সর্ব প্রথম টেকটিউনস কে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এই কারনে, এই রকম একটি প্লাটফর্ম তৈরি করার জন্য। এই প্লাটফর্মে হাজার হাজার টেক প্রেমিদের প্রবেশ ও সবার জ্ঞান শেয়ার করা এক অন্যরকম স্থান। এই সব কথা বলে মূল কথা থেকে সরে যাব না। টেকটিউনসে অনেকে মাইক্রোটিক নিয়ে টিউন করেছে কিন্তু ৫টা বা ৬টা বেশি টিউন করেনি বা অনেকে পুরো সিরিজ শেষ করেনি। তাই আপনাদের পুরনো বিষয় নিয়ে আবার আমি সিরিজ টিউন নিয়ে হাজির হয়েছি।
আমরা যারা নেটওয়ার্ক বা সিস্টেম নিয়ে কাজ করি তারা সবাই কম বেশি মাইক্রোটিক সম্পর্কে জানি। কেননা আমরা অনেকে ইন্টারনেট ব্যবসা (ISP) বা অফিসের নেটওয়ার্ক সাধারণত মাইক্রোটিক দিয়ে করা হয়ে থাকে। বাজারে অন্য অন্য রাউটার থেকে মাইক্রোটিক অনেক সহজলভ্য। আইএসপি(ISP) কোম্পানি গুলো তাদের ইউজারদের খুব সহজে সেবা প্রদান করছে এই মাইক্রোটিক রাউটার দিয়ে।
আমরা যারা এই জগতে নতুন প্রবেশ করতে চাই বা মাত্র প্রবেশ করেছি তাদের জন্য টিউন গুলো কাজে লাগবে। কারন আপনি যদি চিন্তা করে থাকেন আপনি ইন্টারনেট ব্যবসা করবেন অর্থাৎ আইএসপি (ISP) ব্যবসা করবেন তাহলে আপনার জন্য মাইক্রোটিক সম্পর্কে জানা অতি জরুরি। আবার অনেকে নিজের অফিসের নেটওয়ার্ক সেটআপের কাজে মাইক্রোটিক ব্যবহার করছে। মাইক্রোটিক রাউটারের মাধ্যমে আপনি মাল্টিপল কাজ করতে পারবেন। আপনি হয়ত চিন্তা করছেন বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের রাউটার থাকতে এই রাউটার কেন? এই জন্য প্রথমে জেনে নেই মাইক্রোটিক কি?
মাইক্রোটিক কি?
মাইক্রোটিক হল একটি রাউটার ব্র্যান্ডের নাম। ১৯৯৬ সালে লাটভিয়ান কোম্পানি এই রাউটার ও ওয়ারলেস সিস্টেম আবিষ্কার করেন। যা আজ বিশ্ব ব্যাপি আইএসপি কোম্পানি গুলো ব্যবহার করে আচ্ছে। মাইক্রোটিক রাউটার ওএস হল একটি অপারেটিং সিস্টেম যা মাইক্রোটিক রাউটার বোর্ডের (মাইক্রোটিক হার্ডওয়্যার) মধ্যে ইন্সটল করা হয়েছে। যাকে আমরা মাইক্রোটিক রাউটার বলে থাকি।
আর মাইক্রোটিক ওএস একটি লিনাক্স কার্নেল (V3.3.5) বেজ অপারেটিং সিস্টেম। আপনি চাইলে কমান্ড মুডে বা গ্রাফিক্যাল মুডে কাজ করতে পারেন। গ্রাফিক্যাল মুডে কাজ করতে হলে আপনাকে Winbox নামে একটি সফটওয়্যার রয়েছে। আপনি চাইল Winbox সফটওয়্যার ছাড়াও গ্রাফিক্যাল মুডে কাজ করতে পারেন যা আমরা অন্য রাউটারের মত একটি ল্যান্ড পেজের মাধ্যমে।
মাইক্রোটিক রাউটারের কি কি সুবিধাঃ
মাইক্রোটিক দামে কম ও সহজ ফাংশন হওয়ার কারনে অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। শুধু তাই নয় অন্য দামি রাউটার দিয়ে যে কাজ করা যায় তার প্রায় সব কাজ এই রাউটার দিয়ে করা যায়। মূলত কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে?
এখন আমরা কি কি বিষয়ে শিখতে পারি বা কি কি বিষয়ে টিউন করা হবে তার আলোচনা করি। আপনি যদি একদম নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য একটি নোটিশ রয়েছে। আপনি যদি আইপি (Internet Protocol-IP) সম্পর্কে না জানেন তাহলে এই পথে পা বাড়িয়ে সুবিধা করতে পারবেন না। যখন আমরা কনফিগারেশন করব তখন আমরা IP, Network Mask, Gateway, DNS এই বিষয়ে কথা বলব কিন্তু আপনি বুঝতে পারবেন না। তাই প্রথমে আপনি এই বিষয় গুলো পড়ুন ও জানুন। আর যারা নেটওয়ার্ক বা সিস্টেমে কাজ করেন তাদের কিছু বলতে হবে না। অর্থাৎ মাইক্রোটিক শিখতে হলে এই প্রি-রিকুয়ারমেন্ট মেনে নিতে হবে।
আসুন আমরা জেনে নেই কি কি শিখবঃ
১# আইএসপি (ISP) আপনাকে Static IP, Subnet Mask এবং Gateway বলে দিয়েছে। আপনি কিভাবে WAN কনফিগারেশন করবেন?
২# আইএসপি (ISP) বলেছে IP অটো পাবেন (DHCP) থেকে, সেক্ষেত্রে কিভাবে WAN কনফিগারেশন করবেন >
৩# আইএসপি (ISP) আপনাকে PPPoE Username এবং Password দিয়েছে, আপনি কিভাবে WAN কনফিগারেশন করবেন?
৪# কিভাবে ল্যান (LAN-Local Area Network) কনফিগার করলে satic IP বিতরণ করা যায়?
৫# কিভাবে ল্যান কনফিগার করলে DHCP সার্ভার থেকে অটো IP বিতারন করা যায়?
৬# কিভাবে ল্যান কনফিগার করলে PPPoE ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দেয়া যায়?
৭# কিভাবে ল্যান কনফিগার করলে ক্লাইন্টকে ডেটার পরিমান ও সময় নির্ধারণ করে দেয়া যায়?
৮# কিভাবে ক্লাইন্ট ব্র্যান্ডউইথ কন্ট্রোল করা যায় (Static IP, DHCP IP, PPPoE)?
৯# কিভাবে ডেডিকেটেড এবং শেয়ার ব্র্যান্ডউইথ কন্ট্রোল করা যায়?
১০# কিভাবে ডে-নাইট আলাদা প্যাকেজ করা যায়?
১১# কিভাবে সকল ব্র্যান্ডউইথ সব লাইভ ইউজারের মধ্যে সম বণ্টন করা যায়?
১২# কিভাবে ক্লাইন্টের ব্যবহার করা ব্র্যান্ডউইথ গ্রাফ আকারে দেখা যায়?
১৩# কিভাবে Dedicate/Vip ক্লাইন্ট কে অধিকতর পাইওরিটি দেয়া যায়?
১৪# কিভাবে ক্লাইন্টের ম্যাক অ্যাড্রেস বাইন্ড করলে ক্লাইন্ট তার আইপি পরিবর্তন করতে পারবেন না।
১৫# কিভাবে আপনি Winbox লগইন এর জন্য Read/Write/Full Power ইউজার তৈরি করবেন?
১৬# কিভাবে ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড দিয়ে কনফিগার করে আইপি অটো বিতরণ করা যায়?
১৭# কিভাবে কনফিগারেশন ব্যাকআপ রাখা ও রিষ্টর করা যায়?
১৮# কিভাবে ক্লাইন্টের লাইন ব্লক করা যায়?
১৯# কিভাবে ভাইরাস পোর্ট বন্ধ করা যায়? কিভাবে Real IP ব্লাক লিস্ট করা যায়?
২০# কিভাবে আইএসপি থেকে ভিন্ন ভিন্ন Vlan এ Internet, Youtube, FTP এবং BDiX দেয়া যায়?
২১# কিভাবে কিছু সাইটে IP auto capture করা যায়? এবং ব্র্যান্ডউইথ বাড়িয়ে দেয়া যায় যাতে করে ফেসবুক, উইন্ডোজ আপডেট, অ্যান্টিভাইরাস আপডেট, ইত্যাদি উপর কমিয়ে ও বাড়িয়ে দেয়া যায়?
২২# কিভাবে PPPoE ইউজারদের শেয়ার ব্র্যান্ডউইথ দেয়া যায়?
২৩# কিভাবে নাইট ব্যান্ডউইথ ওপেন করে দেয়া যায়?
২৪# কিভাবে ক্লাইন্ট ব্রাউজার লগ সংরক্ষণ করা যায়?
২৫# কিভাবে মেয়াদ সহ প্রিপেইড কার্ড পিন জেনারেট করা যায়?
২৬# কিভাবে VPN কনফিগার করা যায়?
২৭# কিভাবে BGP কনফিগার করা যায়?
২৮# কিভাবে VPN টানেল মাধ্যমে হেড অফিসের সাথে ব্রাঞ্চ অফিসের Layer 3 Data Connection কনফিগার করবেন?
২৯# কিভাবে Failover /Link Redundancy করফিগার করবেন?
৩০# কিভাবে শিডিউল তৈরি করে অটো ব্যাকআপ নিয়ে FTP সাইটে পাঠানো যায়?
৩১# কিভাবে আপনি মাইক্রোটিকে ট্রাবলশুট করবেন?
৩২# মাইক্রোটিক ইন্সটল ও সিকিউর সেটিং
আরও অনেক রকম টপিক রয়েছে যা আমরা টিউনের মধ্যে আলোচনা করব। এই গুলো সাথে সাথে নতুন নতুন টপিক টিউন করব। আশা করি আপনারা সাথে থাকবেন। আপনাদের কাছে সাজেশন চাচ্ছি যে আমি কি টেক্সট টিউনের পাশা পাশি ভিডিও টিউন করব কি না?
আশাকরি আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। আজ এই পর্যন্ত। আমার টিউন ভালো লেগে থাকলে লাইক, শেয়ার, টিউমেন্ট করতে ভুলবেন না। ভালো থাকুন ও ভালো রাখুন। আল্লাহ্ হাফেজ।
আমি মোনারুল ইসলাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 4 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।