কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্কিং মৌলিক সংজ্ঞা

  বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

সবাইকে  স্বাগতম জানায় ইসলামি সার্বজনীন সম্ভাষণে আসসালামু আলাইকুম অর্থাৎ মহান প্রতিপালকের রহমত আর শান্তি সবার উপর বর্ষিত হোক। আজ ভূমিকা পর্ব এখানে আমি আলোচনা করার চেষ্টা করব কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্কিং মৌলিক সংজ্ঞা | আর একটি কথা কম্পিউটার নাম মহাসাগরে বুকে আমার এই প্রচেষ্টা সামান্য একবিন্দু পানি আমি জানি। তবুও ভুল গুলি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল পাঠক সমাজে।

ডায়ালগ কন্ড্রোলঃ- যখন কোন ডিভাইস সংযোগ গড়তে চায় তখন সেশন লেয়ার জেনে নেয় কোন ডিভাইস এই কমোনিকেশন এই অংশ নেবে এবং কী পরিমান ডাটা এক সাথে পাঠাবে, কতক্ষন পরপর পাঠাবে।

তিন ধরণের ডায়ালগ কন্ড্রোল ব্যবহার হয়।

(১) সিম্পলেক্স =  কেবলমাত্র ডাটা একদিকে প্রবাহিত হতে পারে।

(২) হাফ ডুপ্লেকক্স =  একদিকে ডাটা প্রবাহ হওয়া শেষ  হলে অন্য দিকে প্রবাহিত হয়।

(৩)  ফুল ডুপ্লেকক্স =  একই সাথে উভয় দিকে ডাটা প্রবাহ হয়।

  • এনক্যাপ্সুলেশন:- ডাটার সাথে হেডার (হোডার) যোগ করার পদ্ধতিকে এনক্যাপ্সুলেশন বলে। একে কখনও কখনও অরাপিপিং বলে।
  • ASCII= আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড কোড ফর ইন ফরমেশন ইন্টারচেঞ্জ। এতে ৯৬ টি অক্ষর ও ডিজিট রয়েছে, সেই সাথে ৩২ টি নোটপ্রিন্ট কেরেক্টার আছে, ssc mad-roll-2017-16222
  • EBCDIC:-  ইভিএম  মেইনফ্রেম কম্পিউটার এর ক্ষেত্রে কম্পিউটার ফরমেট হলো EBCDIC এক্সটেন্ড বাইনারি কোডেড ডিসিম্যাল ইন্টারচেঞ্জ কোড। এতে আছে ২৫৬ টি বিশেষ ক্যারেক্টর।
  • ডায়ালগ সেপারেশনঃ- মেসেজ সেন্ট করার সাথে সাথে সেশন লেয়ার তাঁর সাথে মার্কারও  যোগ হয়। এর ফলে কোন মেসেজ ঠিকমতো গ্রহীতা ডিভাইস না পৌছালে উৎস ডিভাইস বুঝাতে পারে কোনখান থেকে রিট্রান্সমিট করতে হবে। মেসেজ এর সাথে মার্কার যোগ করা ও রিট্রান্সমিট করা এই পদ্ধতিকে বলা হয় ডায়ালগ সেপারেশন।
  • রাউটিং:- এক নেটওয়ার্ক থেকে অন্য নেটওয়ার্ক ডাটা পাঠানোর প্রক্রিয়াকে বলা হয় রাউটিং।
  • ইন্টারনেটঃ ইন্টারনেট শব্দটিকে বিস্তারিত অর্থে বলতে গেলে বলা যায় ইন্টারকান্টেড নেটওয়ার্ক।
  • নেটওয়ার্কঃ দুই বা ততোধিক কম্পিউটার ক্যাবল স্যাটা লাইট অথবা ক্যবলহীনভাবে সমন্বয় করার প্রক্রিয়াকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলে।
  • ব্যান্ড উইড্থঃ- ডাটা স্তানান্তরের হারকে ডাটা ট্রান্সমিশন স্পিড বা ডাটা এর গতি বলে। এই ডাটা ট্রান্সমিশন স্পিড কে ব্যান্ড উইড্থ বলে। ব্যান্ড উইড্থ হিসাব করা হয় বিপিএস (বিট পার সেকেন্ড) দিয়ে। অথৎ  প্রতি সেকেন্ড যে পরিমান বিট ট্রন্সমিট হয় তাঁকে বিটিএস বা ব্যান্ড উইড্থ বলা চলে।

ডাটা ট্রান্সমিট এর স্পিড এর উপর নির্ভর করে ডাটা কমিউনিকেশন গতিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়।

(১) ন্যারো ব্যান্ড

(২) বয়েস ব্যান্ড

(৩) ব্রড ব্যান্ড

  • এসিনক্রোনাস ডাটা ট্রান্সমিশনঃ- যে ডাটা ট্রান্সমিশন প্রদ্ধতিতে প্রেরক হতে ডাটা গ্রাহকে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রন্সমিশন করে তাঁকে এসিনক্রোনাস বলে।

এখানে প্রেরক ও প্রাপক যেকোন সময় ডাটা গ্রহণ করতে পারে ও ট্রান্সমিট করতে পারে ডাটা ট্রান্সমিট করতে প্রেরকে কোন প্রায়মারি স্টুরেজ ডিভাইজ ইউজ করতে হয় না। এখানে প্রতিটি ক্যারেক্টরের একটি স্টার্ট বিট থাকে  এবং শেষেও একটি বা দুইটি স্টপ বিট থাকে।

Exam:- -

(১) কীবোর্ড টু কম্পিউটার

(২) কম্পিউটার টু প্রিন্টার

(৩) কম্পিউটার টু পান্স কার্ড রিডার

(৪) পান্স কার্ড রিডার টু কম্পিউটার

  • সিনক্রোনাসঃ যে ডাটা ট্রান্সমিশন সিস্টেম এ প্রেরক প্রথমে ডাটা কোন প্রায়মারি স্টুরেজ এর স্টুর করে তারপর ডাটা কে ব্লক আকারে ভাগ করে এবং প্রতিবার একটি করে ব্লক পাঠায় তাঁকে সিনক্রোনাস ডাটা ট্রান্সিমিশন বলে।

বৈশিষ্ট্যঃ-

(১) প্রতি ব্লক এ ৮০ থেকে ১৩২ ক্যারেক্টার থাকে।

(২)  হেডার ইনফরমেশন ও টুইটার ইনফোরমেশন সিগনাল থাকে।

(৩) আইসোক্রোনাসঃ- সিনক্রোনাস এর আপডেট ভার্সন হচ্ছে আইসোক্রোনাস।

  • ইউনিকেস্ট মোডঃ যে ডাটা ট্রান্সমিট সিস্টেম এ একজন প্রেরক থেকে ডাটা এর একজন মাত্র প্রাপক থাকবে তাকে ইউনিকেস্ট বলে।
  • ব্রোডকেস্ট মোডঃ- যে ডাটা ট্রান্সমিট পদ্ধতিতে নেটওয়ার্ক এর কোন একটি নোড থেকে ডাটা প্রেরণ করা হলে তা নেটওয়ার্কের অন্তর ভূক্ত সকল নোড গ্রহণ করতে পারে তাঁকে ব্রোডকেস্ট ট্রান্সমিট মোড বলে।
  • মাল্টিকেস্ট মোডঃ এই পদ্ধতিতে নেটওয়ার্ক এর একটি নোড থেকে প্রেরিত ডাটা নেটওয়ার্ক এর  অন্তরভূক্ত সকল নোড গ্রহণ করতে পারবেনা শুধু মাত্র নিদিষ্ট একটি গ্রোপ এর সকল সদস্য গ্রহণ করতে পারবে।
  • ক্যারিয়ার সিন্সঃ ফ্রেম পাঠানোর আগে মিডিয়ার কোন সিগন্যাল আছে কি না এটি দেখে নেওয়া হলো ক্যারিয়ার সিন্স।
  • কলিসিওন ডিটেকশনঃ  যদি ভূলক্রমে কোনো দুটি কম্পিউটার একই সাথে মিডিয়া সিগন্যাল পাঠায় তাহলে সেই দুই সিগন্যালে সংঘর্ষ অনিবার্য। এরকম সংঘর্ষ দেখা দিলে সিগন্যাল গুলি উৎসে ফিরে যায়। তখন একটি বিশেষ এলগরিদম এর উপর ভিত্তি করে সেই কম্পিউটার গুলি এক বিশেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে। সেই সময় অতিক্রম হয়ে গেলে মিডিয়া অথবা সিগন্যাল পাঠানোর চেষ্টা করে একে কলিসিওন ডিটেকশন বলে। ১৫ বার পরে টাইম আউট হয়ে যায়।
  •  কলিসিওন ডোমেইনঃ- কোন নেটওয়ার্ক যেসব হোস্ট কলিসিওন অংশ নেয় বা অংশ নেওয়ার সম্ভবনা থাকে সেগুলি নিয়েই হলো কলিসিওন ডোমেইন।

আজ এই পর্যন্ত, সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে কষ্ট করে সময় নষ্ট করে টিউটোরিয়ালটি পড়ার জন্য।

Read More

Level 1

আমি রবিউল ইসলাম। admin, freelancer, dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 14 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

I'm a professional Web-designer ,WordPress Developer & also an MCSA ( Microsoft Certified Solutions Associate ).


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস