বর্তমান সময়ে একটি অতি পরিচিত সমস্যা হচ্ছে মোবাইলের ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়া। আধুনিক যুগে মোবাইল ফোন ছাড়া আমরা নিত্য জীবন কল্পনা করতে পারিনা। আর মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে আমরা মুহুর্তেই পুরো দুনিয়ার খবর জানতে পারি। কিন্তু মোবাইল ফোনে যদি ইন্টারনেটের গতি কমে যায় তাহলে আমাদের অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়৷ আজ আমরা আলোচনা করবো এমন কিছু পরিক্ষীত উপায় নিয়ে, যা করলে আপনার মোবাইল ফোনের গতি বৃদ্ধি পাবে। চলুন জেনে নেই সেসব উপায়গুলো।
মোবাইল ফোন রিস্টার্ট করা হচ্ছে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি করার সবচেয়ে সহজ একটি মাধ্যম। মোবাইল ফোন রিস্টার্ট করা হলে এটি নতুন করে নেটওয়ার্ক সার্চ করে এবং সংযুক্ত হয়। ফলে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি পায়। আবার ডাটা অফ করে পুনরায় অন করলেও নেটওয়ার্কের গতির সাথে ইন্টারনেটের গতিও আগের থেকে বেড়ে যায়।
মোবাইল ফোনের নোটিফিকেশন বারে থাকা ফ্লাইট মোড অন-অফ করতে পারেন। এতে করে সিম কার্ডের নেটওয়ার্ক নতুন করে সার্চ হয় এবং ফোনে নেটওয়ার্কের গতি বৃদ্ধি পায়।
আমাদের মোবাইলে অধিকাংশ সময় দেখা যায় অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস দিয়ে ভর্তি করে রাখি। মোবাইল ফোনে এসব অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস একদিকে যেমন ফোনের স্টোরেজ দখল করে থাকে তেমনি ইন্টারনেটের গতিও কমিয়ে ফেলে। তাই আজকেই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপসগুলো ডিলিট করে দিন।
আমদের পুরাতন মেমোরি কার্ড অধিকাংশ সময় নতুন ফোনে ব্যবহার করে থাকি ফরম্যাট দেওয়া ছাড়াই। ফলে পুরোনো সেই মেমোরিতে থাকা অপ্রয়োজনীয় ডেটা, ফাইল বা অ্যাপসগুলো ফোনে এসে যায়। এছাড়া পুরাতন মেমোরিতে ভাইরাস তৈরি হয়, যা মোবাইলের গতি কমিয়ে ফেলে। তাই মোবাইলের ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে আপনার মেমোরি কার্ডটি ফরম্যাট করে ফেলুন।
ক্লাউড স্টোরেজ হচ্ছে এমন একটি ডিজিটাল স্টোরেজ ব্যাবস্থা, যেটি ব্যবহার করলে দুনিয়ার যেকোনো প্রান্ত থেকেই আপনার ডেটাগুলোতে এক্সেস পাবেন। ক্লাউড স্টোরেজ বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। এটি ব্যবহারের ফলে মেমোরি কার্ড বা ফোন মেমোরির উপর চাপ কমে৷ ফলে মোবাইল স্মুথলি চালানো যায়।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কোম্পানি গুলো তাদের ফোন আপডেট করার বিশেষ অপশন রেখেছে। তারা প্রতিনিয়ত নতুন সার্ভিস নিয়ে আসে। সুতরাং ফোন নিয়মিত আপডেট করলে এসব সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়া ফোন আপডেট করলে ইন্টারনেটের গতিও বৃদ্ধি পায়।
ফেসবুক, টুইটার বা মেসেঞ্জারের মতো অ্যাপগুলোর সাইজ অনেক বড়। অর্থাৎ এসব অ্যাপস ডাউনলোড এবং ইন্সটল করলে ফোনের অনেক স্টোরেজ দখল করে। তাই আপনার ফোনের স্টোরেজ এবং র্যাম যদি কম হয়ে থাকে তাহলে এসব অ্যাপের লাইট ভার্সন ব্যবহার করুন। লাইট ভার্সন অ্যাপগুলো আকারে অনেক ছোট। ফলে আপনার ফোনের ইন্টারনেটের গতি ঠিক থাকবে।
মোবাইল ফোনের স্টোরেজ এবং মেমোরি কার্ডের সব স্পেস একেবারে পূরণ করে রাখবেন না। এতে করে ফোন অনেক স্লো হয়ে যায়। মওবাইল ফোন ঠিকমতো কাজ করতে পারেনা। এছাড়া ইন্টারনেটের গতি সচল রাখতে মাঝে মাঝে অ্যাপসগুলোর ডাটা ক্লিয়ার করে দিন।
অনেক সময় ফোনের সিম কার্ডের নেটওয়ার্ক ওঠানামা করে বা নেটওয়ার্ক ইরর দেখায়। এরকম হলে মোবাইলের নেটওয়ার্ক সেটিংস চেক করুন এবং প্রয়োজন হলে পুনরায় নেটওয়ার্ক রিসেট দিন। এতে করে নেটওয়ার্কের গতি বৃদ্ধি পাবে এবং ইন্টারনেটের গতিও সচল থাকবে।
আশাকরি আজকের আলোচনা থেকে উপকৃত হবেন। উপরোক্ত কাজগুলো করলে আপনার মোবাইল ফোনের ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
আমি মেহেদী হাসান শাওন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।