প্রযুক্তির এই যুগে প্রতিটি হাতে হাতে আজ স্মার্ট-ফোন। এবং প্রতিটি ব্যক্তি কম-বেশি স্মার্ট-ফোনের প্রতি আসক্ত। কেউ কেউ তো এমনও আছে যারা ২৪ ঘন্টায় একটি বারও চোখের পলক ফেলেনা স্মার্ট-ফোন থেকে। যাইহোক এটা একটা কথার কথা ছিল। আমি বোঝাতে চাইছি যে কেউ কেউ এমনও আছে যে প্রায় সর্বদাই স্মার্ট-ফোন ইউজ করে। আপনি যদি সর্বদাই আপনার ফোনের সাথে সময় ব্যয় করে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চয়ই একা নন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্কদের অধিকাংশ লোক বলেন যে তারা তাদের স্মার্ট-ফোনগুলিকে সর্বাধিক পরিমাণে ব্যবহার করে। এবং সাম্প্রতিক সময়কালে বা বছরগুলোতে স্মার্ট-ফোন অত্যধিক ব্যবহারের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৫ সাল থেকে স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারী লোকের সংখ্যা ৩৯% থেকে ৫৮% এ পরিবর্তিত হয়েছে। আর এটা জানা গেছে একটা নতুন সূক্ষ্ম গ্যালাপ অনুসন্ধান থেকে। বিশেষজ্ঞরা মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে মানুষের মস্তিষ্ককে দায়ী করেছে। কারণ মানুষের মস্তিষ্ক মোবাইল ফোনের যে মজাদার বিষয়গুলো আছে সেগুলোকে পছন্দ করে খুব বেশি।
মস্তিষ্কে ড্রাগ এবং অ্যালকোহল যেরকম প্রভাব ফেলে বা যেরকম রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায় ঠিক একই রকম স্মার্ট-ফোনও মানুষের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে বা রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়। জানা যায় যে, যখন আমরা ফোন থেকে কোন কিছুতে লাইক বা নোটিফিকেশন পাই, তখন আমাদের মস্তিষ্কে ডোপামিন নামক একটা রাসায়নিক পদার্থের রিলিজ হয়। এই ডোপামিন ফ্রেশ ফিল দেয়, ভালো অনুভবের সৃষ্টি করে। এর ফলে আমরা রেসপন্স হিসেবে ভালো আচার-আচরণ রিটার্ন দিয়ে থাকি।
Melissa Huay হলেন একজন আচরণগত বিজ্ঞানের অধ্যাপক, যিনি New York Institute of Technology তে অধ্যাপনা করেন। এবং ইনি এই বিষয়ে বিস্তর গবেষণা করেন। তিনি একটি ইমেইল ইন্টার্ভিউতে তরুণদের এবং প্রাপ্তবয়স্কদের স্মার্ট-ফোনের প্রতি আসক্তি সম্পর্কে কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে, শেষ হয় না এমন চক্রাকার আসক্তি তৈরি করি। তিনি আর বলেন, আমরা আরও ভালো লাগা অনুভব করার জন্য মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে অনেক সময় পার করে দেই। তিনি আরও বলেন যখন আমরা কোন টিউনে লাইক বা নোটিফিকেশন পাই না তখন আমাদের মনটা বিষণ্ণ হয়ে যান এবং আমরা নিজেকে একা বোধ করি বা নিজেকে একা ভেবে বসি যা একটা বিরূপ প্রভাবও সৃষ্টি করে।
আমেরিকানরা বলে থাকে যে তারা স্মার্ট-ফোন অনেক বেশিই ব্যবহার করে। কিন্তু তাদের দুই-তৃতীয়াংশ লোক মনে করে যে স্মার্ট-ফোন তাদের জীবনকে উন্নত করেছে। অর্থাৎ, ২১% জনগণ বলছে যে স্মার্ট ফোন তাদের জীবনকে অনেক উন্নত করেছে এবং ৪৪ % জনগণ বলছে যে এটি তাদের জীবনকে কিছুটা উন্নত করেছে। এবং এ বিষয়গুলো একটা গ্যালাপ পোল এর রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে। ২০১৫ সালে ইন্টারনেট কানেকশন সুবিধা ৭২% হওয়ায় এসব মানের কিছুটা তারতম্য ঘটেছে। মাত্র ১২% জনগণ বলছেন যে, স্মার্ট ফোন তাদের জীবনের যা তা অবস্থা করে ফেলেছে অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি মাত্রায় খারাপ করেছে।
এই রিপোর্টে দেখা যায় যে, ফোন চালানোর অভ্যাস গুলোর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে বিশেষ কয়টি ক্ষেত্রে। যেমন- স্মার্ট-ফোনের মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটা অনেকটাই বেড়েছে। এক্ষেত্রে মানুষ ২০১৫ সালে কম্পিউটারের চেয়ে স্মার্ট-ফোনে ১১% বেশি সময় স্পেন্ট করেছে। বর্তমান সময়ে জনগণ কম্পিউটারের চেয়ে স্মার্ট-ফোনে ৪২% বেশি সময় ব্যয় করছে। অর্থাৎ, অল্প কয় দিনেই ৩১% পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে স্মার্ট-ফোনে সময় ব্যয়ের ক্ষেত্রে।
Matt wallaert এমন একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি যিনি মূলত ব্যাঙের আচরণ গত বিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান। তিনি একটি ডিজাইন কোম্পানি যা অ্যাপেলের মতো কোম্পানি এবং অন্যান্য টেক কোম্পানি গুলো সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্ক যুক্ত এবং কোম্পানি গুলোকে সহযোগিতা করছে, এমন কোম্পানির একটি ইমেইল ইন্টার্ভিউ এ বলেন, স্মার্ট-ফোন গুলো সাধারণত পুরাপুরি ভাবে আসক্তি কর নয়, এগুলো দরকারিও বটে।
একটা স্মার্ট-ফোনে উপকারী দিকও থাকে আবার অপকারী দিকও থাকে অর্থাৎ, আসক্তিকর দিকও থাকে এবং কার্যকরী দিকও থাকে। আসক্তিকর দিক গুলোর মধ্যে অন্যতম দিকগুলো হল ফোনে গেম খেলা বা সামাজিক মাধ্যমে অযথা কারো সাথে কথা বলে সময় ব্যয় করা। যা আমরা অন্য কোথাও বা স্মার্ট-ফোনের বাইরেও করতে পারি। আর কার্যকরী দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে অন্যের সাথে দরকারি কথা বলা অর্থাৎ যোগাযোগ করা এবং পড়াশোনা করা। পড়াশোনার ক্ষেত্রে বেশ ভালো সহযোগী হতে পারে একটি স্মার্ট-ফোন। Matt wallaert বলেন, আমাদেরকে আসক্তি থেকে ইউটিলিটি গুলোকে আলাদা করার বিষয়ে ভাবতে হবে বা ভাবা দরকার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্কদের অধিকাংশই স্মার্ট-ফোন অত্যধিক পরিমাণে ব্যবহার করে এবং তাদের সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অবিরাম ভাবে বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফোন আসক্তি ঘটার অন্যতম কারণ হলে আমাদের মস্তিষ্ক। কারণ আমাদের মস্তিষ্ক স্মার্ট-ফোন গুলোকে পছন্দ করে বা স্মার্ট-ফোনের আনন্দদায়ক মুহূর্ত গুলো আমাদের মস্তিষ্কের ডোপামিন নিঃসরণ করে যা ভালো অনুভূতির সৃষ্টি করে।
আপনি যদি আপনার স্মার্ট-ফোনটিকে আপনার রুমের বাইরে রেখে ঘুমাতে যান এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই যদি আপনার ঘুম চলে আসে এবং দিনে দিনে আপনার এই ঘুমের যদি উন্নতি ঘটে অর্থাৎ উল্লেখযোগ্য ভাবে পরিবর্তন ঘটে তাহলে বুঝবেন আপনি ফোনে আসক্ত ছিলেন।
আপনার যদি এমনটা মনে হয় যে আপনি অত্যধিক ফোন চালান বা খুব বেশি বেশি ফোন চালান বা আপনার ফোন চালানোর ব্যাপারটা আপনার কন্ট্রোলের বাইরে, তাহলে আপনি ফোন চালানোর একটা লি-মিট নির্ধারণ করতে পারেন। Alexander Bentley হলেন REMEDY Wellbeing এর CEO। তিনি মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে Lifewire ইমেইলের মাধ্যমে বলেছেন, শোবার ঘরে ফোন না রাখার চেষ্টা করুন এবং খাবারের সময় ফোনটিকে অন্য ঘরে রেখে দিন।
সব সময় ফোন ব্যবহার না করে ব্যালেন্স বজায় রেখে ফোন ব্যবহার করুন। ফলে আপনার ফোনের উপর থেকে নির্ভরতা কমে যাবে। যখন একটা ফোন এত কিছু করতে পারে, তখন ফোনের উপর একজন ব্যক্তি সহজেই নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। এ বিষয়টি বেন্টলি উল্লেখ করেছে।
কিন্তু ফোন ব্যবহারের পরিবর্তে আপনি যদি অল্টারনেটিভ ডিভাইস গুলো ব্যবহার করেন, তাহলে ফোনের প্রতি আসক্তিটা কিছুটা কমে যেতে পারে। যেমন- আপনি একটি ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট ব্যবহার করতে পারেন অনুসন্ধান, গবেষণা বা বই পড়ার জন্য। কিন্তু, আপনি যদি এই কাজগুলোই একটি স্মার্ট-ফোনে করেন তাহলে ফোনের প্রতি আপনার নির্ভরশীলতা বাড়বে। যেহেতু অল্টারনেটিভ ডিভাইস গুলো সহজে পরিবহন যোগ্য নয়, তাই ঐ গুলোর প্রতি অতটাও নির্ভরশীলতা বাড়বে না যতটা না ফোনের উপরে বাড়বে।
Wallaert এর বর্ণনা অনুযায়ী মানুষের আচরণ হল প্রমোটিং প্রেসার এবং ইনহিবিটিং প্রেসারের মাঝে কেবল এক ধরনের প্রতিযোগিতা মাত্র। প্রমোটিং প্রেসার হল যা মানুষকে কোন একটা আসক্তি-জনক কাজের দিকে ঠেলে দেয়। অর্থাৎ, গেমের দিকে ঠেলে দেয়। আর ইনহিবিটিং প্রেসার মানুষকে আসক্তি-জনক কাজ থেকে দূরে ঠেলে দেয়। বিষয়টি যে কীভাবে আপনাদের বোঝাই।
ধরুন, আপনি দশম শ্রেণীতে পড়েন এবং গেমের প্রতি আসক্ত। তো, আপনার সকাল ১০ টার সময় পরীক্ষা আছে। তো অবশ্যই আপনি গেম না খেলে পরীক্ষা দিতে যাবেন। এখানে, যে চাপটা আপনাকে পরীক্ষার হলে নিয়ে যাবে সেটা ইনহিবিটিং প্রেসার বা বাধ্যতামূলক চাপ। আর যে চাপটা আপনাকে গেম খেলতে আগ্রহী করে সেটা প্রমোটিং প্রেসার বা প্রচার চাপ। জীবনে এমন কিছু বাধ্যতামূলক চাপ বা কাজের সৃষ্টি করুন যাতে করে এসব প্রমোটিং প্রেসার গুলোকে মোকাবিলা করতে পারেন।
আপনি ফোন অত্যধিক ব্যবহার না করে নিজেকে খুঁজুন। আপনার গেম খেলতে মন চাইতেই পারে। কারণ, বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে আপনার মাইন্ড গেমের দিকে ডাইভার্ট করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এটি মূলত একটি প্রমোটিং প্রেসার তাই একটি বাধ্যতামূলক চাপ বা ইনহিবিটিং প্রেসার নিয়ে এসে এটিকে মোকাবেলা করুন। অর্থাৎ আপনি নতুন কোন স্কিল শেখার জন্য, ঘরে বা ঘরের বাহিরে যান। যেমন- টাইপিং শেখা, গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা ও প্রোগ্রামিং শেখা ইত্যাদি ছাড়াও কোন পার্ট টাইম জবে জয়েন করতে পারেন।
গেমে যদি বেশি আসক্ত হন তাহলে গেম খেলার জন্য সময় সীমা বা লি-মিট নির্ধারণ করুন। এবং বাধ্যতামূলক কোন কাজ ঠিকঠাক ভাবে করা হলে তবেই গেম খেলবেন তাছাড়া নয়। এছাড়াও গেম অ্যাপ্লিকেশন গুলোকে নিজের ফোনের অ্যাপ্লিকেশন গুলোর সবার শেষে বা হোমপেইজ বাদে সব শেষের পেইজে রাখুন। যাতে করে গেমটিতে পৌছাতে আপনাকে পেইজ সোয়াই-প বা স্ক্রোল ডাউন করার প্রয়োজন পরে। এই কথাটি বা আইডিয়াটি Wallaer দিয়েছেন। কাউকে দৌড়ে গিয়েই যে খবরটা দিতে পারেন সেটা দৌড়ে গিয়েই না দিয়ে ফোন ব্যবহার করছেন। সমস্যাটা আমাদেরর ফোনের না, সমস্যাটা কিন্তু আমার, আপনার, আমাদের। সুতরাং ভালো জুতো পড়ে একটু দৌড়া-দৌড়ী করবেন এবং ক্যালেন্ডার রেখে, ঘড়ি রেখে নিজের মূল্যবান সময়ের দিকে খেয়াল রাখবেন।
যেকোনো ভাবে শুধু আপনার ফোনটিকে দূরে রাখুন। Huey এর বিশেষ পরামর্শ হচ্ছে, আপনি আপনার ফোনটিকে শোবার ঘর থেকে দূরে রেখে নিজের ঘুমের উন্নতি ঘটাতে পারেন। গ্যালাপ পোল এর রিপোর্ট অনুসারে, আমেরিকায় বসবাসকারী মানুষেরা ঘুমানোর সময় ফোন পাশে রাখে বলে তাদের দেশে ফোন অত্যধিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। এবং দিন দিন ইহা বাড়ছে যা ৬৩% থেকে ৭২% এ পৌঁছেছে। তো, এই বছর নতুন আরেকটা তথ্য প্রকাশ পেয়েছে যে, আর তা হল ৬৪% মানুষ ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথেই নিজের ফোন চেক করে।
যখন আপনি পরিবারের সাথে সময় ব্যয় করবেন বা বন্ধুদের সাথে সময় ব্যয় করবেন তখন আপনি আপনার ফোনটিকে একটু দূরে রাখুন। ফলে ফোনের প্রতি আপনার আসক্তিটাও একটু কমবে এবং আপনার পরিচিত মানুষদের সাথে সম্পর্কটারও উন্নতি ঘটবে। একটি বিষয়টি নিয়ে Huey আলোচনা উপস্থাপন করেন। আপনি যদি ফোনের আসক্তি থেকে বাঁচতে চান তাহলে আপনাকে প্রতিটি মুহূর্ত সচেতন থাকতে হবে। আপনি আপনার ফোনটিকে সাইলেন্ট মোডে রাখতে পারেন বা নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখতে পারেন। যাতে করে ফোনের কথা খুব সহজে মনে না হয়। এছাড়া ফোন ব্যবহারে ক্ষেত্রে লি-মিট নির্ধারণ করে এমন অ্যাপ ও ব্যবহার। এটি ব্যবহারের ফলে আপনি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়েই ফোন চালাতে পারবেন, যখন তখন ফোন চালাতে পারবেন না। ফলে ধীরে ধীরে আপনার ফোনের প্রতি আসক্তি বা নির্ভরশীলতা কমে যাবে।
তো বন্ধুরা, এই ছিল আজকের টিউন। আশাকরি ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটা জোসস দিবেন। টিউন সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই টিউমেন্ট করে জানাবেন। আমার টিউনগুলো সবার প্রথমে দেখতে চাইলে আমাকে ফলো করবেন এবং আমার সাথে কোন কথা থাকলে অবশ্যই আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন। দেখা হচ্ছে পরবর্তী কোন একটা টিউনে। সে পর্যন্ত সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। নিজের ও অন্যের খেয়াল রাখুন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মো তানজিন প্রধান। ২য় বর্ষ, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 91 টি টিউন ও 65 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো হারিয়ে যাই চিন্তার আসরে, কখনোবা ভালোবাসি শিখতে, কখনোবা ভালোবাসি শিখাতে, হয়তো চিন্তাগুলো একদিন হারিয়ে যাবে ব্যাস্ততার ভীরে। তারপর ব্যাস্ততার ঘোর নিয়েই একদিন চলে যাব কবরে।