শিশু কিশোরদের অধঃপতন মহামারী আকার ধারন করেছে – একটি সচেতনামুলক পোস্ট এড়িয়ে যাবেন না

টিউন বিভাগ খবর
প্রকাশিত
► (শিশু কিশোরদের অধঃপতন মহামারী আকার ধারন করেছে - একটি সচেতনামুলক পোস্ট এড়িয়ে যাবেন না) ◄ ▓

সম্প্রতি ভয়াবহ সব দৃশ্য ফুটে উঠেছে"মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন" নামে একটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণায়! তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে জরিপ করে কিছু তথ্য তুলে ধরেছে
গুগলেবেশি খোঁজা শব্দগুলো অশ্লীল

=> ইন্টারনেটে তথ্য খোঁজার জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের একটি বাংলা সংস্করণ আছে। এটা অনেকেই ব্যবহার করেন।সাম্প্রতিক এক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে বাংলাদেশ থেকে গুগলের বাংলা সংস্করণে বেশি খোঁজা হয় অশ্লীল কাহিনি ও ছবি। ইংরেজি ২৬টি বর্ণের ২০টিতেই অশ্লীল শব্দ খোঁজার হার বেশি। এমনকি তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ নম্বরেও অশ্লীল শব্দগুলোই জায়গা পেয়েছে। আর যেসব অশ্লীল শব্দ, ছবি, যৌন উদ্দীপক বইয়ের খোঁজ করা হয়, সেগুলোর ডিজিটাল সংস্করণ যথেষ্ট পরিমাণেই আছে ইন্টারনেটে। কখনো সেসব ইউনিকোড বাংলায় লেখা কখনোবা বই থেকে স্ক্যান করা=> সামাজিক-রাষ্ট্র ীয় এবং পারিবারিক নজরদারির অভাবে কিশোর-কিশোরীরা পর্নো ছবি-ভিডিও সংগ্রহ করছে, দেখছে এবং কোন কোন সময় তা অনুকরণ করছে।

=> একজন স্কুলছাত্রী জানান, কিছুদিন আগপর্যন্ত ডোরেমন দেখে তার অবসর কাটতো। সম্প্রতি সে তার বন্ধু-বান্ধব থেকে পর্নোগ্রাফি সম্পর্কে আইডিয়া পেয়েছেএবং ব্লুটুথের মাধ্যেমে কিছু ভিডিও নিয়ে সে দেখেছে।
...

=>আরেক ছাত্র জানায় তারা একে অপরের কাছে পর্নো ছবির ডিভিডি আদান প্রদান করে।

=> স্কুল পড়ুয়া বেশ কিছু ছেলেমেয়ে জানিয়েছে তারা পর্নো ছবি ডাউনলোড এবং দেখতে বেশিরভাগ সময় মোবাইল ব্যবহার করে থাকে।

=> অনেকে সাইবার ক্যাফে গিয়ে ইন্টারনেটে পর্নো সাইটে গিয়ে ছবি এবং ভিডীও ডাউনলোড করে বাসায় এনে তা লুকিয়ে কম্পিউটারে দেখে।

=> সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে(ফেসবুক- টুইটার) ব্যবহার করে কিশোর-কিশোরীরা যৌন সম্পর্ক স্থাপন করছে।

আজকাল এগুলো খুব কমন ব্যাপারে পরিনত হচ্ছে, যা আমাদের নৈতিকতা অবক্ষয়ের পরিচায়ক

Author :Ahsanul Karim

Level 0

আমি Abdul Mannan Asif। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 17 টি টিউন ও 31 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

ভাল কিছু করতে গেলে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়, কিন্তু একটা সময়ের পর কাজের ফলটা চরম আনন্দ দেয় :) মুখবইয়ে আমি ২০১১ইং খেকে টেকটুইটস এবং টেকপৃথিবীতে এডমিন, ২০১২ইং থেকে NanoItBD তে Executive Programmer হিসাবে কাজ করছি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাল । এরকম একটি সচেতনতা মুলক টিউন করার জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি । আর কি বলব নিজেই তো বলার ভাষা খুজে পাচ্ছিনা ।

আসিফ ভাই আপনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট করেছেন,আসলে আমাদের সন্তানদের অর্থাৎ ভবিষ্যত প্রজন্মকে ওই সব নোংরা পথ থেকে ফেরানোর জন্য অভিভাবকদের প্রচেষ্টা ও সচেতনতাই যথেষ্ট বলে আমি মনে করি I অনেক ধন্যবাদ আপনাকে টিউন টি করার জন্য I

এই সব নোংরা কাজ জানি না কিভাবে বন্দ হবে। আদো সম্ভব কিনা।।

একমাত্র ইসলামী অনুশাসনই পারে এ ভয়াবহ অবস্থা থেকে বাঁচাতে। আর সেই সাথে গারজিয়ানদেরও উচিত সন্তানের প্রতি লক্ষ্য রাখা। আসুন যারা গারজিয়ান হয়েছি বা এখনও হয়নি আমরা সবাই নিজেদের সন্তান, ভাগ্নে-ভাগ্নি, ভাতিজা-ভাতিজী এদের সবার প্রতি একটু খেয়াল করি আর ইসলামী জীবন ব্যবস্থা মানার চেষ্টা করি। সবশেষে অসিফ ভাইকে ধন্যবাদ এ রকম একটি সচেতনা মূলক টিউনের জন্যে।

main kotha tara porn jinise moja pache tai edik dhabito hoche.to tader ei moja paoa ta ke onno positive dike dhabito korte hobe.tader mojar mojar site er link dite hobe egulai tara moja pabe.science,fiction,cartoon er site er link dite hobe.r jodi kajer nesha ,i mean computer er kajgulai ana jai taile darun hobe.kajo shikhbe,porn tahkeo dure thakbe.

really true. same to you Bhaia

Level 0

আসলে যৌনতার প্রতি আকর্ষণ বয়সন্ধিকালে সাধারন । কিন্তু সব দেশের মত আমরা সঠিক সময় এ জাতিও কোন শিক্ষা পাই না ( আসলে কোন সময়ই পাই না) । অন্যান্য দেশে কিশোরদের জন্য এ বিষয়ে পাঠ্য বই( যা সিলেবাসের অন্তর্গত) রয়েছে। শুধু একটু সঠিক শিক্ষার অভাবে কিশোররা বেশীরভাগ সময়ে ভুল/ অশ্লীল কারজকলাপের দিকে ঝুঁকে পরছে। আমরা অতিরিক্ত লজ্জাবতী ধার্মিকতার কারনে আমাদের ছোট ভাইদেরকেও এ বিষয়ে কিছু বলতে পারিনা । সময় বদলে যাচ্ছে, ধর্ম বা কর্মের দোষ না দিয়ে আমাদের কারনের পিছে ছোঁটার দরকার । ……………………………………………

(পোস্টটি কারো অনুভুতিতে আঘাত দিয়ে থাকলে আমি দুঃখিত )

Level 0

Asif — আপনার পোস্টটি , সময়োপযোগী … ধন্যবাদ

অনেক অনেক ধন্যবাদ ।ভেবে কুলকিনারা পাই না।এই পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

আব্দুল মান্নান আসিফকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি মনে করি এই মহামারী সমাধানে বাবা-মাই সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

বাবা-মার জন্য কিছু টিপস:
* সন্তানকে মোবাইল না দেয়া। যদি মোবাইলের একান্তই প্রয়োজন হয়, তাহলে সাধারণ মানের কোন সেট দিন, যাতে মাল্টিমিডিয়া নেই।

* ভালো বন্ধুর সাথে মিশতে দিন; কারণ বন্ধুরাই এসমস্ত কাজে সহযোগিতা করে থাকে।

* একটু ভালো করে খেয়াল করুন, আপনার আদরের সন্তানটিই সবচেয়ে খারাপ বন্ধু কিনা (অর্থাৎ সে-ই অন্যের সন্তানকে নষ্ট করছে কি না)।

* বাসায় কম্পিউটার থাকলে সন্তানকে কম্পিউটার থেকে যতসম্ভব দূরে রাখুন এবং সময়টা পড়া-শোনায় ব্যয় করতে বলুন।

* কম্পিউটারে ব্রডব্যান্ড নেট ব্যবহার করবেন না; যে কোন মডেম ইউজ করুন এবং আপনার প্রয়োজন শেষে মডেমটি অবশ্যই আপনার হেফাজতে রাখুন।

* আর কম্পিউটার থাকলেও অবশ্যই তা আপনাদের (মা-বাবা) বেড রুম বা ড্রইং রুমে রাখুন; অর্থাৎ খোলামেলা জায়গায় রাখুন যেন মনিটরের স্ক্রীন সবাই দেখতে পায়।

* সন্তানকে অবশ্যই অন্য বন্ধুদের বাসায় যেতে দেয়া যাবে না।

* যদি গ্রুপ স্টাডি বা অন্য কোন জরুরী প্রয়োজনে বন্ধুদের একসাথ হওয়া প্রয়োজন হয় তাহলে আপনার সন্তানকে বলুন যে তার বন্ধুদের আপনার বাসায় নিয়ে আসার জন্য। আর তখন তাদেরকে কোন বদ্ধ রুমে দেবেন না অর্থাৎ কোনমতেই রুমের দরজা বন্ধ হতে দেবেন না।

* ছেলে সন্তানদের মেয়ে বন্ধু থেকে দূরে রাখুন।

* মেয়ে সন্তানদের ছেলে বন্ধু থেকে দূরে রাখুন।

সবশেষে কথা হলো, মা-বাবা যদি সন্তানের ব্যাপারে একটু সচেতন হোন, তাহলে তারা নিজেরাই সন্তানের গাইডের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে পারবেন।

আপনাকে ধন্যবাদ এই রকম সচেতন মুলুক টিউনটি শেয়ার করার জন্য।
এবং অবশ্যই যেই কোন অনাচার থেকে মানুষকে সঠিক পথ দেখাতে একমাত্র ধর্মিয় শিক্ষা যার শুরু হবে নিজ নিজ পরিবার থেকেই।