বিশ্বের প্রথম সবচেয়ে বড় বাংলা টেকনোলজি সৌশাল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনসে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমি টেকটিউনার রিদম দত্ত
দৈনন্দিন জীবনে আমরা নেটওয়ার্ক কথাটি শুনে থাকি। নেটওয়ার্ক হলো এমন এক সিস্টেম যেখানে সবাই মিলে তথ্য শেয়ার করা যায় বা একসাথে কাজ করা যায় যেমন ধরা যাক ডাক বিভাগ সারাদেশ ব্যাপী চিঠি বিলি করে থাকে।এর জন্য ডাক বিভাগের আছে সারাদেশব্যাপী নেটওয়ার্ক। তাদের এ নেটওয়ার্কে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন অফিস রয়েছে রয়েছে কিছু নিয়ম কানুন সেই নিয়মকানুন মেনেই পুরো ডাক বিভাগ চলছে। এখানে তাদের নেটওয়ার্ক প্রতিটি অংশ একসাথে কাজ করছে। ডাকবিভাগের যদি একধরনের নেটওয়ার্ক না থাকে তাহলে তারা কাজ করতে পারবে না। শুদু ডাক বিভাগ কেন আমার যদি কুরিয়ার সার্ভিস এর কথা চিন্তা করি তাহলে দেখতে পায় যে তাদের প্রত্যেকটি জেলায় কিছু সংখ্যক অফিস আছে তারা একে অনন্যার সাথে সংযুক্ত। সংযুক্ত থাকার কারনে তারা এক জেলা থেকে আরেক জেলায় জিনিস পত্র আদান -প্রদান করতে পারছে।
কম্পিউটার এর ক্ষেত্রেও এধরনের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা যায়। একটি কম্পিউটার যখন এক বা একাধিক কম্পিউটার এর সাথে সংযুক্ত হয়ে তথ্য আদান- প্রধান করে তখন বলা যায় সেই কম্পিউটারটি নেটওয়ার্কের অংশ।নেটওয়ার্ক করার জন্য নুন্যতম দুটি কম্পিউটার দরকার পরবে। এসব কম্পিউটার পরস্পর তথ্য আদান - প্রদানের জন্য বিশেষভাবে বিশেষ ডিভাইসের মাধ্যমে একটি আরেএকটির সাথে যুক্ত হয়। এ ছাড়া এক কম্পিউটার অন্য কম্পিউটারের সাথে কিভাবে যোগাযোগ গড়বে, কি হবে তাদের ভাষা ইত্যাদি নিয়েমকানুন আগেই নির্দিষ্ট করা থাকে।
নিচের তথ্যগুলো পেতে আমাকে ব্লগ,উইকিপিডিয়া,গুগল,ইউটিউব সাহায্য করেছে।
আজকের টিউনে আমি আপনাদের সাথে নেটওয়ার্কিং এর যে বিষয় গুলো শেয়ার করবো তা নিচে নিন্মে দেয়া হলঃ
আমাদের দৈনন্দিন কাজসমূহকে সহজ করার জন্যই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়। দুটি কম্পিউটারকে যখন নেটওয়ার্কে নিয়ে আসা হয় তখন আমরা প্রধান যে সুবিধা পাই তা হলো দুইটি কম্পিউটার পরস্পরের রিসোর্স শেয়ার করতে পারে। রিসোর্স বলতে এখানে তথ্য এবং হার্ডওয়্যার ডিভাইস দুটোই বোঝায়। এক কম্পিউটারে রক্ষিত ডাটা বা তথ্য অন্য কম্পিউটার থেকে দেখা যেতে পারে যদি সেই তথ্য শেয়ার করা থাকে এবং উপযুক্ত পারমিশন দেয়া হয়।। তেমনি এক কম্পিউটারের সাথে যুক্ত হার্ডওয়্যার ডিভাইস,যেমন - প্রিন্টার,সিডিরম ড্রাইভ, হার্ডডিস্ক স্পেস,ইত্যাদি অন্য কম্পিউটারের সাথে শেয়ার করা যেতে পারে।তার মানে আপনার নেটওয়ার্কে একটি প্রিন্টার ত্থাকলে নেটওয়াকের সব মেশিন সেটি ব্যবহার করতে পারবে। তেমনি সিডিরম ড্রাইভ থাকলে অন্য কম্পিউটার থেকেও টা ব্যবহার করতে পারবে । নেটওয়ার্ককিং এর প্রদান সুবিধা এটি,এবং এর জন্যই লোকে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। কেবল হার্ডডিস্ক কিংবা ডিভাইস শেয়ার নয়। মুল গুরুত্ব দেয়া হয় তথ্য শেয়ারইং এর ওপর।
নেটওয়ার্ক ব্যবহার আগে এক কম্পিউটারের সাথে আরেক কম্পিউটারের তথ্য বিনিময়ের তেমন সুবিধা ছিল না। যেমন ধরা যাক আপনি একটি ওয়ার্ড ডকুমেন্ট তৈরি করলেন কোনো কোন একটি কম্পিউটারে যার সাথে প্রিন্টার সংযুক্ত নেই। এখন সেই ডকুমেন্টকে প্রিন্ট দিতে চাইলে এমন কম্পিউটারে যেতে হবে যেখানে প্রিন্টার যুক্ত আছে। সেই ফাইলটি ওই প্রিন্টারযুক্ত মেশিনে নেয়ার জন্য সাধারনত ফ্লপি ডিস্ক {এইখানে আরও একটি কথা বলে নি সে সময় কিন্তু পটেবল হার্ডডিস্ক বা পেনড্রাইভ এর প্রচলন ছিল না}ব্যবহার করা হয়। প্রথম কম্পিউটার থেকে সেই ফাইল ফ্লপিতে কপি করে দ্বিতীয় কম্পিউটারে নিতে হবে এবং সেখান থেকে প্রিন্ট দিতে হবে। এরকম সবাই যদি প্রিন্ট দিতে চায় তাহলে তা খুবই অসুবিধাজনক পরিস্থিতির দিকে মোড় নেবে। এভাবে ফ্লপি ব্যবহার করে এক কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটারে যাওয়ার পদ্ধতিকে বাঙ্গ করে বলা স্নিকারনেট (Sneakernet)। এই স্নিকারনেটের অসুবিধা থেকে বাঁচার জন্য অনেক সময় প্রত্যেক কম্পিউটারের সাথে ভিন্নভাবে ডিভাইস দেয়া হতো। এইটি ছিল ব্যয়বহুল।
নেটওয়ার্ক জগতে প্রযুক্তি খুব দ্রত পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলা সত্যিই দুরহ হয়ে পড়ে। তবে এইসব পরিবর্তন সম্পর্কে প্রতিটি নেটওয়ার্ক পেশাজীবির সজাগ থাকা দরকার।
প্রথম দিকের নেটওয়ার্ক ছিল মাইনফ্রেম ভিওিক। কম্পিউটারের প্রথম দিকে মেইনফ্রেম কম্পিউটার সাথে যুক্ত থাকত বিভিন্ন টার্মিনালল। এই মেইনফ্রেমের সাথে যুক্ত হওয়ার লাইন অনেকসময় বেশ দীর্ঘ হতো,অনেক দুর থেকে সেসব মেইনফ্রেমে যুক্ত হওয়া যেত।দুটি নেটওয়ার্ক থেকে আজকের এই আধুনিক নেটওয়ার্কের জন্ম প্রথম দিকের একটি নেটওয়ার্ক হুল সেমি অটোমেটিক গ্রাউন্ড এনভায়ারনমেন্ট (SAGE) যা যুক্তরাজ্য এবং কানাডার বিভিন্ন রাডার ষ্টেশনের সরকারি কম্পিউটারসমূহকে যুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।এইটি করা হয়েছিল ১৯৫৮ সালে। এর পর ১৯৬০ সালে ম্যাসাচুসেটস ইন্সিটিউট আব টেকনোলজি'র গবেষকরা আইবিএম মেইনফেম কম্পিউটার কমপিটিবল টাইম শেয়ারিইং সিস্টেম (CTSS) পদ্ধটি উদ্ভাবন করলেন।এই টাইম শেয়ারিং পদ্ধতির ফলে একই মেইনফ্রেম কম্পিউটারে একাধিক ব্যবহারকারি একাধিক কাজ একই সময়ে করতে সক্ষম হলো। এর পর সাথে যুক্ত হলো মডেম যাতে ব্যবহারকারিরা ডায়াল করে এতে যুক্ত হতে পারে।।
বাণিজ্যিক ভিওিতে প্রথম ডায়াল আপ সার্ভিস ব্যবহার করা হয়েছিল আমেরিকান এয়ারলাইন্সের নেটওয়ার্কে ১৯৬৪ সালে।আইবিএম এর রিজাভেশন সিস্টেম ৬৫টি শহরের ২০০০ কম্পিউটারকে যুক্ত করেছিল কেবল দুটি আইবিএম মেইনফ্রেম ও টেলিফোন লাইন ব্যবহার করে। এখানে প্রতিটি শহরের টার্মিনালের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা রিজাভেশন সম্পর্কিত অনুসন্ধান চালাতে পারতো।বিভিন্ন কোয়েরি প্রসেস করা হতো কেন্দ্রের মেইনফ্রেম কম্পিউটারে। যেকোন ফ্লাইট সম্পর্কিত তথ্য তিন সেকেন্ড মধ্যে পাওয়া যেত এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে।
ষাট ও সওুর দশকের নেটওয়ার্কসমূহ মেইনফ্রেম ভিওিক হওয়ায় এতে সকল প্রসেসিং চলত মেইনফ্রেমে। এর সাথে বিভিন্ন স্থান থেকে টার্মিনাল যোগ করা হতো। এরপর এলো ইথারনেটে। হাভাড ইউনিভাসিটিটির ছাত্র রবার্ট মেটাকাফ তার পিএসডি থিসিসের মধ্যে প্রথম ইথারনেট নেটওয়ার্ক ALOHANET। আজকের দিনে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেটওয়ার্ক হলো এই ইথারনেট (Ethernet)।
সব ইউনিভার্সিটি ও প্রায়ভেট কোম্পানিগুলি যখন মেইনফ্রেমের মাধ্যমে তাদের নেটওয়ার্ককে বিস্তৃত করার চেষ্টায় রত সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ নিজস্ব নেটওয়ার্ক গড়ার মনোনিবেশ করে। ষাটের দশকের প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি (ARPA) নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয় যার উদ্দেশ্য ছিল এমন এক কম্পিউটার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা যাতে যুদ্ধের সময় ও এক সামরিক ঘাঁটি থেকে আরেক সামরিক ঘাঁটির সাথে যোগাযোগ অবিচ্ছিন্ন থাকে এই নেটওয়ার্কে বলা হয় অরপানেট। বছর দশেকের মধ্যে এটি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে যুক্ত করে ফেলে এবং ১৯৭১ সালের মধ্যে এর ২৩টি নোড প্রতিষ্ঠিত হয়। এসময় এ নেটওয়ার্কের প্রধান ব্যবহার ছিল ইলেকট্রনিক মেইল আদান -প্রদান।
আশি দশকে আরপানেট বৃদ্ধি পেতে থাকল এবং ১৯৮৯ সালে এসে এটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল। জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হল ইন্টারনেট, আর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জন্য রইল ডারপানেট। ইন্টারনেটের জন্ম এই আরপানেট থেকেই।
ইন্টারনেট আমাদের দেখিয়েছে কিভাবে বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ককে যুক্ত করা যায় এবং গোটাবিশ্বকে একই নেটওয়ার্কে অন্তভুক্ত করা যায়। ইন্টারনেট কেবল একটি নেটওয়ার্ক নয়।এটি হল নেটওয়ার্কসমূহের নেটওয়ার্ক পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক হলো এই ইন্টারনেট। ইন্টারনেট ব্যাপক বিস্তৃতিতে এটি নিশ্চিত যে ভবিষ্যৎতে প্রতিটি ডিভাইস এ নেটওয়ার্কএ ডিভাইসে এ নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে। ইন্টারনেট সম্পর্কে আরও জানতে আমার একটি টিউন আছে সেটি এই লিংক এ গিয়ে দেখে আসতে পারেন
নেটওয়ার্ক কাজ ও গঠনের ধরন অনুসারে নেটওয়ার্ককে প্রধান তিনভাগে ভাগ করা যেতে পারে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা Lan -ই ব্যবহার করে থাকি। ছোট - মাঝারি অফিস - আদালত ও ব্যবসা ও বাণিজ্য এ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য থেকে ডিভাইসসমূহের পস্পরের মধ্যে তথ্য এবং রিসোর্স শেয়ার করা । সহজ ভাবে বলতে গেলে একই ঘরে বা কাছাকাছি ঘরে একাধিক কম্পিউটারকে নেটওয়ার্ক কার্ড এবং কেবল এর মাধ্যমে কানেক্টইং এর আওতায় আনা বা নেটওয়ার্ক করাকেই Local Area Network (Lan)বলে।এতে করে একটি কম্পিউটারকে অন্য একটি কম্পিউটার এর হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার রিসোর্স শেয়ার করতে পারে। হার্ডওয়্যারের মধ্যে যেমন - প্রিন্টার, সিডি রম এবং হার্ডডিস্ক ড্রাইভ শেয়ার করতে পারে। আবার সফটওয়্যার এর মধ্যে অ্যাপ্লিকেশান,উটিলিটি এবং ফাইল সমূহ।
নেটওয়ার্ক এর বড় সুবিধা এই যে, একই রিসোর্স একই সময়ে দুই তিনজন ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া লেন এ দামি যন্ত্র-পাতি যেমন Large Hard-disk এবং Laser Printer share করা যেতে পারে।
লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলোঃ
মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক বা Man একাধিক লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা লেন এর সমন্বয়ে গড়ে ওঠে। এক্ষেত্রে ল্যান সমূহ থাকে একই শহরে। এধরনের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বেশ উচ্চগতিতে বিভিন্ন নেটওয়ার্ক তাদের তথ্য শেয়ার করতে পারে। বিভিন্ন সরকারি অফিস এর প্রধান ব্যবহারকারি। যেমন ধরা যাক ঢাকা শহরের প্রতিটি পুলিশ ষ্টেশনের নেটওয়ার্ককে নিয়ে গড়ে তোলা হলো একটি নেটওয়ার্ক। তাহলে এটি হবে মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক বা MAN । ওয়াড এরিয়া নেটওয়ার্ক থেকে এর পাথক্য হলো এই যে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কে গতি কম থাকে, কিন্তু মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্কে আমরা বেশ উচ্চগতি পেতে পারি। এটি বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন অফিসকে যুক্ত করার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। এবং ৫০ থেকে ৭৫ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।
মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্কের বৈশিষ্টসমূহ হলোঃ
বিস্তৃত ভৌগলিক এলাকায় অবিস্থত একাধিক LaN বা Man কে নিয়ে গড়ে ওঠে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক। এ ধরনের নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে টেলিফোন কোম্পানি ক্যাবল ব্যবহার করে। সে কারনে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক ধীরগতির হয়ে থাকে। বিস্তৃত এলাকা নিয়ে গড়ে ওঠে বলে বিভিন্ন ল্যান ও ম্যাকে সংযুক্ত করার জন্য বিশেষ ডিভাইস ও টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়। ল্যানের চেয়ে Wan গঠনের পরিকল্পনা সত্যি বেশ কঠিন। এটি ম্যানেজ করা ও কঠিন। যদি গোটা বিস্বজুড়ে কোন LAN গড়ার দরকার পড়ে তাহলে অনেক ক্ষেএেই স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়। একটি কথা বলে রাখি {**** বিভিন্ন দুরবতী শহরে অবিস্থত ল্যানকে যোগ করার জন্য স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়। ****}
বেশিরভাগ ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক ৫৬ কেবিপিএস থেকে ১.৫৪৪ এমবিপিএস গতিতে কাজ করে। এতে সবোচ্চ গতি হতে পারে ৪৫ এম বিপিএস। ওয়ানকে ধীরগতির বলা হলেও ধীরে ধীরে এর পরিবর্তন হচ্ছে।
ওয়াড এরিয়া নেটওয়ার্কের বৈশিষ্ট্যসমূহ হলোঃ
যদি ও ওপরে নেটওয়ার্কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে তবে এই গুলো হল নেটওয়ার্ক এর বিশেষ অংশ তবে বর্তমানে নেটওয়ার্কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে বললে বোকামি হবে।
আমারা বর্তমান সময়ের দিকে একটু নজর দিলে দিলে দেখতে পায় আমাদের চার পাশে LAN,WAN,MAN ছাড়া আরও ৫ ধরনের নেটওয়ার্ক আছে তা হলঃ
PAN হল একটি ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক অর্থাৎ একজন ব্যক্তি ঘরোয়া ভাবে ক্ষুদ্র পরিসরে যে নেটওয়ার্ক স্থাপন করে তাই হল পার্সোনাল নেটওয়ার্ক বা PAN.
কম্পিউটারের সাথে মোবাইল ফোন ডাটা ক্যাবল এর মাধ্যমে সংযুক্ত, টেলিফোন বা দুটি কম্পিউটার এর সাথে ল্যা ন মাধ্যমে ডাটা আদান প্রদান করা বা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসের মধ্যকার নেটওয়ার্ক একধরনের পারসোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক। শুধু কম্পিউটার নয়, দুইটি মোবাইল ফোনের মাঝে ব্লুটুথ দিয়ে ডাটা ট্রান্সফারের সময় যে নেটওয়ার্ক গঠিত হয় তাও পারসোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (PAN)। তাই ক্ষুদ্র পরিসরে সীমাবদ্ধ একাধিক ডিজিটাল ডিভাইসের মধ্যকার নেটওয়ার্ককেই পারসোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বলা যাবে।
পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এর আরও দুটি সুন্দর উদাহরণ হল ডাটা ক্যাবল ধরুন আপনি ডাটা ক্যাবল দিয়ে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে ডাটা কালেক্ট করছেন এটি একটি পার্সোনাল নেটওয়ার্ক এর বৈশিষ্ট্য।পারসোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক তারযুক্ত এবং তারবিহীন হতে পারে।তারবিহীন নেটওয়ার্ক হলে তাকে ওয়্যারলেস পারসোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WPAN) বলা হয়ে থাকে।ব্লুটুথ (Bluetooth) এবং ওয়াইফাই এবং ইনফ্রারেড ডাটা এসোসিয়েশন (IrDA) ওয়্যারলেস পারসোনাল এরিয়ার নেটওয়ার্কের একটি উদাহরণ।
SAN এর ফুল meaning হল SAN-Storage Area Network । এইটিকে বাংলায় স্টোরেজ এরিয়া নেটওয়ার্ক বলা হয়ে থা কে। এইটই এক ধরনের ডেডিকেটেড নেটওয়ার্ক, যা ল্যান (লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক) এবং ওয়ান (ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক) থেকে অনেকটা আলাদা। স্যান হচ্ছে একটি উচ্চগতির সাব-নেটওয়ার্ক, যা বিভিন্ন স্টোরেজ ডিভাইসকে যুক্ত করে। স্টোরেজ ডিভাইস হচ্ছে একটি যন্ত্র, যা ডাটা স্টোর করে। এটি এক বা একাধিক ডিস্ক নিয়ে গঠিত হতে পারে।এটি বিভিন্ন সার্ভারের সাথে সংযুক্ত ডাটা স্টোরেজ রিসোর্সকে যুক্ত করে শুধু স্টোরেজ ডিভাইসের একটি পৃথক নেটওয়ার্ক তৈরি করে। স্যানের জন্য বিশেষ ধরনের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়। স্যান হার্ডওয়্যার এমনভাবে তৈরি, যা বিভিন্ন স্টোরেজ মিডিয়ার মধ্যে দ্রুতগতিতে ডাটা ট্রান্সফার করতে পারে। আর স্যান সফটওয়্যারের কাজ হচ্ছে স্যান কনফিগারেশন, ব্যবস্থাপনা এবং পর্যবেক্ষণ করা।
VPN হলো একটি একটি ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (VPN) যা ইন্টারনেট এর মত একটি পাবলিক নেটওয়ার্ক জুড়ে একটি ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক প্রসারিত করে। ভাগাভাগি করা অথবা ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক জুড়ে ডাটা পাঠাতে এবং গ্রহন করতে এটা সক্রিয় একটি কম্পিউটার বা নেটওয়ার্ক সক্রিয় ডিভাইসে ব্যবহার উপযোগী ব্যাবস্থা যা সরাসরি Privat Network সাথে সংযুক্ত করা হয়।ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক এর কার্যকারিতা, নিরাপত্তা এবং পরিচালনার নীতির জন্য তাই এই নেটওয়ার্ক অনেক বেশি কার্যকারী।একটি ভিপিএন স্বীকৃত সংযোগ, ভার্চুয়াল টানেলিং প্রোটোকল, বা ট্রাফিক এনক্রিপশন ব্যবহারের মাধ্যমে একটি ভার্চুয়াল পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট সংযোগ স্থাপন করে তৈরি করা হয়।ওপেন ভিপিএন এবং আইপি সেক ব্যাবস্থার মাধ্যমে ভিপিএন নেটওয়ার্ক বাস্তবায়িত হয়।ইন্টারনেট জুড়ে একটি VPN সংযোগ ওয়েবসাইটের মধ্যে একটি ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (WAN) লিঙ্ক এর অনুরূপ।একটি ব্যবহারকারী দৃষ্টিকোণ থেকে, বর্ধিত নেটওয়ার্ক রিসোর্স প্রাইভেট নেটওয়ার্কের মধ্যে উপলব্ধ রিসোর্স হিসাবে একই ভাবে ব্যবহার করা হয় VPN এর মত আরও একটি নেটওয়ার্ক আছে তা হল MVPN অর্থাৎ Mobile Virtul Private Network।
মডেম হচ্ছে এক ধরনের Signal Converter যাহা কম্পিউটার এবং Telephone Network এর মধ্যে যোগাযোগ করতে সহায়তা করে মডেম শব্দটি Modulation/DEmodulation হতে নেয়া হয়েছে Modem - এর নাম হতেই বুঝা যায় যে Modem Modulator এবং Demodulator হিসেবে কাজ করে।
চলুন Modulation/DEmodulation এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানি :
Modulation : কম্পিউটার এ Digital signal (0,1) ব্যবহার করে DATA Transmission এর সময় Modulation দরকার কারন Telephone network এ Digital signal (0,1) Accept করে না। Modulator এই Digital signal কে Analog Signal or Tone এ Convert করে। যা Telephone Cable এর মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় Transmitte করে থাকে।
Demodulation : Demodulation হচ্ছে Modulation এর উল্টো Process .Network এর প্রান্তে Modulation এর মাধ্যমে Digital signal (0,1) কে Analog Signal এ Convert করে এবং অন্যপ্রান্তে Demodulator Analog Signal কে Digital Signal (0,1) কনভারট করে। এই Modulation এবং Demodulation প্রক্রিয়াটি যে যন্ত্রের সাহায্যে সম্পন্ন করে তাহাই Modem নামে পরিচিত।
বর্তমানে ইন্টানাল ও এক্সটানল মডেম ছাড়া USB MODEM,PCMCIA And Cable Modem,DSL MODEM, Wirless Modem,GPRS And EDGE Modem পাওয়া যায়।
WLAN এর পুরো নাম হচ্ছে ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক একে আমরা ওয়াইফাই বলে চিনি। বা বলা যায় ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এর একটি অংশ হল ওয়াইফাই।
একটি নির্দিষ্ট এলাকা বা একই ভবন, পাশাপাশি অবস্থিত বাড়ি ঘর অথবা একটি অফিস/আদালত বা এপার্টমেন্টে অবস্থিত কমপিউটারসমূহ, প্রিন্টার ও অন্য কোন বিশেষ ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মধ্যে ক্যাবল এর পরিবর্তে বা তারবিহীন ভাবে ডাটা এক্সচেঞ্জ করা যায় তাকে ওয়ারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WLAN) বলে।
উপরের ছবিটি একটি ব্রডব্যান্ড লাইন থেকে অনেক গুলো কমপিউটারে বা ল্যাপটপে বা স্মার্ট ফোনে ইন্টারনেট কানেকশনের জন্য একটি ওয়ারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে হবে। এই ধরনের নেটওয়ার্কে তৈরি করতে প্রয়োজন একটি মডেম ও একটি ওয়ারলেস রাউটার। যে কোন কমপিউটারে ওয়্যারলেস এডাপটার অথবা ওয়্যারলেস কার্ড ইন্সটল থাকলে এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট কানেকশন শেয়ার করা যায়।
১৯৯০ সালের পরবর্তী সময়গুলো তারবিহীন তথা ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং এর যাত্রা শুরু হয়। যদিও এর সূত্রপাত কাল হিসেবে ধরা যায় ১৮০০ এর পরবর্তী সময়গুলোকে। প্রখ্যাত জোতির্বিজ্ঞানী এবং সঙ্গীতশিল্পী স্যার উইলিয়াম হার্শেল (১৭৩৮-১৮২২) ইনফ্রারেড ক১৯৯১ সালে এ টি এন্ড টি কর্পোরেশনের সাথে এন সি আর কর্পোরেশন ৮০২.১১ আবিষ্কার করেন। ৮০২.১১ ই পরবর্তীতে ওয়াইফাই নামে পরিচিত হয়। ১৯৯১ সালে আবিষ্কৃত হওয়ার পর ওয়াইফাই কে ওয়াইফাই বলা হতো না। ১৯৯৯ সালের আগস্টে ওয়াইফাই এলিয়েন্স ইন্টারব্র্যান্ড কর্পোরেশন নামে একটা ব্র্যান্ড কনসাল্টিং কোম্পানিকে “আই ত্রিপল ই ৮০২.১১বি ডিরেক্ট সিকোয়েন্স” এর বদলে অন্য কোন সুন্দর আকর্ষণীয় একটা নাম দেয়ার জন্যে কিনে নেয়া হয়। তখন আই ত্রিপল ই ৮০২.১১বি ডিরেক্ট সিকোয়েন্স কে ওয়াইফাই নামকরণ করে ইন্টারব্র্যান্ড কর্পোরেশন আর তখন থেকেই ওয়াইফাই নামেই পরিচিত হয়।
একটি ওয়াইফাই রয়টার/একসেস পয়েন্ট/এন্টিনার মাধ্যমে কোন বিশেষ স্থানে যখন ওয়ারলেস ইন্টারনেট কানেকশনের সুবিধা প্রদান করা হয় তখন সেই স্থানকে Hot Spot বলা হয়। যেমন ওপরের ছবিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি বাড়ির ভিতরে বেশ কয়টি ওয়াইফাই রায়উটার আছে এবং প্রতিটি ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত।
একাধিক একসেস পয়েন্ট/এন্টিনার মাধ্যমে সৃষ্ট হটস্পটগুলোকে সমন্বয় করে যখন বড় এলাকা ভিত্তিক একটি ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক তৈরি হয় তখন সেই এলাকাকে Wi-Fi Zone বলা হয়।
মোবাইল ব্রডব্যান্ডঃ
মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবা সাধারণত মোবাইল ফোনের কোম্পানীগুলো দিয়ে থাকে। প্রায় সব জায়গা থেকে (মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক) মোবাইল ফোন বা ওয়ারলেস মডেমের সাহায্যে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হওয়া যায়। এছাড়া একদেশ থেকে অন্য দেশে গেলে মোবাইল ব্রডব্যান্ড সার্ভিস কাজ করে না, যদি কাজ করে তবে চার্জ হয় খুবই বেশী।
ওয়াইফাই হটস্পটঃ
ওয়াইফাই হটস্পটে এই সুযোগ একটি সীমিত এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। ইদানীং বড় বড় শহরের বাস/ট্রেন স্টেশন, শপিং সেন্টার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে ওয়াইফাই জোন সৃষ্টি করা হচ্ছে। মোবাইল ব্রডব্যান্ড সার্ভিসের মাসিক চার্জ বেশী। তাই নিজস্ব ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোন থেকে প্রয়োজনীয় সময়ের জন্য ওয়াইফাই হটস্পট থেকে ইন্টারনেট কানেকশন সস্তা। বর্তমান সময়ে বাজারে আসা সব ল্যাপটপেই ওয়াইফাই সুবিধা পাওয়া যায়, তাছাড়া প্রায় সবগুলো স্মার্টফোনই এখন ওয়াইফাই সমৃদ্ধ। বিনামূল্যে ভালো স্পিডের ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্যে ওয়াইফাই সবার কাছেই বেশ জনপ্রিয়। তাই আমরা ইদানিং ওয়াইফাই জোন এর দিকে ঝুকছি।
টেকনোলজির ভাষায় ব্লুটুথ হচ্ছে এক ধরণের তারহীন প্রোটোকল। যা বর্তমান মোবাইলে, এছাড়াও ডেক্সটপ, ল্যাপটপ কম্পিউটার, পিডিএ, ডিজিটাল ক্যামেরা, স্কানার, প্রিন্টার, হ্যাডফোন ইত্যাদি ডিভাইস গুলোতে খুবই জনপ্রিয়। ব্লুটুথের নামকরণ করা হয় ৯০০ অব্দের ডেনমার্কের রাজা হেরাল্ড ব্লুটুথ এর নামে। ব্লুটুথ সাধারণত ১০ মিটার রেঞ্জের মাঝে কাজ করে তবে এর রেঞ্জ ১০০ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যায়।
ব্লুটুথ এর ইতিহাস: ১৯৯৪ সালে সুইডিশ কোম্পানি ‘এরিক্সন’ সর্বপ্রথম ব্লুটুথ টেকনোলজি উদ্ভাবন করে। এরপর ১৯৯৮ সালে কিছু গ্রুপ অফ কোম্পানি একসাথে ব্লুটুথ টেকনোলজি নিয়ে কাজ করতে সম্মত হয়। এই কোম্পানিগুলোই Bluetooth Special Interest Group (SIG) নামে একটি সংঘটন গড়ে তোলে যার লক্ষ্য ছিল ব্লুটুথ টেকনোলজি নিয়ে কাজ করা। অর্থাৎ ব্লুটুথ কোন নির্দিষ্ট কোম্পানির ছিলনা অনেকে বিজ্ঞানী এর সাথে যুক্ত ছিলেন।
ব্লুটুথ এর স্পীড
ভার্সন ১.২ এর স্পীড ১ মেগাবিটস/সেকেন্ড
ব্লুটুথ ২.০ এর সর্বোচ্চ ডাটা স্পীড ছিল ৩ এমবিপিএস। আর এখনকার স্মার্টফোন গুলোতে ব্যবহৃত ব্লুটুথ ৩.০ এর সর্বোচ্চ ডাটা স্পীড হচ্ছে ২৪ এমবিপিএস বা আরও বেশি হতে পারে।
ব্লুটুথ একইসাথে ৮ টি ডিভাইসের মাঝে সংযোগ স্থাপন করতে পারে।
ব্লুটুথের ট্রান্সমিটার প্রতি সেকেন্ডে ১৬০০ বার ফ্রিকোয়েন্সি (তরঙ্গ)পরিবর্তন করে।
ব্লুটুথের সেন্ডিং সিগন্যাল পাওয়ার ১ মিলি-ওয়াট যেখানে মোবাইল ফোনের সেন্ডিং সিগন্যাল পাওয়ার ৩ মিলি-ওয়াট।
রেঞ্জ
ক্লাস ৩ রেডিয়াস – রেঞ্জ ১ মিটার বা ৩ ফুট।
ক্লাস ২ রেডিয়াস – রেঞ্জ ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট। সাধারণত মোবাইল ফোন গুলোতে ব্যবহৃত।
ক্লাস ১ রেডিয়াস – রেঞ্জ ১০০ মিটার বা ৩০০ ফুট। সাধারণত ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত।
ব্লুটুথ টেকনোলজিকে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী করে ডিজাইন করা হয়েছে। বহুল ব্যবহৃত ব্লুটুথ ক্লাস ২ রেডিয়াস ২.৫ মিলি-ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।
মোবাইল থেকে মোবাইলে ডাটা আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ব্লুটুথ হচ্ছে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। আর তাই বর্তমান যুগে ব্লুটুথ খুবই জনপ্রিয়।এই প্রযুক্তিতে খুব কম বিদ্যুৎ খরচ হয়। এটি ক্ষুদ্র পাল্লার বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়।
নেটওয়ার্কিং করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করা হয় যেমনঃ কোএক্সিয়াল ক্যাবল,ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল,ফাইবার অপটিক ক্যাবল,প্যাচ ক্যাবল,ইন্টারনেট ক্রসওভার ক্যাবল।
ক্যাবল ছাড়া নতুন একটি নেটওয়ার্কইং কমিউনিটি তৈরি করতে নিচের ডিভাইস গুলোর প্রয়োজন পরে।
ওপরের বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে টিউনার তিতাস সরকার আপনারা এই লিংক গিয়ে দেখে আসতে পারেন।
এখন আমরা জানব নেটওয়ার্ক ভিওিক অপারেটিং সিস্টেম (NOS)সম্পর্কে
নেটওয়ার্কিং এ যে সব অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয় সেগুলো কোন সাধারণ আপারেটিং সিস্টেম নয়।সে অপারেটিং গুলোর সাথে যুক্ত আছে বিশেষ বিশেষ সব টেকনোলজি।এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেম কে বলা হয় নেটওয়ার্কিং অপারেটিং সিস্টেম (NOS)।কয়েকটি বহুল ব্যাবহৃত নেটওয়ার্কিং অপারেটিং সিস্টেম হল ইউনিক্স,নভেল,নেটওয়্যার,উইন্ডোজ এনটি, উইন্ডোজ ২০০০/২০০৩/ ২০০৮, ও লিনাক্স (ফিডোরা,রেডহ্যাট,উবুন্টু,ডেবিয়ান,ফ্রিবিএসবি,নেটবিএসডি, ইত্যাদি)বিভিন্ন নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও এদের মূল বৈশিষ্ট্য একই - সবই নেটওয়ার্কের উপযোগি।
সত্যি কথা বলতে বাংলায় নেটওয়াকিং বা CNNA এর রিসোর্স খুব কম আমি নেটে অনেক সার্চ করেছি তেমন রিসোর্স পাই নি। আপনারা যারা নেটওয়াকিং সম্পর্কে জানতে চান তারা নিচের Ebook ও টিউটোরিয়াল গুলো দেখতে পারেন।
টিউনার তিতাস সরকার
এই কোর্সটি বর্তামানে চলমান আছে আপনারা যোগ দিতে পারেন টিউনার তিতাস সরকার এর সাথে
kushal kabi
আমার দেখা মতে বাংলায় নেটওয়ার্কিইং এর ওপর সব থেকে সুন্দর এবং রিসার্চফুল রিসোর্স।
ই -বুক গুলো ডাউনলোড করতে ছবি গুলোর ওপর ক্লিক করুন
আপনারা নেটে সার্চ করলে ইংরেজিতে নেটওয়ার্ক এর ওপর আরও অনেক রিসোর্স পাবেন।তাছাড়া টেকটিউনসের নেটওয়ার্ক বিভাগ তা দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ সবাইকে টিউনটি পড়ার জন্য।
আমি রিদম দত্ত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 34 টি টিউন ও 270 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
হাই আমি রিদম , জানি না তেমন কিছু তবে যা জানি তা সবার মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করি,টেকনোলজি কে অনেক ভালোবাসি টেকনোলজি ছাড়া এক সেকেন্ড ও চলতে পারি না।বর্তমানে পড়াশোনার পাশাপাশি আর্ট ওয়েব ইউ আই ইউএক্স ডিজাইন ও ওয়েব প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করছি।
অসাধারন টিউন @ ধন্যবাদ