আজকে মানবজমিনে একটা সংবাদ পড়লাম এটা সবার সাথে শেয়ার করলাম Tuesday, 24 November 2009 | |
নাশরাত চৌধুরী: তিনি প্রিন্স মুসা বা ড. মুসা নামে বিশ্ববিখ্যাত। এ খ্যাতি তার অমিত সম্পদশালী এক ধনকুবের হিসেবে। তবে কেউ জানে না কত তার ধনসম্পদ। হয়তো নিজেও তিনি জানেন না। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ধনী তিনি। যদিও এনবিআর-এর হিসাবে তা ধরা পড়ে না। সামান্য টাকাই তিনি ট্যাক্স দেন। তার জীবন যাপনের কথা ও কাহিনী দেশে ও দেশের বাইরে ছড়িয়ে আছে কিংবদন্তির মতো। লোকের মুখে-মুখেও আছে তার বিচিত্র ও বর্ণাঢ্য জীবনের অনেক চমকপ্রদ চাঞ্চল্যকর ঘটনার বিবরণ। নাম মুসা বিন শমসের। মাঝে মাঝে হৈচৈ সাড়া ফেলেন মিডিয়ায়। সমপ্রতি আবার তোলপাড় তুলেছেন পশ্চিমি জগতে। এ তোলপাড় তার সাত বিলিয়ন ডলার সুইস ব্যাংকে আটকে যাওয়ার কারণে। এ একাউন্ট জব্দ করেছে ব্যাংক কর্তৃপৰই। বলা হয়েছে, মুসা বিন শমসেরের ‘লেনদেন অনিয়মিত’। এ অবস'ায় গত ১১ মাস ধরে কোন টাকা তিনি তুলতে পারছেন না ব্যাংকের ওই একাউন্ট থেকে। টাকা তুলতে না পারার কারণ ১০ লাখ ডলার দামের একটি মন্ট বৱাঙ্ক কলম। ফ্রান্সে তৈরী ওই কলম মাত্র একটিই তৈরি করেছে নির্মাতা কোম্পানি। এর দ্বিতীয়টি নেই কোথাও। ২৪ ক্যারেট স্বর্ণে তৈরী এ কলমটি খচিত ৭৫০০টি হীরকখণ্ড দিয়ে। এক কোটি ডলারের বেশি লেনদেনের কোন ব্যবসায়িক চুক্তিতে মুসা বিন শমসের স্বাৰর করেন ওই কলম দিয়েই, এছাড়া করেন না। সারা বছর কড়া প্রহরায় সেটি থাকে সুইস ব্যাঙ্কের ভল্টে। প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় ওই কলম নিয়ে যাওয়া হয় উদ্দিষ্ট গন্তব্যে, আবার সেভাবে নিয়ে আসা হয় ফেরত। এখন ব্যাংক কর্তৃপৰ ওই কলমটি তুলতেই বাধা দিয়েছে তাকে। আর এ কারণে টাকাও তোলা হয় নি তার। গত জানুয়ারিতে ঘটে এ ঘটনা। এ নিয়ে এখন আইনি লড়াইয়ে যেতে চাইছেন মুসা বিন সশসের। তার ঢাকাস' আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে যথাব্যবস'া নেবেন তার লন্ডন-ভিত্তিক আইনজীবীরা। মামলা কিংবা অন্য কোন ব্যবস'া নেয়ার ৰমতা ন্যস্ত করা রয়েছে তাদের ওপরই। ওই উপদেষ্টা জানান, মুসা বিন শমসের কলম তুলতে যাওয়ার পরই আমরা জানতে পারি কেবল অর্থ নয়- তার গচ্ছিত সকল সম্পদই ফ্রিজ করা হয়েছে। গত ১৪ই নভেম্বর বৃটেনের দ্য উইকলি নিউজ ‘গোল্ডফিঙ্গারস্! ম্যান উইথ দ্য মিডাস টাচ ওন্ট জাস্ট রাইট অফ ফ্রোজেন এসেটস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে। ওই খবরে মুসা বিন শমসেরের বিচিত্র বিলাসবহুল বর্ণাঢ্য জীবনের অনেক বৃত্তান্ত-বিবরণও দেয়া হয়েছে। তিনি যে রোলেক্স ঘড়িটি ব্যবহার করেন তার দাম ৫০ লাখ ডলার। ওই বিশেষ ঘড়ি মাত্র একটিই তৈরি করেছে নির্মাতা কোম্পানি। তার ইউনিক মন্ট ব্রাঙ্ক কলমের দাম ১০ লাখ ডলার। বেশভূষা অঙ্গসজ্জায় তিনি ব্যবহার করেন ১৬ ক্যারেটের একটি চুনি (র্ববি)-যার দাম ১০ লাখ ডলার। আরও একটি চুনি পরেন ৫০ হাজার ডলার দামের। এছাড়া পরেন ৫০ হাজার ডলার দামের একটি হীরা ও এক লাখ ডলার দামের একটি পালৱা (এমেরাল্ড)। পত্রিকাটি লিখেছে, ড. মুসা বিন শমসের বিপুল ধনসম্পদের অধিকারী হয়েছেন আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসা, তেল বাণিজ্য ও কেনাবেচার দালালির মাধ্যমে। ড্যাটকো নামে রয়েছে তার জনশক্তি রপ্তানির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সারা দুনিয়ার নজর তিনি প্রথম কাড়েন ১৯৯৪ সালে। তখন বৃটেনের বিরোধী দলের নেতা (পরে প্রধানমন্ত্রী) টনি বেৱয়ারকে ৫০ লাখ পাউন্ড চাঁদা দিতে চেয়েছিলেন ড. মুসা। কিন' বৈদেশিক চাঁদা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন টনি। পত্রিকাটি আরও লিখেছে, মুসা বিন শমসের সব সময় সবচেয়ে সেরা জিনিস ব্যবহার পছন্দ করেন। প্রতিদিন তিনি গোসল করেন গোলাপ পানিতে। নিত্য দিনের চলাফেরায় অথবা বিশেষ কোন অনুষ্ঠানে অঙ্গসজ্জা ও বেশভূষায় তিনি ৭০ লাখ ডলারের কম মূল্যের গহনা-অলঙ্কার করেন না। আইরিশ ডেইলি মিরর গত ৯ই নভেম্বর ‘ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন পেন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মূসা বিন শমসের একবার তার ইউরোপিয়ান সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহারের জন্য কিলকেনি দুর্গ কিনতে চেয়েছিলেন। পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে, ছয়জন দুর্ধর্ষ দেহরৰী ছাড়া তিনি কোথাও যান না, চলাফেরা করেন না। সুত্র: দৈনিক মানবজমিন |
আমি mohb। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 36 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
প্রিন্স মুসার মত অবৈধ বা হারাম ব্যাবসা বা দালালী যারা করে তাদেরকে ধিক্কার জানাই,আল্লাহর কাছে কেয়ামতের দিন তাদের কঠিন শাস্তির জন্যই প্রার্থনা করি।বাংলাদেশ সরকারের উচিত এইসকল হারামখোর দালালদের বিচারের কাঠগড়ায় এনে মৃত্যুদন্ডের মত সর্বোচ্চ ও কঠিন শাস্তি দেওয়া ।