এড়িয়ে যাবেন না দয়া করে একটু পড়ুন ঃ-
দুই দিন ধইরা আমার জানি কি হইছে, আগে সবকিছু মনযোগ দিয়া করতাম। এখন, কোন কিছু করতে গেলেই খালি বোরিং লাগে । ব্লগ লিখতেও ভাল লাগে নাহ। গত কাল হুমায়ূন আহমেদ এর মরার খবর শুনলাম, কষ্ট লাগলো, বই এর শেলফের দিকে তাকায়ে দেখি উনার এক গাদা বই, গৌরীপুর জংশন, হিমুর রুপালী রাত্রি, হিমু রিমান্ডে, হলুদ হিমু কালো র্যাব, রুপা, সাজঘর, সবাই গেছে বনে, মিছির আলির চশমা, হিমু মামা, কিছু শৈশব, লাল পদ্ম, কৃষ্ণপক্ষ, নন্দিত নরকে, একজন হিমু আর কয়েকটি ঝি ঝি পোকা, আজ হিমুর বিয়ে, এই মেঘ রোদ্র ছায়া, কবি, একটি সাইকেল ও কয়েকটি পাখি, হিমুর মধ্যদুপুর, ভূত ভৌত ভৌতং আরো অনেক ।
হঠাৎ করে বই গুলোর দিকে তাকাতেই চোখে পানি এসে গেল একটা কথা মনে পড়তেই,
আর কোন দিন হিমু গরমের দিনে লাল মোজা আর উলের টুপি পড়ে গায়ে হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে খালি পায়ে রাস্তায় হাটবে নাহ, রুপা মধ্যরাতে হিমুর অপেক্ষায় বসে থাকবে নাহ, মিছির আলি আর ছুটবে নাহ কোন ভৌতিক কাহিনীর পিছনে। আমার শৈশব কেটেছে লোকটার অসংখ্য বই পড়ে । নতুন কোন বই বেরুলেই কিনতাম । আর কোন দিন লোকটার বই বেরুবে নাহ, কথাটা চিন্তা করলেই চোখে পানি এসে পড়ে ।
আমি জানি নাহ, আমার মত বই পাগল কেউ আছে কিনা, থাকলে আজকে তারও একই অবস্থা হবার কথা। হারিয়ে যাওয়া কিছু নয়; তবে হারিয়ে গেলে বিষণ্নতার দোলাচলে দোলে আমাদের সবটুকু, আমাদের হৃদয়। একজন স্রষ্টা, একজন শিল্পী- হয়তো নানা কারণেই আমাদের চারপাশের জগৎটা ছুঁয়ে থাকেন, আমাদের সবটুকু জুড়ে থাকেন- আবার হয়তো থাকেনও না, হয়তো তিনি কোনো কারণে আমাদের অন্তর্গত জগতের মাঝে খেলা করতে গিয়ে আঘাত দেন। জানি না, হয়তো তাই- আমাদের সবটুকুতে জুড়ে থাকতে চেয়েও মাঝে মাঝেই ছিটকে পড়েন শিল্পী- বেলাভূমিতে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের মতোন।
হুমায়ুন আহমেদ চলে গেলেন; তাঁর স্মৃতিগুলো নিঃসঙ্গ আলোকবর্তিকার মতো আমাদের হৃদয়ের চৌধার ঘিরে আছে- যদিও জীবননাট্যের শেষ অঙ্কটা ছিলো বিষাদময়, জাতির অনন্য ইতিহাসের দিকে হৃদয়ের চোখ মেলে তাকাতে পারলেন না তিনি- এই দুঃখ !
আমি জর্জ অলড্রিন ঘোষ (তুষার)। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 25 টি টিউন ও 52 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
amar o onk karap lagca…