবাদ করার মতো লোক কোথা থেকে আসে? কারন দেশে একটা সমাজ তৈরী হয়েছে, যাদের ইসলাম চর্চা ফেসবুক, ইউটিউব এবং রাজনিতীতে সীমাবদ্ধ। কেউ নিজেকে বন্ধুদের কাছে, কেউ সমাজের কাছে, কেউ দেশের কাছে নিজেকে ভালো ও জ্ঞানী প্রমানের জন্য, ইসলামকে ব্যবহার করে। কারন বিশ্বে রাসুল (সাঃ) এর সন্মানের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে ২০ এর উপরে মানুষ নিহত হয়েছেন, ৩০০ এর বেশী আহত হয়েছেন, হাজার লোক মামলার শিকার হয়েছেন, তারা সবাই আমেরিকান নয় বরং নিজে দেশেরই পুলিশ বাহিনীর আক্রমনের শিকার।সুতরাং এতেই বুঝা যায়...
আমি hanif254। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 22 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
।সুতরাং এতেই বুঝা যায়…
ki buja jai ?? ektu openly boilen pls..